Life VS Dream: USMLE- The Road to Residency in the United States

লেখকঃ জাহিদ হাসান

পৃথিবীর সব থেকে স্বপ্নবাজ মানুষগুলো USMLE নিয়ে ভাবে, এবং সব থেকে বেশী সুখ-দুঃখের গল্প জমা পড়ে এই USMLE নিয়ে।
USMLE নিয়ে আমাদের অনেক ভুল ধারনা এবং ইনফরম্যাশন গ্যাপ আছে। এই পোস্টে USMLE নিয়ে কিছু আইডিয়া শেয়ার করছিঃ

@ USMLE কি?
= United States Medical License Exam. এক কথায় আমেরিকার লাইসেন্স এক্সাম। আমেরিকায় ক্লিনিক্যাল প্র্যাকটিস করতে চাইলে এই পরীক্ষা ছাড়া আর কোন উপায় নেই। মজার ব্যাপার হছে একজন নোবেল বিজয়ীও যদি আমেরিকায় ক্লিনিক্যাল প্র্যাকটিস করতে চায় উনার USMLE করতেই হবে।

@USMLE এর কি কি স্টেপ আছে?
= ৪টি স্টেপঃ
১। Step-1
২। Step-2(CK- Clinical Knowledge)
৩। Step-2(CS-Clinical Skill)
৪। Step-3
এই ৪টি স্টেপের মাঝে স্টেপ-৩ আপনি রেসিডেন্সীর আগেও দিতে পারবেন পরেও দিতে পারবেন। কিন্তু বাকী ৩টি স্টেপ রেসিডেন্সীর আগে বাধ্যতামূলক দিতেই হবে।

@রেসিডেন্সী কি?
= বিশ্বের সব দেশেই আপনি লাইসেন্স পাশ করলেই ক্লিনিক্যাল জব করতে পারবেন। কিন্তু আমেরিকায় লাইসেন্স পাশ করার পরও রেসিডেন্সি পেতে হবে। রেসিডেন্সী না পেলে আপনার ইউএস ক্লিনিক্যাল ক্যারিয়ার শেষ! ভয় পাবেন না! এইসব জেনে বুঝেই সবায় USMLE কে টার্গেট করে।

@আপনি যদি USMLE করতেই চান তবে এখন যে যেখানে যেই অবস্থায় আছেন এখনই পারফেক্ট সময় এটা নিয়ে প্ল্যান করার। মনে রাখবেন, যে যত আগে প্রিপারেশন শুরু করবেন তার সফলতার সম্ভাবনা তত বেশী। পার্শ্ববর্তী দেশ ইন্ডিয়াতে ৩য়-৪র্থ বর্ষ থেকেই কাপলান লেকচার, নোট ফলো করে, এবং তুলনামূলক আমাদের থেকেও তারা বেশী রেসিডেন্সী পায়।

