“বিসিএস(স্বাস্থ্য) ক্যাডার নিয়ে কিছু ভাবনা”

বিসিএস(স্বাস্থ্য) পরীক্ষায় পাশ করে ডাক্তাররা সরকারি চাকুরীতে নিয়োজিত হয়। তারপর এক একজন এক একদিকে চলে যায়। কেউ কাঙ্খিত বিষয়ে পোস্টগ্রাজুয়েশন করতে পারে, কেউ পারে না। এ ক্যাডারটি অনেক বড়। তাই এ ক্যাডারের ম্যানেজমেন্টও বেশ কঠিন। বিসিএস(স্বাস্থ্য) ক্যাডারটিকে ভেঙ্গে ক্লিনিক্যাল, মেডিকেল এডুকেশন এবং মেডিকেল এডমিনিস্ট্রেশন এই তিন ভাগে ভাগ করে ফেলা উচিত। বিসিএস(ক্লিনিক্যাল) এ যারা যাবে তারা প্রচলিত ক্লিনিক্যাল সাবজেক্ট যেমন মেডিসিন, সার্জারি, গাইনি ইত্যাদি বিষয়ে পোস্টগ্রাজুয়েশন করবে এবং পর্যায়ক্রমে মেডিকেল অফিসার থেকে জুনিয়র কনসালটেন্ট/সহকারী অধ্যাপক, সিনিয়র কনসালটেন্ট/সহযোগী অধ্যাপক, অধ্যাপক হিসাবে প্রমোশন পাবে। ডিগ্রি না হলে মেডিকেল অফিসার থেকে সিনিয়র মেডিকেল অফিসার, চিফ মেডিকেল অফিসার, ডিস্ট্রিক্ট মেডিকেল অফিসার ইত্যাদি পদে প্রমোশন দিয়ে বেতনের প্রতিটি গ্রেডে পৌঁছানোর সুযোগ রাখতে হবে। ক্লিনিক্যাল ক্যাডারের কর্মকর্তারা ইন্সটিটিউশনাল প্রাকটিস করবে, বাইরে প্রাকটিস বন্ধ করে দিতে হবে। সরকারি হাসপাতালে ফ্রি চিকিৎসার কনসেপ্ট বদলাতে হবে। রোগী সব সেবার জন্য চিকিৎসককে নির্ধারিত মূল্য পরিশোধ করবে, অতিদরিদ্র হলে রাষ্ট্র ভর্তুকি দেবে। প্রাইভেট ডাক্তাররাই কেবল প্রাইভেট প্রাকটিস করবে।
বিসিএস(মেডিকেল এডুকেশন) ক্যাডারের ডাক্তাররা মূলত নন-ক্লিনিক্যাল সাবজেক্টে পোস্টগ্রাজুয়েশন করবে এবং প্রভাষক থেকে সহকারী অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক, অধ্যাপক হিসাবে প্রমোশন পাবে। তাদের নন-প্রাকটিসিং ভাতা দিতে হবে। ইউজার ফি চালু রাখতে হবে। বিসিএস (মেডিকেল এডমিনিস্ট্রেশন) ক্যাডারের ডাক্তাররা হেলথ ম্যানেজমেন্ট, হসপিটাল ম্যানেজমেন্ট ইত্যাদি বিষয়ের উপর পড়ালেখা করবে এবং সহকারী ইউএইচএ, ইউএইচএ, ডেপুটি সিএস, সিএস, ডিভিশনাল ডিরেক্টর, ডিজি, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ স্বাস্থ্য প্রশাসনের সব পদে তারা থাকবে। তাদেরকেও নন-প্রাকটিসিং ভাতা দিতে হবে। স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় যেমন ক্লিনিক মনিটরিং, ডায়াগনস্টিক মনিটরিং, ওষুধের মান নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি কাজে তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিতে হবে। এসব করা গেলেই সরকারি ডাক্তারদের মানোন্নয়ন হবে এবং জনগণও কাঙ্খিত সেবা পাবে বলে বিশ্বাস। সরকারি ডাক্তারদের পোস্টিং, প্রমোশন, যৌক্তিক দাবি ইত্যাদি নিয়ে অব্যবস্থাপনায় রেখে তাদের কাছ থেকে রোগীদের জন্য সুষ্ঠ ব্যবস্থাপনার আশা করা হাস্যকর নয় কি?

ডাঃ এম আমির হোসেন
জুনিয়র কসালটেন্ট(মেডিসিন)

helth20150809201715

ডক্টরস ডেস্ক

9 thoughts on ““বিসিএস(স্বাস্থ্য) ক্যাডার নিয়ে কিছু ভাবনা”

  1. অসাধারণ! তবে একটা ব্যাপার, ক্লিনিক্যালদের প্রাইভেট প্রাকটিস বন্ধ করলে এমনিই আয়ের সমতা আসবে, তাইলে আর ননপ্রাক্টিসিং ভাতা কেন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Time limit is exhausted. Please reload the CAPTCHA.

Next Post

অনলাইন মেডিকুইজের চূড়ান্ত ফলাফল

Mon Sep 21 , 2015
গত ১৯/০৯/২০১৫ তারিখে বিশ্বখ্যাত মেডিকেল টেক্সটবুক প্রকাশনী সংস্থা Elsevier এর সহযোগীতায় প্ল্যাটফর্ম এবং এশিয়ান মেডিকেল স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ এর আয়োজনে অনুষ্টিত হয়ে গেল বাংলাদেশের ইতিহাসের প্রথম অনলাইন মেডিকুইজ। সেই মেডিকুইজের ফলাফল আমাদের হাতে এসে পৌঁছেছে। আমরা শীর্ষ এক থেকে দশ পর্যন্ত প্রতিযোগীদের পুরস্কৃত করবো। উল্লেখ্য দুই জন প্রতিযোগীর নম্বর সমান […]

Platform of Medical & Dental Society

Platform is a non-profit voluntary group of Bangladeshi doctors, medical and dental students, working to preserve doctors right and help them about career and other sectors by bringing out the positives, prospects & opportunities regarding health sector. It is a voluntary effort to build a positive Bangladesh by improving our health sector and motivating the doctors through positive thinking and doing. Platform started its journey on September 26, 2013.

Organization portfolio:
Click here for details
Platform Logo