বুধবার, ২৯ অক্টোবর, ২০২৫
আগামী দুই মাসের মধ্যে দেশের সকল হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পদ পূরণ হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান।

মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এক কর্মশালায় এ কথা জানান তিনি।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে পূর্ণাঙ্গ হাসপাতালে রূপান্তরের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে জানিয়ে অধ্যাপক সায়েদুর রহমান বলেন, আগামী দুই মাসের মধ্যে দেশের সব হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পদ পূরণ হবে। এমনকি অনেক অধ্যাপক ও সহযোগী অধ্যাপককে জেলা হাসপাতালে পদায়ন করা হবে।
এ সময় আগামী ২০ নভেম্বরের মধ্যে তিন হাজার ৫০০ নতুন চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হবে বলেও জানান স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী। বলেন, এর মাধ্যমে স্বাস্থ্যখাতে দীর্ঘদিনের জনবল ঘাটতি ও কাঠামোগত জটিলতা অনেকাংশেই কাটিয়ে উঠা সম্ভব হবে।
তিনি আরও বলেন, ৩৫০০ চিকিৎসকের মধ্যে ৩১০০ জনকে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে পাঠানো হবে। এতে চিকিৎসকের ঘাটতি অনেকটা কমে আসবে।
এ সময় চিকিৎসকদের নিয়োগ ও পদোন্নতিতে এবার অভূতপূর্ব পরিবর্তন আনার কথা জানান স্বাস্থ্যের বিশেষ সহকারী। বলেন, পদের বাইরে থেকেও সাত হাজার চিকিৎসককে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো পদোন্নতি দেওয়া হচ্ছে। আরও ৪০০-৫০০ চিকিৎসকের পদোন্নতি চূড়ান্ত পর্যায়ে। ফলে আগামী ৫-৭ বছরের মধ্যে চিকিৎসকদের পদসংক্রান্ত সংকট পুরোপুরি নিরসন হবে।
কর্মশালায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে সবার জন্য স্বাস্থ্যসুরক্ষা নিশ্চিত করতে হলে শক্তিশালী নীতি, পর্যাপ্ত বাজেট এবং দক্ষ মানবসম্পদ—এই তিনটি দিককে সমান গুরুত্ব দিতে হবে।
কাজের আন্তরিকতা বাড়লে স্বাস্থ্যব্যবস্থায় নানা শূন্যতার মধ্যেও অনেক সমস্যার সমাধান সম্ভব বলে মনে করেন তিনি।
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমান বলেন, আমাদের আরও অনেক কাজ বাকি। স্বাস্থ্যখাতকে মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য করে তুলতে হলে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের উপ-সচিব (এইচআর) ডা. মো. শেখ সাদেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি ডা. আহমেদ জামশেদ মোহাম্মদ, নিপসম পরিচালক অধ্যাপক ডা. জিয়াউল ইসলাম এবং বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) গবেষণা সহযোগী ডা. শাহানা সুলতানা প্রমুখ।