@Step-1:::
যেহেতু টার্গেট আমেরিকা তাই আপনার ফোকাস থাকতে হবে কিভাবে রেসিডেন্সী পাওয়া যায়। মনে রাখবেন আপনি রেসিডেন্সি না পেলে পুরু প্রজেক্ট লস। রেসিডেন্সি পেতে হলে অবশ্যই অবশ্যই আপনাকে প্রত্যেকটি স্টেপে ভাল স্কোরার হতে হবে। প্রতিযোগীতা সারা বিশ্বে তাই আপনার সর্বোচ্চ স্কোরার হবার টার্গেট রাখতে হবে।
স্টেপ-১ এ যা যা থাকছেঃ
Anatomy
Physiology
Biochemistry
Microbiology
Pathology
Pharmacology
Behavioral Science
Biostatistics
৭টি ব্লকে 280 টি MCQ থাকবে যার ডিউরেশন থাকবে ৮ ঘন্টা। এটি একটি কম্পিউটার বেজড পরীক্ষা। এই স্টেপের পাশ মার্ক ১৯২ । কিন্তু শুধু পাশ মার্ক পাওয়া মানেই আপনার USMLE ক্যারিয়ার শেষ! কেননা এত কম স্কোরে আপনি কোন রেসিডেন্সী পাবেন না! আবার পরবর্তী ৭ বছরের মাঝে রিএপিয়ার করতে পারবেন না। ৭ বছর পর রিএপিয়ার করে স্কোর ভাল পেয়েও লাভ নাই! কেন?= কারন ততদিনে আপনার ইয়ার অফ গ্র্যাজুয়েশন বেড়ে যাবে এবং আপনি ওল্ড IMG (International Medical Graduate) হয়ে যাবেন। মনে রাখবেন অন্যান্য সব দেশেই ইন্টার্নীর পর নিজ দেশে এক্সপেরিয়েন্স এর মূল্য অনেক। এই এক্সপেরিয়েন্স কেই আমরা YOG বা Year Of Graduation বলে থাকি। কিন্তু রেসিডেন্সীর ক্ষেত্রে এই YOG কে খুব নেগেটিভলী দেখা হয়। এক কথায়, আমেরিকা ক্লিনিক্যাল ফিল্ডে ফ্রেশ মাথা পছন্দ করে থাকে। এই স্টেপ-১ এ ২৩০+ স্কোর করার ট্রাই করবেন। তানাহলে সত্যিই রেসিডেন্সী কষ্টকর হয়ে যাবে। তবে অসম্ভব হবেনা। অনেকেই কম স্কোর নিয়েও রেসিডেন্সী পাচ্ছে, এক্ষেত্রে আপনার অন্যান্য ক্রিডেনশিয়াল খুব রিচ থাকতে হবে।
প্রিপারেশন টাইমঃ ৬ মাস যথেষ্ট এই স্টেপের জন্য।
যা যা পড়বেনঃ
Anatomy,Physiology,Biochemistry,Pharmacology= Kaplan notes with lecture, Uworld (USMLE World)

Microbiology: First aid is enough.

Pathology: Goljan, Pathoma with pathoma lecture.

Behavioral science: High Yield, BRS

Biostatistics: UWorld subscription by 25$

প্রিপারেশন নেয়ার পর পরীক্ষা দেয়ার আগে অবশ্যই প্রচুর NBME (National Board of Medical Education) এবং UWSA সলভ করবেন। মনে রাখবেন, এই NBME এবং UWSA সলভ করে আপনি কোশ্চেন সম্পর্কে ভাল আইডিয়া পাবেন এবং ঠিক ঠিক স্টেপ-১ এর স্কোর এই দুটি স্কোরের মাঝামাঝি আসবে। usmleforum, Becker videos,Phramacology flash cards গুলো প্রচুর ফলো করবেন। স্কোর বেড়ে যাবে কিছুটা।
বনানী AAA (American Alumni Association) তে এই পরীক্ষা দিতে পারবেন, এমনকি ইউএস গিয়েও দিতে পারবেন।
পরীক্ষার ফিঃ 950$

@Step-2(CK):
রেসিডেন্সী পেতে হলে ক্লিনিক্যাল নলেজের এই পরীক্ষায় মিনিমাম ২৪০+ স্কোর করুন। মুটামুটি সেফ জোনে থাকতে পারবেন, যদিও সব কিছুই আনসার্টেইন। কেউ কম স্কোর নিয়ে রেসিডেন্সী পাচ্ছে, কেউ বেশী স্কোরার হয়েও পাচ্ছেনা। ভাগ্য এখানে অনেক বড় একটি ফ্যাক্ট। মেডিসিন, সার্জারী, পেডি, সাইকিয়াট্রি, গাইনী থেকে প্রশ্ন হয়ে থাকে। টোটাল ৮টি ব্লক থাকে, প্রতটি ব্লকে ৪৪টি প্রশ্ন থাকে।
ডিউরেশনঃ ৯ঘন্টা
এক্সাম সেন্টারঃ AAA,Banani
এক্সাম ফিঃ 950$
স্টেপ-১ এর পরপরই এই স্টেপ দিয়ে দিলে ভাল হয়। স্টেপ-১ এর নলেজ এই স্টেপে খুব কাজে দেয়। ৩ মাসের প্রিপারেশনই যথেষ্ট এই স্টেপে ভাল করার জন্য।
প্রচুর MTB2, MTB3, UWorld ফলো করতে হয়।
UWSA এবং NBME এর ১-৭ পর্যন্ত প্র্যাকটিস করলেই ভাল প্রিপারেশন হয়ে যায়।

