ঢাকা মেডিকেল কলেজঃ গৌরবের ৭০ বছর

 

আজ ১০ জুলাই। দেশের প্রাচীনতম মেডিকেল কলেজ ঢাকা মেডিকেল কলেজের ৭০ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। চলুন জেনে আসি এই চিকিৎসা বিদ্যাপীঠের ইতিহাস।

ছবিঃ রক্তিম ভাই (কে ৬৪) ছোট ভাই তূর্যের মতে ভাই, এই ক্লিকটার জন্য সাম্নের অন্তত দেড় দুইশ বছরের জন্য আপনার অমরত্ব নিশ্চিত হয়ে গেল।
ছবিঃ রক্তিম ভাই (কে ৬৪) ছোট ভাই তূর্যের মতে ভাই, এই ক্লিকটার জন্য সাম্নের অন্তত দেড় দুইশ বছরের জন্য আপনার অমরত্ব নিশ্চিত হয়ে গেল।

সময়টা ১৯৩৯। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের দামামা বাজতে শুরু হয়েছে। সে বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কাউন্সিল তদানীন্তন বৃটিশ সরকারের কাছে ঢাকায় একটি মেডিকেল কলেজ স্থাপনের প্রস্তাব পেশ করে। কিন্তু যুদ্ধের ডামাডোলে প্রস্তাবটি হারিয়ে যায়। পরে আবার আলোর মুখ দেখে ছয় বছর পর ১৯৪৫ সালে যে বছর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হয়।

সার্জন ডাঃ মেজর ডব্লিউ জে ভারজিন
সার্জন ডাঃ মেজর ডব্লিউ জে ভারজিন

বৃটিশ সরকার উপমহাদেশের ঢাকা, করাচী ও মাদ্রাজে (বর্তমানে চেন্নাই) তিনটি মেডিকেল কলেজ স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়। এ উপলক্ষে ঢাকার তৎকালীন সিভিল সার্জন ডাঃ মেজর ডব্লিউ জে ভারজিন এবং অত্র অঞ্চলের প্রথিতযশা নাগরিকদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়। তাদের প্রস্তাবনার উপর ভিত্তি করেই ১০ জুলাই ১৯৪৬ তারিখে ঢাকা মেডিকেল কলেজ চালু হয়। তাই প্রতিবছর ১০ জুলাই ঢাকা মেডিকেল কলেজের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী বা ডিএমসি ডে উদযাপিত হয়।

এফআরসিএস ডিগ্রীধারী কুশলী অর্থোপেডিক সার্জন ডাঃ মেজর উইলিয়াম জন ভারজিন ছিলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের প্রথম অধ্যক্ষ। এই মহৎপ্রাণ শল্যবিদ ১৯৪৬ সালের ১ জুলাই থেকে ১৯৪৭ সালের ১৯ জুলাই পর্যন্ত এই পদে অধিস্থিত থাকেন।  ডাঃ ভারজিন ১৯৮৬ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজের ৪০ বছরপূর্তি অনুষ্ঠানে স্মৃতিচারণের এক পর্যায়ে বলেন যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ স্থাপনের আলোচনা সেরে তৎকালীন ভারতবর্ষের রাজধানী দিল্লী থেকে ফেরার পথে ট্রেনে ডাঃ ভারজিন এবং সেই সময়ের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রমেশচন্দ্র মজুমদারের মধ্যে আলাপচারিতায় রমেশ চন্দ্র বলেন, ‘মেডিকেল কলেজের জন্য যদি আমার নিজের বাড়ি ছেড়ে দিতে হয় তাও ঢাকায় মেডিকেল কলেজ হবে।’

রমেশচন্দ্র মজুমদার
রমেশচন্দ্র মজুমদার

ডা ভারজিনের স্মৃতি রক্ষার্থে কলেজ ভবন থেকে হাসপাতাল যাবার মধ্যবর্তী ছাউনিঘেরা করিডোরটির নামকরণ করা হয়েছে ‘ভারজিন’স করিডোর’।

