প্রতিনিয়তই আমরা বিজ্ঞানের নানারকম সৃষ্টি দেখতে পাচ্ছি। এবারও আমাদের সামনে এক নতুন তথ্য নিয়ে আসলো লন্ডনের কিছু বিজ্ঞানী।
আমাদের মা-মাসিদের ধারনাঃ  সময় মা যা খাবে বাচ্চা সেইরকম হবে। তাই আমাদের দেশে গর্ভকালীন সময় মা বোনদের বেশি যত্ন নেওয়া হয় এবং নানারকম কুসংস্কার মানা হয়। এছাড়া আমাদের দেশে মায়েরা সবসময়ই পুষ্টিহীনতায় ভুগে। তাই বাচ্চা প্রসবের সময় মা এবং শিশু দুইজনেরই নানারকম সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
 সময় মা যা খাবে বাচ্চা সেইরকম হবে। তাই আমাদের দেশে গর্ভকালীন সময় মা বোনদের বেশি যত্ন নেওয়া হয় এবং নানারকম কুসংস্কার মানা হয়। এছাড়া আমাদের দেশে মায়েরা সবসময়ই পুষ্টিহীনতায় ভুগে। তাই বাচ্চা প্রসবের সময় মা এবং শিশু দুইজনেরই নানারকম সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
এখন বিজ্ঞানীদের মতে, মায়ের খাদ্যাভাস তার অনাগত শিশুর শরীরের ওপর প্রভাব রাখে তার গর্ভকালের নয় বরং আগের, প্রভাবটা দীর্ঘমেয়াদী। মায়ের খাবারের জন্য শিশু আক্রান্ত হতে পারে নানাধরনের রোগে।
লন্ডন স্কুল অব হায়জিন অ্যান্ড ট্রপিকাল মেডিসিন এই তত্ত্ব দিয়েছে। তারা বলেছে, মায়েদের গর্ভপূর্ব খাদ্যাভাসের বড় ভূমিকা রয়েছে। গবেষণাপত্রের লেখক অধ্যাপক এন্ড্রু প্রেনটিস বলেন, এর সম্ভাব্য প্রভাবের মাত্রা ভীষণ।
তার সহকর্মী ড. ম্যাট সিলভার বলেন, এখন আর কেবল যে গর্ভবতী হলেই খাবার-দাবারে সচেতন হবেন তা নয়, সচেতন থাকতে হবে আগে থেকেই।
তারা এই নিয়ে গবেষণা করেছেন। এই আওতায় ১২০ জন নারীকে আনা হয় যাদের অর্ধেক হল শুকনো মুসুমে আর বাকি অর্ধেক কে বর্ষা মওসুমে সন্তান সম্ভাবনা করা হয়। গর্ভধারণের গোড়াতেই তাদের শরীরে পুষ্টির মান নির্ণয় করে নেন গবেষকরা। এরপর যখন তাদের সন্তানের জন্ম নেয়, তাদের ডিএনএ বিশ্লেষণ করে দেখা হয়। গর্ভে জীবন সৃষ্টির দিন কয়েকের মধ্যেই দেখা যায় শুষ্ক মওসুমের সন্তানগুলো একটু বেশিই সক্রিয়, কারণ এই সময় খাবারের প্রাচুর্য থাকে। গর্ভে উচ্চমাত্রায় সক্রিয়তা ক্যান্সার রোধ করে। আর বর্ষা মওসুমে গর্ভধারণ হলে সন্তানের ভাইরাস, সর্দিকাশি, পেটব্যথা থেকে এইচআইভি পর্যন্ত আক্রান্ত হওয়ার সুযোগ থাকে।
লেখিকা- অনন্যা রায়
সম্পাদনা- ডাঃ শেখ আহমেদুল হক