@Step-2 (CS)::
রেসিডেন্সী তে এপ্লাই করার আগে কিছু ইউএসএর ক্লিনিক্যাল অভিজ্ঞতা নিতে হয়, এই ব্যাপারটাকে USCE (United States Clinical Experience) বলে। USCE কয়েক রকমের হয়ে থাকে। যেমনঃ
Electives, Externship, Observship. etc.
সাধারনত এই এক্সপেরিয়েন্স গুলো নিয়ে থাকলে Step-2(CS) এর জন্য প্রিপারেশন নিতে খুব বেশী হলে ২০ দিন থেকে ১ মাস লাগে। এখানে কোন স্কোর নেই। শুধু পাশ/ফেইল। ফেইল করলে আবারো দিতে পারবেন, কিন্তু সেটা ডিসক্রেডিট। যারা ইউএস হসপিটালে ক্লিনিক্যাল এক্সপেরিয়েন্স নিয়ে এই স্টেপ দিয়ে থাকেন তাদের জন্য এই স্টেপ সব থেকে সহজ। এটা সম্পূর্ন ভাইভা।
এক্সাম সেন্টারঃ
এই ভাইভা শুধুমাত্র ইউএসএর ৫টি স্টেট এ হয়ে থাকে। যেমনঃ আটলান্টা, শিকাগো, হোস্টন, ফিলাডেলফিয়া, লস এঞ্জেলস।
অনেকেই ফিলাডেলফিয়াকে সব থেকে কঠিন সেন্টার হিসেবে জেনে থাকে। কিন্তু সেখানেও অনেক IMG পাশ করে থাকে, তবে আমাদের জন্য হোস্টন সব থেকে ভাল অপশন। কারন সেখানে প্রচুর IMG থাকে যাদের সাথে প্র্যাকটিস করা যায়।
প্রিপারেশন নিবেন যেভাবেঃ ফার্স্ট এইড দেখবেন, ইউটিউবে ক্লিনিক্যাল এক্সামিনেশনের প্রচুর ভিডিও পাওয়া যায় সেগুলো প্র্যাকটিস করবেন। অনেকেই নিউইয়র্কে সিএস কোর্স করে থাকে। আসলে USCE থাকলে সিএস কোর্সের প্রয়োজন হয়না। অনেকেই এই স্টেপের প্রিপারেশন নেয়ার সময় ল্যাপটপ কিবোর্ড দিয়ে প্র্যাকটিস করে থাকেন, যার কারনে টাইপিং স্পীড কমে যায়, ডেস্কটপ কিবোর্ড দিয়ে টাইপিং প্র্যাকটিস করতে হয়। এই স্টেপে আপনার পেশেন্টকে এপ্রোচ করতে হবে, তাই মাথা যথেষ্ট ঠান্ডা রাখা প্রয়োজন। মনে রাখবেন, পেশেন্ট হিসেবে আপনি যাদের কে পাবেন তারা আসলে পেশেন্ট না! তারা একেকজন পারফেক্ট অভিনয় করবে পেশেন্ট এর মত। তাই আপনাকে টেকনিক্যালি হ্যান্ডেল করতে হবে। সাথে অনেকগুলো গ্লাবস রাখবেন, কেননা বারবার হ্যান্ড ওয়াশ করতে গেলে প্রচুর টাইম নষ্ট হবে, এখানে সময় অনেক কম থাকে। যতটা পারা যায় টাইম সেভ করতে হবে। অনেকেই কিবোর্ডের CAPSLOCK অন করেই রেখে দেয় যেন বারবার ফ্রন্ট পরিবর্তন করতে না হয়। এতেও ২-৩ মিনিট সেভ হয়।
ফিঃ 1535$