আঁতুড় ঘরে থাকা এই চিকিৎসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এক সাথে পাঁচটি ব্যাচ ভর্তি হয়। কে ১ থেকে কে ৫। এর ভিতর কে ৫ এ নতুন ছাত্র ছাত্রী ভর্তি করা হয়। কে ১ থেকে কে ৪ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা আসে কলকাতা মেডিকেল কলেজ থেকে মাইগ্রেশন করে। মোট ছাত্র ১০২ জন আর ছাত্রী ২ জন।
অনেকেই প্রশ্ন করেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের ব্যাচগুলোর নামের আগে ‘কে’ শব্দটি কেন যুক্ত করা হয়? এর সম্পর্কে অনেক মতবাদ রয়েছে। কারও মতে কে ইংরেজি বর্ণমালার একাদশ বর্ণ নির্দেশ করে তৎকালীন ভারতীয় উপমহাদেশের একাদশ মেডিকেল কলেজকে। আবার কারও মতে কে এসেছে Kalcutta (যদিও Calcutta লিখা হত আর বর্তমানে Kolkata লিখা হয়) এর আদ্যাক্ষর থেকে। কারণ প্রথম দিককার অনেক ছাত্রই কলকাতা মেডিকেল কলেজ থেকে মাইগ্রেশন করে এসেছিল।

শুরুতে এনাটমি ও ফিজিওলজি ডিপার্টমেন্ট না থাকায় ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের মিটফোর্ড মেডিকেল স্কুলে ক্লাস করতে হত। একমাস পর এনাটমি বিভাগের অধ্যাপক পশুপতি বসু  এবং ফিজিওলজি বিভাগে অধ্যাপক হীরালাল সাহা  শিক্ষক হিসেবে যোগদানের পর হাসপাতালে ২২ নং ওয়ার্ডে ক্লাস শুরু হয়। তখন ছিল না কোন লেকচার গ্যালারি বা ডিসেকশান হল। ১৯৫৫ সালে কলেজ ভবন স্থাপনের পর সেই অভাব পূরণ হয়।

এই ব্যারাক হোস্টেলই ছিল ভাষা আন্দোলনের সূতিকাগার।
এই ব্যারাক হোস্টেলই ছিল ভাষা আন্দোলনের সূতিকাগার।

ছাত্রীরা বাড়ি থেকেই কলেজ যাতায়াত করতেন। কিন্তু ছাত্রদের থাকার একটা ব্যবস্থা করার প্রয়োজন দেখা ছিল। এখন যেখানে বহির্বিভাগ সেখানেই প্রতিষ্ঠা করা হয় প্রথম ছাত্র হোস্টেল। পাকা মেঝে, সারি সারি ঘর, মাঝে চাটাই এর বেড়া। অনেকটা আর্মি ব্যারাকের মত চেহারা। টিনের ছাউনির এই হোস্টেলের ডাকনাম ছিল ‘ব্যারাক হোস্টেল’। এই ব্যারাক হোস্টেলই ছিল ভাষা আন্দোলনের সূতিকাগার।

dmc barrack 2

ব্যারাক নিয়ে একটি কবিতা প্রচলিত ছিলঃ

‘ব্যারাক ভরা ধূলির আকর
রাজধানী এই ঢাকা শহর
তারই ভিতর আছে যে এক সকল গোয়ালের সেরা
অসুখ দিয়ে ভরা সে যে
ওষুধ দিয়ে ঘেরা।’

