রবিবার, ১৫ জুন, ২০২৫
দেশের বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি কার্যক্রম শেষ হয়েছে। তবে এখনো অন্তত ৬০০ আসন এখনো শূন্য রয়েছে। এসব আসন পূরণে এখনো পর্যন্ত দ্বিতীয় দফার কোনো ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়নি। এমন অবস্থায় আগামী মঙ্গলবার (১৭ জুন) ক্লাস শুরুর আগেই দ্বিতীয় দফা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ভর্তির সুযোগ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা।
রবিবার (১৫ জুন) সকাল ১০টা থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সামনে ২য় সার্কুলারের দাবিতে মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা লিখিত বক্তব্যে বলেন, ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোর প্রথম দফার ভর্তি কার্যক্রম শেষ হলেও এখনো প্রায় ৬০০টি আসন এখনো ফাঁকা রয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের চিকিৎসা শিক্ষা শাখার উপপরিচালক ডা. ইয়াসমিন গুলমারামা। অথচ এখন পর্যন্ত দ্বিতীয় দফার ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়নি।
এই পরিস্থিতিকে ‘অযৌক্তিক ও অবিচারমূলক’ হিসেবে অভিহিত করে দ্বিতীয় সার্কুলারের জোর দাবি জানিয়েছেন ভর্তিচ্যুত শিক্ষার্থীরা। তাঁদের ভাষ্যমতে, ‘যোগ্যতা যখন আছে, সুযোগ কেন নেই?’
একাধিক শিক্ষার্থীর অভিযোগ, কেউ নিশ্চায়ন করতে ভুল করেছেন, কেউ আবেদন করতে গিয়ে প্রযুক্তিগত সমস্যায় পড়েছেন, কেউ অর্থসংকটে সময়মতো ভর্তি ফি জমা দিতে পারেননি। তাঁদের অনুরোধ, ফাঁকা আসনগুলো পূরণে অন্তত দ্বিতীয়বারের মতো একটি সুযোগ দেওয়া হোক।
শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্বে থাকা ডাইরেক্টরেট জেনারেল অব মেডিক্যাল এডুকেশন (ডিজিএমই) পোর্টালের সঙ্গে যোগাযোগ করলে জানানো হয়, দ্বিতীয় দফার সার্কুলারের অনুমতি মন্ত্রণালয় থেকে আসেনি। যার থেকে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, প্রযুক্তি থাকলেও সদিচ্ছার অভাব।
পোর্টাল প্রসঙ্গে বলেন, এই পোর্টাল কি এমন শক্তিশালী যে, সেটি কয়েকশ’ শিক্ষার্থীর ভবিষ্যতের চেয়ে বড়? খুলে দেওয়া তো শুধু একটি ক্লিকের বিষয়!
এ ছাড়া এর আগে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে দ্বিতীয় দফায় ৮৫৫টি ও তৃতীয় দফায় ৩২৮টি আসনে নতুন করে ভর্তি নেওয়া হয়েছিল। এমনকি ক্লাস শুরুর পরও ভর্তি করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে অধিদপ্তরের একাধিক সূত্র। অথচ এবার দ্বিতীয় দফার কোনো সার্কুলার দেওয়া হয়নি, যা একটি অমানবিক অবস্থা।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, শুধু ৬০০ আসন নয়, এর পেছনে আছে ৬০০টি জীবন, ৬০০টি পরিবার, আর হাজারো স্বপ্ন। এটি কোনো রাজনৈতিক দাবি নয়। একজন ডাক্তার মানে শুধু একজন পেশাজীবী নন, তিনি বহু মানুষের জীবনের ভরসা। সেই পথটা কি কেবল একটি পোর্টাল খোলা না হওয়ার কারণে বন্ধ হয়ে যাবে? তাঁরা শুধু একটি ন্যায্য সুযোগ চান। তাদের দাবি, আগামী মঙ্গলবার (১৭ জুন) ক্লাস শুরুর আগেই দ্বিতীয় দফার ভর্তি বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হোক।