@Step-3::
অনেকটা সিকে স্টেপ এর মতই। তাই অনেকেই সিকে স্টেপ এর পরপরই এই স্টেপ দিয়ে দেয়, এতে কিছু সময় বেচে যায়। ২-৩ মাসের প্রিপারেশন যথেষ্ট।
প্রচুর MTB3, UWorld, Archer Video গুলো ফলো করুন। এটা রিটেন এক্সাম।
CCS Question গুলোকে বেশী মূল্যায়ন করুন। কমপক্ষে ২২০+ স্কোর করার ট্রাই করুন, এতে রেসিডেন্সী পেতে অনেক সহজ হবে।
সেন্টারঃ ইউএসএ
ফিঃ 830$
এছাড়াও অন্যান্য ফি সম্পর্কে ডিটেইলস এখানে দেওয়া আছেঃ
http://www.ecfmg.org/fees/

স্টেপ- 1, 2(ck), (cs) কম্পলিট হলে আপনি ECFMG(Education Comission for Foreign Medical Graduate) থেকে MD ডিগ্রী পাবেন। কিন্তু রেসিডেন্সী না পেলে এই MD ডিগ্রীর কোন ভ্যলু নেই।

এরপর আপনাকে রেসিডেন্সীর জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে। যেভাবে করবেনঃ

USCE (United States Clinical Experience):

Clerkship/Electives: এই ইলেক্টিভস আমেরিকায় সবচেয়ে মূল্যবান! কেননা এটা শুধুমাত্র মেডিকেল স্টুডেন্ট থাকা অবস্থায় করা যায়। ডাক্তার হয়ে যাবার পর আপনি এই ক্লার্কশিপ/ইলেক্টিভস করতে পারবেন না! PD (Program Dirrector) রা সবার সিভিতে এই জিনিষটা খুজে বেড়ায়। যাদের সিভিতে এটা পাওয়া যায় তাদের কে অনেক মূল্যায়ন করা হয়।
অনেকেই ইলেক্টিভস এর জন্য আমেরিক্লার্কশিপ, মেডক্লার্কশিপ, শিকাগোক্লার্কশিপ, fmgportal ইত্যাদি বিভিন্ন এজেন্সীর মাধ্যমে যায়। কিন্তু এটা খুব খরচসাপেক্ষ ব্যাপার, তবে এজেন্সীর মাধ্যমে করলে কিছু ফর্মাল কাজ খুব সহজেই করা যায়। যদি আপনার পরিচিত কোন রেসিডেন্ট সেই হসপিটালে থাকে তবে উনার হেল্প চাইলে ফর্মাল কাজটা উনিই করে দিতে পারেন। কিছু কিছু ইউনিভার্সিটি TOEFL রিকোয়ার করে থাকে এই ক্লার্কশিপের জন্য। এজেন্সীর মাধ্যমে ক্লার্কশিপ করতে গেলে ২ লাখ টাকার মত খরচ হয় সবমিলিয়ে।

Observship:আপনি জাস্ট সবকিছু অবজার্ভ করবেন এটাই আপনার কাজ। এটা সব থেকে কম মূল্যবান এক্সপেরিয়েন্স। তবে যেখানেই যেই সুযোগ পাওয়া যায় সেটা নিয়ে নেয়া উচিত। আপনি যাই করেন না কেন এটেন্ডিং/প্রগ্রাম ডিরেক্টর/প্রগ্রাম কো-অর্ডিনেটর থেকে LOR নেয়ার ট্রাই করবেন। LOR সম্পর্কে ইতিপূর্বে স্কলারশিপ পোস্টে ডিটেইলস বলা আছে। মনে রাখবেন যত বেশী ইউএস প্রফেসর এর স্ট্রং রিকমেন্ডেশন থাকবে আপনার রেসিডেন্সী হবার সম্ভাবনা তত বেশী।

