সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস বর্জনসহ সকল কার্যক্রম বন্ধ ঘোষনা

সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের ক্লাস বর্জনসহ সকল কার্যক্রম বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে মেডিকেল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা। দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত আগামীকাল শনিবার সকাল থেকে এই কর্মবিরতি চালিয়ে যাবেন বলে তারা লিখিত বিবৃতিতে উল্লেখ করেছেন। দাবীগুলো হচ্ছে,
১।সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের ২৫০ শয্যা চালু
২। প্রয়োজনীয় ডাক্তার, নার্স, আয়া ও সরঞ্জামাদির ব্যবস্থা করে উপযুক্ত শিক্ষার পরিবেশ সৃষ্টি করা।

সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের ছাত্র ছাত্রিরা বলেছেন, চারটি ব্যাচে ২০৮ জন ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি হয়ার পর থেকে নানান প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে তারা পড়াশুনা করে আসছে। ইতোপূর্বে তাদের দাবী দাওয়ার মুখে ২৫০ শয্যা মেডিকেল কলেজের মাত্র ৩০ টি শয্যা চালু হলেও বাকী ২৭০ টি শয্যা অনিশ্চিত হয়ে আছে। এছাড়া, অধিকাংশ ডাক্তার রাজধানী ঢাকাতে থাকেন। তাঁরা সময় মতো সাতক্ষীরায় আসেন না। প্রয়োজনীয় শিক্ষক (ডাক্তার), নার্স, আয়া ও যন্ত্রপাতি না থাকায় তাদের পড়াশুনায় ব্যাপক দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বিষয়টি নিরসনে একাধিকবার কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও তার কোন সমাধান পাওয়া যায়নি এখন পর্যন্ত।

ছাত্র ছাত্রিরা জানান, অনতিবিলম্বে পূর্ণাঙ্গ হাসপাতাল চালু না হলে তাদের অন্য কোন মেডিকেল কলেজে ফিয়ে ফাইনাল পরীক্ষা দেওয়া ছাড়া উপায় থাকবে না এবং এতে তারা দারুনভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবে। বর্তমানে যে ক্লাসগুলো হচ্ছে সেগুলো কোনমতে অসম্পূর্ণ ক্লাস চলছে এবং চলমান ২০৮ জন ছাত্র-ছাত্রীর পাশাপাশি এবছর আরো ৫২ জন ছাত্র-ছাত্রী এখানে ভর্তি হয়েছে । তারা আগামী জানুয়ারি থেকে ক্লাস করবে। ছাত্ররা জানান এভাবে চলতে থাকলে আমাদের নতুন ব্যাচকেও এই সমস্যার সম্মুখিন হতে হবে। এজন্য ছাত্র-ছাত্রীদের দাবী পূরণ না হওয়া পর্যন্ত সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের সকল ছাত্র-ছাত্রী অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস, আইটেম,কার্ড, টার্ম, ওয়ার্ডসহ সকল কার্যক্রম বন্ধ রাখার ঘোষনা দিয়েছে। ঘোষনাটি ৩১ অক্টোবর শনিবার সকাল থেকে কার্যকর হবে। এদিন সকালে মেডিকেল কলেজের সামনে ছাত্র-ছাত্রীরা শান্তিপূর্ণ অবস্থান ধর্মঘট পালন করারও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডাঃ কাজী হাবিবুর রহমান জানান, বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তাদের নির্দেশনা অনুযায়ি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। এছাড়া, ছাত্র-ছাত্রীদের আন্দোলনে না যাওয়ার জন্যও বলা হয়েছে।

এখানে উল্লেখযোগ্য যে, সাতক্ষীরাবাসীর দীর্ঘ দিনের দাবী ছিলো একটি ২৫০ শয্যা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডাঃ আ, ফ, ম রুহুল হক সেই দাবী পূরণে সচেষ্ট হন। এক পর্যায়ে ২০১১ সালের ১৬ অক্টোবর সাতক্ষীরা শহরের অদূরে বাঁকাল নামক স্থানে যাত্রা শুরু হয় মেডিকেল কলেজের। নানান অনিয়ম আর দূর্ণীতির মধ্য দিয়ে তৈরি হয় মেডিকেল কলেজটি। যদিও এটি সম্পূর্ণ করতে এর অনেক কিছুই এখনো বাকি রোয়ে গেছে ।

Ishrat Jahan Mouri

Institution : University dental college Working as feature writer bdnews24.com Memeber at DOridro charity foundation

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Time limit is exhausted. Please reload the CAPTCHA.

Next Post

আবিষ্কার হল প্রথম কৃত্রিম হৃদযন্ত্রের

Sat Oct 31 , 2015
নাম তার “BIVACOR” । কৃত্রিম হৃদযন্ত্র কোনওরকম স্পন্দন ছাড়াও রক্ত পাম্প করতে সক্ষম হবে। অস্ট্রেলিয়ার একদল গবেষক বিশ্বের প্রথম এই কৃত্রিম হৃদযন্ত্র আবিষ্কার করলে। ডিভাইসটি বানিয়েছেন ব্রিসবেনের ডা: ড্যানিয়েল টিমস। ২০০১ সালে কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার সময় এই নিয়ে কাজ শুরু করেন তিনি। বর্তমানে কৃত্রিম হৃদযন্ত্রটি পরীক্ষামূলকভাবে মানবদেহে প্রতিস্থাপিত করা হয়েছে। […]

Platform of Medical & Dental Society

Platform is a non-profit voluntary group of Bangladeshi doctors, medical and dental students, working to preserve doctors right and help them about career and other sectors by bringing out the positives, prospects & opportunities regarding health sector. It is a voluntary effort to build a positive Bangladesh by improving our health sector and motivating the doctors through positive thinking and doing. Platform started its journey on September 26, 2013.

Organization portfolio:
Click here for details
Platform Logo