vasha andolon

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেরই একটা অংশে ছিল তখনকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্টস বিল্ডিং। আর ঐতিহাসিক সেই আমগাছ ছিল এরই চত্বরে। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ১৪৪ ধারা ভঙ্গের সিদ্ধান্ত হয় এই প্রাঙ্গনেই। ছাত্রদের নিরস্ত্র শান্তিপূর্ণ মিছিলে খাজা নাজিমুদ্দিনের পুলিশ গুলি করে। অনেকের সাথে সেদিন ঢাকা মেডিকেল কলেজের ছাত্র এম আই চৌধুরী, আবু সিদ্দিক, আলী আসগর, জসিমুল হক ও ফরিদুল হক কারাবরণ করেন। ২০ নং ব্যারাকের পাশেই এক অনামী শহীদের লাশ পড়েছিল সেদিন। ভাষা আন্দোলনের এই গৌরবময় স্মৃতিকে অমর করে রাখতেই ১২নং ব্যারাকের পাশে রাতারাতি শহীদ মিনার নির্মিত হয়। এর মূল উদ্যোক্তারা ছিলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজেরই ছাত্র। ভাষা আন্দোলনে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ছাত্রসংসদের বীরত্বগাথা অবিস্মরণীয়।

ঐতিহাসিক আমতলা
ঐতিহাসিক আমতলা

ভাষা আন্দোলন পরবর্তী সময়ে নানা আন্দোলনে ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের অনেক অবদান রয়েছে। ১৯৬৯ সালের ২০ জানুয়ারি ছাত্রদের বিক্ষোভ মিছিল শুরু হলে পুলিশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বর্তমান জরুরি বিভাগের নিকট মিছিলে প্রথমে লাঠিচার্জ ও পরে গুলিবর্ষণ করে। পুলিশের গুলিতে ছাত্রনেতা আসাদুজ্জামান গুরুতর আহত হন। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় কিন্তু চিকিৎসা শুরুর পূর্বে তিনি বর্তমান ৮ নং ওয়ার্ডে মারা যান। মেডিকেল কলেজের ছাত্ররা শহীদ আসাদুজ্জামানের রক্তমাখা শার্ট নিয়ে প্রথম শোক মিছিল বের করে। ১৯৭১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বটতলায় ছাত্রদের স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলনের কয়েকদিন পরেই হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসকরা বর্তমান ডক্টরস ক্যাফেটেরিয়ার চূড়ায় বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন।

একাত্তরেরর মুক্তিযুদ্ধেও ঢাকা মেডিকেল কলেজ এর শিক্ষার্থী এবং হাসপাতালের চিকিৎসকদের আত্মত্যাগ ছিল। এই কলেজের তৎকালীন ছাত্রদের মধ্যে বিভিন্ন সেক্টরে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে মোয়াজ্জেম হোসেন, সেলিম আহমেদ, আলী হাফিজ সেলিম, আবু ইউসুফ মিয়া, ইকবাল আহমেদ ফারুক, মুজিবুল হক, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, মোজাফ্‌ফর, আমজাদ হোসেন, ওয়ালী, ওসমান, গোলাম কবীর, জিল্লুর রহিম, ডালু, নুরুজ্জামান, শাহাদত প্রমুখ মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। এদের অনেকেই ঢাকা শহর কমান্ডের তত্ত্বাবধানে থেকে যুদ্ধে করেছেন।

ডা. মোঃ ফজলে রাব্বি
ডা. মোঃ ফজলে রাব্বি

ঢাকা মেডিকেল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী নিপা লাহিড়ী শহীদ হন মুক্তিযুদ্ধে। কে ২৬ ব্যাচের ছাত্র সিরাজুল ইসলাম হাসপাতালে বিভিন্নভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য করেতেন। তিনি রাতে হোস্টেলে না গিয়ে হাসপাতালের ক্যান্সার ওয়ার্ডে ঘুমাতেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজের কিছু স্বাধীনতা বিরোধী ছাত্রের সহায়তায় তাঁকে ১১ ডিসেম্বর রাতে রাজাকার বাহিনী ক্যান্সার ওয়ার্ড থেকে তুলে নিয়ে যায় এবং রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে নির্মমভাবে হত্যা করে।