Externship: এটা Hands On Clinical Experience. এখানে রেসিডেন্টস, এটেন্ডিং দের সাথে হাতে কলমে কাজ করতে হবে। এটা খুব ভ্যলুয়েবল একটা এক্সপেরিয়েন্স। হসপিটালে যতক্ষন ডিউটি করবেন সবার সাথে সৌহার্দ্যপূর্ন আচরন করুন যেন আপনার জন্য LOR ম্যানেজ করা খুব সহজ হয়ে যায়। প্রয়োজনে তাদেরকে ডেইলী একটা চকলেট দিয়ে ইম্প্রেস করে ফেলুন! (হাসবেন না! অনেকেই এটা করে!)
এক্সটার্নশিপের জন্য ম্যালপ্র্যাকটিসের সিকিউরিটি হিসেবে কিছু ডলার পে করতে হয়। এক্সটার্নশিপ করতে প্রায় ১ থেক ১.৫ লাখ টাকা খরচ হয়। তবে তা আরো বেশীও হতে পারে, ভেরিয়েবল।

৩ মাসের USCE রেসিডেন্সি পাবার জন্য যথেষ্ঠ। তবে রেসিডেন্সি পাওয়া পর্যন্ত নিজেকে প্রচুর আপডেট রাখুন এটা করে।

@Research:
USA তে রিসার্চ এক্সপেরিয়েন্স নিয়ে নিন রেসিডেন্সী তে এপ্লাই করার আগে।
কিছু রিসার্চ পজিশন আছে সেখানে। যেমনঃ
রিসার্চ ভলান্টিয়ার/ইন্টার্নঃ ভিজিট ভিসা দিয়েই হবে।

রিসার্চ এসিস্ট্যান্টঃ J1 ভিসা লাগবে। এটা আপনার রিসার্চার আপনাকে পেতে সাহায্য করবে। এটা পেইড/ আনপেইড উভয়ই হতে পারে।

পোস্ট ডক্টোরাল রিসার্চঃ এখানে ২ বছরের চুক্তি থাকে। তবে এটেন্ডিং এর সাথে মিউচুয়াল করে মাঝ পথে ভাংগা যায়। এর জন্য J1 ভিসা প্রয়োজন।

কিছু ইউনিভার্সিটি যারা আপনাকে রিসার্চে সাহায্য করে থাকবে/ রিসার্চ এর জন্য অফার করবেঃ
জন হপকিন্সঃ J1 ভিসা লাগবে।
ইয়েলঃ পোস্ট ডক্টোরাল, ভলান্টিয়ার রিসার্চ
MGH: Post Doc, , Volunteer research
NYU, New York: B1 (Visit visa)
MSKCC, New York: B1 (Visit visa)

কিভাবে রিসার্চ পজিশন পেতে হয়?
=যত বেশী সম্ভব ইউনিভার্সিটিকে ই-মেইল করুন।

@ক্লিনিক্যাল/ নন-ক্লিনিক্যাল রিসার্চ কোনটা করবো?
= রেসিডেন্সি তে এপ্লাই করার আগে নন-ক্লিনিক্যাল রিসার্চ এবং এপ্লাই করার সময় ক্লিনিক্যাল রিসার্চ প্রিফারেবল।

@যেকোন অথরশিপ কাজে লাগে?
=অবশ্যই 1st author is the most demandable, then 2nd..,3rd…,4rth..
রেসিডেন্সি তে রিসার্চ বাধ্যতামূলক নয়। তবে একজন ক্যান্ডিডেট এর রিসার্চ অভিজ্ঞতা থাকলে আপনি প্রতিযোগীতায় তার থেকেও পিছিয়ে গেলেন।
কিন্তু মনে রাখবেন, একটা/ দুটা পাবলিকেশন থাকা মানেই আপনার রেসিডেন্সী নিশ্চিত নয়।

