শনিবার, ১৭ মে, ২০২৫
বাংলাদেশে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি এবং উচ্চ রক্তচাপজনিত মৃত্যু ক্রমবর্ধমান হারে বাড়ছে। সরকার ইতোমধ্যে কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ প্রদানের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। তবে টেকসই অর্থায়নের অভাবে দেশব্যাপী নিরবিচ্ছিন্ন ওষুধ সরবরাহ নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে না। এই সংকট মোকাবেলায় প্রতি বছর বাজেটে বরাদ্দ বাড়ানো অত্যন্ত জরুরি।
শনিবার (১৭ মে) বিশ্ব উচ্চ রক্তচাপ দিবস উপলক্ষে রাজধানীর বিএমএ ভবনে গবেষণা ও অ্যাডভোকেসি প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) আয়োজিত ‘উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে অগ্রাধিকার: বাংলাদেশ প্রেক্ষিত’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় বিশেষজ্ঞ বক্তারা এসব অভিমত ও পরামর্শ তুলে ধরেন।
এই আয়োজন করেছে গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটর (জিএইচএআই)। এবছর বিশ্ব উচ্চ রক্তচাপ দিবসের প্রতিপাদ্য ‘সঠিকভাবে রক্তচাপ মাপুন, নিয়ন্ত্রণে রাখুন এবং দীর্ঘজীবী হোন’।
আলোচনা সভায় জানানো হয়, বাংলাদেশে উচ্চ রক্তচাপে ভুগছে প্রতি চারজন প্রাপ্তবয়স্কের মধ্যে একজন। বাংলাদেশে মোট মৃত্যুর ৭১ শতাংশের জন্য দায়ী হৃদরোগ, স্ট্রোক, ক্যান্সার, কিডনি রোগ, শ্বাসতন্ত্রের রোগ ও ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন অসংক্রামক রোগ, যার অন্যতম কারণ উচ্চ রক্তচাপ। তবে এই পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য অর্থ বরাদ্দের পরিমাণ মোট স্বাস্থ্য বাজেটের মাত্র ৪.২ শতাংশ, যা খুবই অপ্রতুল।
এ বিষয়ে কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্ট এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক খোরশেদ আলম বলেন, উচ্চ রক্তচাপসহ বিভিন্ন অসংক্রামক রোগের প্রকোপ কমাতে স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম প্রান্তিক জনগোষ্ঠী কেন্দ্রিক করার কোনো বিকল্প নেই।
স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ডা. লিয়াকত আলী বলেন, স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশন আইনগতভাবে বিনামূল্যে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের পাশাপাশি এসেনসিয়াল ড্রাগস্ কোম্পানি লিমিটেড এর সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে ওষুধের সহজলভ্যতা নিশ্চিতকরণের সুপারিশ করেছে।
প্ল্যাটফর্ম/