ডা. আবদুল আলীম
ডা. আবদুল আলীম চৌধুরী
Prof_Md.-Mortaja
ডাক্তার মোহাম্মদ মরতুজা

মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে পাস করা চিকিৎসক, তৎকালীন ছাত্রছাত্রী এবং এ কলেজে কর্মরত চিকিৎসকদের মধ্যে ছিলেন ডা. মোঃ ফজলে রাব্বি, ডা. আবদুল আলীম চৌধুরী, ডা. সামসুদ্দিন আহমেদ, ডা. গোলাম মর্তুজা, ডা. আবদুল জব্বার, ডা. নরেন ঘোষ, ডা. মফিজ উদ্দিন খান, ডা. গোপাল চন্দ্র সাহা, ডা. লে. ক. এনএএম জাহাঙ্গীর এএমসি, ডা. মেজর একেএম আসাদুল হক এএমসি, ডা. লে. মোঃ আমিনুল হক এএমসি, মোঃ সিরাজুল ইসলাম (ছাত্র), মোঃ হাসান শহিদ (ছাত্র) প্রমুখ।

shahid doctor

২০১৩ সালের নভেম্বরে মুক্তিযুদ্ধে এ প্রতিষ্ঠানে যারা আত্মাহুতি দিয়েছেন তাদের স্মৃতি সংরক্ষণে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল-২-এ নির্মিত হয়েছে খোদাইকৃত ছবি সংবলিত ফলক। এ ফলকে স্থান পেয়েছে ৮১ জন চিকিৎসক এবং ১৭ জন শিক্ষার্থীর নাম। তাদের জীবনবৃত্তান্ত সংগ্রহ করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল-২-এর প্রকল্প পরিচালক এবং মুক্তিযুদ্ধে শহীদ চিকিৎসক জীবনকোষ গ্রন্থের রচয়িতা ড. বায়জীদ খুরশিদ। এর আগে ঢাকা মেডিকেল কলেজ চত্বরে ৭০-এর দশকে শুধু নাম সংবলিত একটি ফলক স্থাপন করা হয়।

image_155991.dr_.-milon-dibos-150x150
১৯৯০ সালের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের অমর শহীদ কে ৩৪ ব্যাচের ছাত্র, ফিজিওলজি বিভাগের প্রভাষক ডাঃ শামসুল আলম খান মিলন।

১৯৫৪ সালে ছাত্র হোস্টেল
১৯৫৪ সালে ছাত্র হোস্টেল

ছাত্রদের বকশীবাজার মোড়ের বর্তমান হলটি নির্মিত হয় ১৯৫০ থেকে ১৯৫৫ সালে। ১৯৭২ সালে যার নামকরণ করা হয় ‘শহীদ ডাঃ ফজলে রাব্বি’র নামে। এই হল এ একটি মূল ভবন ও ৩ টি ব্লকসহ মোট রুম এর সংখ্যা ২২৫ যা এমবিবিএস প্রথম বর্ষ থেকে পঞ্চম বর্ষ পর্যন্ত ছাত্রদের জন্য সংরক্ষিত।  ১৯৭৪-৭৫ সালে শিক্ষানবিশ ডাক্তারদের জন্য শহীদ ডাঃ ফজলে রাব্বি হলের পাশে পৃথক হোস্টেল প্রতিষ্ঠিত হয়, পরবর্তীতে এর নামকরণ করা হয় ‘শহীদ ডাঃ মিলন হোস্টেল’। এর পূর্বে শিক্ষানবিশ ডাক্তাররা চাঁনখারপুলের কাছে ওল্ড পিজি হোস্টেলে থাকত। ছাত্রীদের জন্য ডা আলীম চৌধুরী হল রয়েছে।

কোন চিকিৎসা বিদ্যাপীঠের সাথে তার হাসপাতালের গুরুত্বও অসীম। ১৯৪৬ সালে ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট বাংলাদেশের প্রথম ও ঐতিহ্যবাহী এ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল যাত্রা শুরু হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার পুরাতন সেক্রেটারিয়েট ভবনকে ৫০০ শয্যার হাসপাতালে রূপান্তরিত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই এই হাসপাতালটি আপামর জনগণের স্বাস্থ্য অধিকার নিশ্চিত করণে কাজ করে যাচ্ছে। ১৯৭৩ সালে এই হাসপাতালটির শয্যা সংখ্যা ১০৫০ তে উন্নীত করা হত।

