নিচের ছবির ছেলেটিকে দেখছেন তার নাম আরাফাত। জন্মগত নিউরোলজিক্যাল সমস্যার (Myelomeningocele with Hydrocephalus) কারণে ১৫ দিন বয়সে সে গত বছরের এই দিনে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নিউরোসার্জারী বিভাগে ভর্তি হয়। ভর্তির টিকেটে তার মায়ের নামে তার নাম ছিল Baby of Sopna Das, মায়ের নাম স্বপ্না দাশ, বাবার নাম সজল দাশ, বাড়ি চন্দনাইশ, চট্টগ্রাম। ভর্তির কিছুক্ষণ পরেই তার পাষাণ মা-বাবা দুইজনই তাকে রেখে পালিয়ে যায়। এরপর থেকে নিউরোসার্জারী বিভাগের সকল ডাক্তার, নার্সিং স্টাফ, কর্মচারী, শিশুসার্জারী বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সমাজকল্যাণ বিভাগ, সর্বোপরি পরিচালক মহোদয়ের সহযোগিতায় দীর্ঘ এক বছর তার চিকিৎসা কার্যক্রম ও ভরণপোষণ পরিচালিত হয়। এই দীর্ঘ এক বছর সময়ে তার তিনটি মেজর সার্জারি হয়, যার সব ব্যয় ভার নিউরোসার্জারী বিভাগ ও সমাজকল্যাণ বিভাগ বহন করে।

আরাফাতকে কোলে নিয়ে যে মেয়েটি দাঁড়িয়ে আছে তার নাম রুমা। সে ছিল পার্শ্ববর্তী বিছানার রোগীর এটেনডেন্ট। মা-
 বাবাহীন আরাফাতকে দেখে তার অবুঝ হৃদয়ে মাতৃস্নেহ জেগে উঠে। তাই অবিবাহিত হওয়া স্বত্বেও, নিজের ভবিষ্যৎ জলাঞ্জলি দিয়ে অনাথ ছেলেটির দায়িত্ব নিজের ছোট্ট কাঁধে তুলে নেয়। শত বাধা বিপত্তি তার দায়িত্ব পালনে তাকে পিছু হটাতে পারেনি।
বাবাহীন আরাফাতকে দেখে তার অবুঝ হৃদয়ে মাতৃস্নেহ জেগে উঠে। তাই অবিবাহিত হওয়া স্বত্বেও, নিজের ভবিষ্যৎ জলাঞ্জলি দিয়ে অনাথ ছেলেটির দায়িত্ব নিজের ছোট্ট কাঁধে তুলে নেয়। শত বাধা বিপত্তি তার দায়িত্ব পালনে তাকে পিছু হটাতে পারেনি।
আজ দেখতে দেখতে একবছর হয়ে গেলো। আরাফাত আজ অজ্ঞাত নয়। তার পাশে আছে নিউরোসার্জারী বিভাগ, শিশুসার্জারী বিভাগ, সমাজকল্যাণ অধিদপ্তর এবং সর্বোপরি পরিচালক মহোদয়, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।
তাই আজকে আরাফাতের হাসপাতালে ভর্তির দিনে হাসপাতালেই আমরা মহাসমারোহে তার জন্মদিন পালন করলাম।
শুভ জন্মদিন।
ফিচার টি এন টিভি কাভার করেছে যা আজ সন্ধার পর নিউজে দেখাবার কথা। প্রথম আলো পত্রিকা তাদের চট্রগ্রাম সংস্করনে আজ নিউজটি কাভার করেছে।
মূল লেখাঃ ইসমাইল হোসেন
তথ্য ও ছবিঃ
ডাঃ হুমায়ন রশিদ সাগর
ফেইজ বি রেসিডেন্ট, নিউরোসার্জারী
চট্রগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল/


