প্ল্যাটফর্ম নিউজ, রবিবার, ১০ অক্টোবর, ২০২১
বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর স্তন ক্যান্সার সচেতনতার মাস হিসেবে অক্টোবর মাস পালিত হয় ‘পিঙ্ক অক্টোবর’ নামে। এর মধ্যে ‘১০ অক্টোবর’ স্তন ক্যান্সার সচেতনতার দিন হিসেবে নির্ধারিত।
 সারা বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে স্তন ক্যান্সার সচেতনতার মাস- পিংক অক্টোবর এ বাংলাদেশে প্রথমবারের মত আয়োজিত হল- Walk For Pink. স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এর চতুর্থ এইচপিএনএসপি এর অধীনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এর দিকনির্দেশনায় এবং UNFPA এর সহযোগিতায় এই আয়োজন করেছে- মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের ছাত্র- ছাত্রীদের দ্বারা পরিচালিত সংগঠন – “মেডিসিন ক্লাব”। পূর্ব নির্ধারিত সময়ে রেজিষ্ট্রেশনকারী সম্পূর্ণ স্বেচ্ছাসেবকদের পরিহিত গোলাপি টি-শার্ট এ গতকাল (৯ অক্টোবর) সকাল ৮ টায় রঙিন হয়ে ওঠে ঢাকার হাতিরঝিল৷ প্রায় ৩৫০ জন স্বেচ্ছাসেবক অংশগ্রহণ করে এই ওয়াকাথনে।
সারা বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে স্তন ক্যান্সার সচেতনতার মাস- পিংক অক্টোবর এ বাংলাদেশে প্রথমবারের মত আয়োজিত হল- Walk For Pink. স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এর চতুর্থ এইচপিএনএসপি এর অধীনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এর দিকনির্দেশনায় এবং UNFPA এর সহযোগিতায় এই আয়োজন করেছে- মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের ছাত্র- ছাত্রীদের দ্বারা পরিচালিত সংগঠন – “মেডিসিন ক্লাব”। পূর্ব নির্ধারিত সময়ে রেজিষ্ট্রেশনকারী সম্পূর্ণ স্বেচ্ছাসেবকদের পরিহিত গোলাপি টি-শার্ট এ গতকাল (৯ অক্টোবর) সকাল ৮ টায় রঙিন হয়ে ওঠে ঢাকার হাতিরঝিল৷ প্রায় ৩৫০ জন স্বেচ্ছাসেবক অংশগ্রহণ করে এই ওয়াকাথনে।

ওয়াকাথনের মাধ্যমে সমাজের অন্যান্যদের দৃষ্টি আকর্ষণ ও তাদের মনেও স্তন ক্যান্সার নিয়ে প্রশ্ন জাগ্রত করাই মূলত এই আয়োজন এর লক্ষ্য। মাসব্যাপী দেশের বিভিন্ন জেলাতেও তাদের আরো সচেতনতামূলক কার্যক্রম চলমান থাকবে বলে জানান “ওয়াক ফর পিংক” এর কো-অর্ডিনেটর ও মেডিসিন ক্লাবের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা ডা. উম্মে হুমায়রা কানেতা। “মেডিসিন ক্লাব” নামক শিক্ষা ও সমাজসেবামূলক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠমটি বিগত ২ বছরে অনলাইন ও অফলাইনে নানা কার্যক্রমের মাধ্যমে স্তন ক্যান্সার ও জরায়ু মুখের ক্যান্সার সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করছে।


ডা. কানেতা আরো বলেন,
“অন্যান্য বার আমরা আমাদের সোসাইটি গুলোর মধ্যেই কাজ করতাম। এই প্রথম একেবারেই সাধারণ সবার জন্য উন্মুক্ত এই আয়োজন করার কথা ভাবি। সবাই যে পরিমাণ সাড়া দিয়েছেন, তা সত্যিই আমাকে অবাক করেছে। করোনার কথা বিবেচনা করে ইচ্ছে থাকলেও অনেক বড় করে আয়োজন করা সম্ভব হয়নি। তবে ভবিষ্যতে সব কিছু স্বাভাবিক হলে এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।”

“স্তন ক্যান্সার” সারা বিশ্বের ১৮৬ টি দেশের মহিলাদের মধ্যে এক ভয়াবহ মরণব্যাধির নাম। সারা বিশ্বে প্রতি আট জন মহিলার মধ্যে একজন স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হবার ঝুঁকি বহন করেন। বাংলাদেশে ও প্রতি বছর নতুন প্রায় ২০০০০ নারী স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছেন। ২০১৮ সালের পর থেকে গ্লোবোকন এর তথ্য উপাত্ত অনুযায়ী জরায়ু মুখের ক্যান্সারকে পেছনে ফেলে প্রথম স্থান দখল করেছে এই স্তন ক্যান্সার। ক্যান্সারের কথা শুনলে অনেকেই আঁতকে ওঠেন, কিন্তু অনেকেই জানেন না, সূচনায় পড়লে ধরা, স্তন ক্যান্সার যায় যে সারা। তাই সবারই এসম্পর্কে সঠিক তথ্যগুলো জেনে রাখা উচিত।স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকিসমূহ কাদের মধ্যে বেশি, স্তন ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণসমূহ কি কি এবং যেসকল নারীরা ঝুঁকি বহন করছেন, তাঁরা কিভাবে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার মাধ্যমে খুব সহজে বিপদ এড়িয়ে চলতে পারেন- এ নিয়ে খুব বেশি কথা বলা, আলোচনা হওয়া এখন সময়ের দাবী।

বর্তমানে আমাদের দেশেই স্তন ক্যান্সারের সকল আধুনিক চিকিৎসা করানো সম্ভব। সরকারি ও বেসরকারি সেক্টরে আছে উন্নত আধুনিক সব চিকিৎসা সেবা। নিজে জানুন, অন্যকে জানতে সহায়তা করুন। কারণ, একমাত্র সবার মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করতে পারলে প্রাথমিক পর্যায়েই স্তন ক্যানসার নির্ণয় করা খুবই সহজ এবং এর মাধ্যমে প্রায় পঞ্চাশ ভাগ ক্যান্সার সহজে নিরাময়যোগ্য।