Dhaka Medical College

১৯৭৫ সালে এই হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা ১০৫০ থেকে ৮০০ তে হ্রাস করা হয়। পরবর্তীতে বিভিন্ন সময় এই হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা ১৭০০ তে উন্নীত করা হলেও সে অনুপাতে অবকাঠামোগত ভৌত সুবিধাদি বৃদ্ধি করা হয় নি। ২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর ৬০০ শয্যাবিশিষ্ট ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ২ এর উদ্বোধন করা হয়। এখনও দেশের মানুষের শেষ ভরসাস্থল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।

dmch 2 .

সহশিক্ষা কার্যক্রমে ঢাকা মেডিকেল কলেজের রয়েছে সাফল্যগাথা। ১৯৪৭ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ফুটবল দল তারুবালা শিল্ডে চ্যাম্পিয়ন হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ ছাত্রসংসদের ক্রীড়া সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম দামাল ১৯৪৯ সালে পাকিস্তান এ ক্রিকেট দলে সুযোগ পান ওপেনিং ব্যাটসম্যান হিসেবে। ১৯৬২-৬৩ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ক্রিকেটদল ঢাকা বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হবার গৌরব অর্জন করে। কুইজ এবং বিতর্ক প্রতিযোগিতাগুলোতেও এই প্রতিষ্ঠানের সাফল্য অনেক।

পঞ্চাশের দশকের জনপ্রিয় রবিন্দ্রসংগীত শিল্পী শাহজাহান হাফিজ ছিলেন এই প্রতিষ্ঠানের ছাত্র।
এই মেডিকেল কলেজ থেকেই জন্ম হয়েছে সাবেক রাষ্ট্রপতি এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা দিপু মণি, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা আফম রুহুল হকসহ অনেকের। এই মেডিকেল কলেজ জন্ম দিয়েছে ডা মির্জা মাজহারুল ইসলাম, ডা দ্বীন মোহাম্মদ, ডা আজিজুল কাহার, ডা মারগুব হোসেনের মত কিংবদন্তীর।

DMCH ARIEL VIEW

সামনের দিনগুলোতেও এই চিকিৎসা বিদ্যাপীঠ তার স্বকীয়তাকে বজায় রেখে এগিয়ে চলবে এই কামনা করেই লেখাটি শেষ করছি।

তথ্যসূত্র এবং কৃতজ্ঞতাঃ

১। উইকিপিডিয়া

২। শেকড়ের সন্ধানে- সৈকত রায়, ঢাকা মেডিকেল কলেজের ক্যাম্পাস প্রকাশনা কে কথনে ২০১২ সালে প্রকাশিত।

dmc 1952

৩। রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন ও ঢাকা মেডিকেল- এম আর মাহবুব

( ডা রজত দাশগুপ্তের এই লেখাটি প্ল্যাটফর্ম পত্রিকার ৩য় সংখ্যায় প্রকাশিত) 

rajat

Next Post

জব নিউজ

Fri Jul 10 , 2015
LAMB Application Deadline: 16 July, 2015 Dhaka Community Medical College and Hospital Application Deadline: 26 July, 2015 Collected by Banaful Share on FacebookTweetFollow us

Platform of Medical & Dental Society

Platform is a non-profit voluntary group of Bangladeshi doctors, medical and dental students, working to preserve doctors right and help them about career and other sectors by bringing out the positives, prospects & opportunities regarding health sector. It is a voluntary effort to build a positive Bangladesh by improving our health sector and motivating the doctors through positive thinking and doing. Platform started its journey on September 26, 2013.

Organization portfolio:
Click here for details
Platform Logo