@পাবলিকেশন ছাড়া কি রিসার্চ এক্সপেরিয়েন্স এর দাম আছে?
=অবশ্যই! যেকোন ধরনের রিসার্চ অভিজ্ঞতারই অনেক ভ্যলু আছে।
তবে আমেরিকায় কারো সাথে ৬ মাসের বেশী রিসার্চ এগ্রিমেন্ট এ যাবেন না। সবাই আপনাকে লং টাইম রিসার্চ করার প্রপোজাল দিবে। ব্যাপারটা মাথায় রাখবেন।

@LOR (Letter Of Recommendation):
ইউএসএর ফিজিশিয়ানরা অনেক ফ্রেন্ডলি, আপনি তাদের সাহায্য করুন রিসার্চে, কিংবা যেকোন কাজে এসিস্ট করুন তারা আপনাকে LOR দিবেন। কিছুটা হলেও ভলান্টিয়ারিং এর অভিজ্ঞতা রাখবেন জীবনে। এটা বেশ কাজে দেয়। অনেকেই আপনাকে LOR দিতে চাইবেনা। ভেংগে পরবেন না। আপনি আপনার ইফোর্ট দেখিয়ে যান।
LOR ২ রকমের হয়ে থাকে। যেমনঃ
১। ওয়েভার
২। নন-ওয়েভার।

আপনার প্রফেসর সরাসরি প্রোগ্রাম ডিরেক্টরকে LOR দিবে। আপনাকে দেখাবেনা এটা ওয়েভার। এটা খুব রিস্কি। আর আপনার প্রফেসর আপনাকে দেখিয়ে দিলে সেটা নন-ওয়েভার । এই ব্যাপারটা মাথায় রাখবেন।

@ERAS CV:
অনলাইনে একটা সিভির ফরম্যাট থাকবে সেটা ফিল আপ করলেই ইরাস সিভি কম্পলিট। সেখানে সব ভ্যালিড ইনিফরম্যাশন গুলো দিবেন। যেমন, ই-মেইল এড্রেস, প্রেজেন্ট এড্রেস, রিসার্চ এক্সপেরিয়েন্স, ভলান্টিয়ার এক্সপেরিয়েন্স, ক্লিনিক্যাল এক্সপেরিয়েন্স ইত্যাদি।

@NRMP (National Residency Matching Program)::
= বিভিন্ন রেসিডেন্সীতে এপ্লাই করার আগে ইরাস সিভি, NRMP রেজিস্ট্রেশন এগুলো কম্পলিট করুন। এই NRMP রেজিঃ ছাড়া আপনি ম্যাচ করতে পারবেন না। নভেম্বর এর আগেই করতে হয়, তানাহলে লেট ফি দিতে হয়।

@এই ফর্মাল কাজ গুলো শেষ হলেই আপনি বিভিন্ন টীচিং হসপিটাল থেকে ফোন পাবেন ইন্টারভিউয়ের জন্য। ইন্টারভিউ তে খুব স্মার্টলি ডিল করতে হয়। অনেক টেকনিক্যাল প্রশন আসে, খুব টেকনিক্যালি মৃদু হেসে উত্তর দিতে হয়। পৃথিবীর সব থেকে স্মার্টেস্ট ইন্টারভিউ হয় এই USMLE তেই। অনেক টেকনিক আছে, বিস্তারিত প্ল্যাটফর্মের ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং সেমিনারে আলচনা করা হবে। এই ব্যাপারগুলো আসলে লিখে বুঝানো যায় না। তবে মনে রাখবেন এই ব্যাপারগুলোর উপর নির্ভর করবে আপনি রেসিডেন্সী পাবেন কিনাঃ
১। যোগাযোগঃ প্রগ্রাম ডিরেক্টরদের সাথে প্রচুর যোগাযোগ রাখুব।
২। ভাল স্কোরঃ স্টেপ গুলূতে ভাল স্কোর করার ট্রাই করুন। এখানে স্কোরটাই সব থেকে বেশী গুরুত্বপূর্ন।
৩। ক্লিনিক্যাল এক্সপেরিয়েন্সঃ যত বেশী ক্লিনিক্যাল এক্সপেরিয়েন্স থাকবে তত ভাল।
৪। ভলান্টিয়ার এক্সপেরিয়েন্স।
৫। ভিসা স্ট্যাটাস।
৬। রিসার্চ এক্সপেরিয়েন্স।
৭। স্ট্রং LOR.
৮। Outstanding SOP (Statement of Purpose)
৯। ভাগ্য!!!!! (এটাই সব থেকে ইম্পর্ট্যান্ট ইস্যু!!!)
১০। স্টেপ-৩ কমপ্লিট।
১১। ফিলাডেলফিয়া, ওয়াহিও, নিউ-ইয়র্ক এই ৩টি স্টেটের হস্পিটাল গুলো IMG friendly . তাই বেশীরভাগ IMG এই ৩টি স্টেটের সব গুলো হসপিটালে এপ্লাই করে থাকে।

resize

@USMLE করলাম, রেসিডেন্সী তে এপ্লাই করলাম। রেসীডেন্সি পেলাম না! তাহলে কি সব শেষ?
= কখনোই না! আপনি নিউজিল্যান্ড এর মেডিকেল লাইসেন্স এক্সাম সরাসরি দিয়ে সেদেশে জব করতে পারবেন।
=দুবাই, আবু-ধাবি, কুয়েত, কাতার সহ কয়েকটি দেশে সরাসরি জব করতে পারবেন। এছারাও খুব সহজেই ইউএসএ তে নন-ক্লিনিক্যাল ক্যারিয়ার/পাবলিক হেলথ ক্যারিয়ারে সুইচ করতে পারবেন। লং লং জার্নি, অনেক সময় আপনি ডিমোরালাইজড হবেন, হতাশ হবেন, ভেংগে পারবেন, গিভ আপ করতে মন চাইবে তবে ভেংগে পড়বেন না। জীবনে ম্যাজিক আছে এটা বিশ্বাস করতে হবে!

Remember that: “Patience is the most important of all in case of USMLE”

Good Luck! Never Give up! Life is a full of magic box!

Vivek Podder

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Time limit is exhausted. Please reload the CAPTCHA.

Next Post

৫ম বর্ষের পড়ালেখার জন্য কিছু সাজেশন

Tue May 24 , 2016
লিখেছেন: ডাঃ মোহিব নীরব ১. তাইরে নাইরে নাইঃ ফিফথ ইয়ারের শুরুতে ৭-৮ মাস বুঝতে বুঝতেই চলে যায়। আমার মত ফাঁকিবাজ হলে তো কথাই নেই। ফাইনাল ইয়ারের আনন্দে শুধু ওয়ার্ড-লেকচার-ঘুমে(+যার যেটা নেশা/শখ) দিন যায় রাত আসে। আইটেম নাই, কার্ড-টার্ম কিছুই নাই, ওয়ার্ড ফাইনালের আগে দু একদিন শর্টকেস আর অসপিটা একটু দেখলেই চলে। […]

Platform of Medical & Dental Society

Platform is a non-profit voluntary group of Bangladeshi doctors, medical and dental students, working to preserve doctors right and help them about career and other sectors by bringing out the positives, prospects & opportunities regarding health sector. It is a voluntary effort to build a positive Bangladesh by improving our health sector and motivating the doctors through positive thinking and doing. Platform started its journey on September 26, 2013.

Organization portfolio:
Click here for details
Platform Logo