কোভিড-১৯ঃ বয়োজ্যেষ্ঠ নাগরিকদের সেবায় করণীয়

 

প্ল্যাটফর্ম নিউজ, ১৫ মে ২০২০, শুক্রবার

 কোভিড-১৯ সংক্রমণ রোধে বয়োজ্যেষ্ঠ  নাগরিকদের সেবায় করনীয়ঃ

১. প্রবীণদের বারবার হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তোলার জন্য উৎসাহিত করতে হবে। হাত ধোয়ার পর হ্যান্ড-ক্রীম ব্যবহার করা যেতে পারে।

২. নিজের ব্যবহৃত জিনিসপত্র, যেমন তোয়ালে অন্য কারো সাথে অদলবদল করা যাবে না।

৩. দৈনন্দিন ব্যবহার্য জিনিসপত্র, যেমন ঘড়ি, চশমা, ছড়ি, হুইল চেয়ার, ইউরিনাল পট ইত্যাদি নিয়মিত জীবাণুমুক্ত করতে হবে।

৪. পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম এবং পুষ্টিসমৃদ্ধ সুষম খাবার গ্রহণ করতে হবে। স্বাভাবিক জীবনযাপনের নিয়ম মেনে চলা উচিত। পানি ও তরল খাবার বেশি পরিমানে খেতে হবে।

৫. সম্ভব হলে পরিবারের অন্য সদস্যরা নিয়মিত শরীরের তাপমাত্রা এবং রক্তচাপ পরীক্ষা করে দেখবেন। সন্দেহজনক উপসর্গ, যেমন জ্বর, কাশি, ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্ট, হঠাৎ গন্ধ না পাওয়া, শরীর অতিরিক্ত দূর্বল লাগা, এসব সমস্যা দেখা দিলে সচেতনতা অবলম্বন করতে হবে এবং অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা শুরু করতে হবে।

              ছবিঃ সংগৃহীত

৬. একান্ত প্রয়োজন না হলে ঘরেই অবস্থান করা শ্রেয়। জনবহুল এলাকা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ যথাসম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে। যেকোন জনসমাগম যেমন অনুষ্ঠান, চায়ের দোকানে আড্ডা ইত্যাদি পরিহার করতে হবে।

৭. বাইরে যাওয়ার সময় নিজের নিরাপত্তার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে, যেমন মাস্ক পরিধান করা এবং কমপক্ষে ১ মিটার অথবা তার চেয়ে বেশি দূরত্ব বজায় রেখে চলাফেরা করতে হবে।

৮. যারা ফুসফুস অথবা হার্টের বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছেন, তাদেরকে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ মেনে যথাযথ উপায়ে মাস্ক পরিধান করে বাইরে বের হতে হবে।

৯. পূর্ব থেকে অসুস্থ ব্যক্তিগণ ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ বন্ধ করবেন না। যেকোন সমস্যায় চিকিৎসার জন্য অথবা পরামর্শের জন্য আপনার নিকটবর্তী চিকিৎসা কেন্দ্রে যাবেন অথবা মোবাইলের মাধ্যমে নির্দেশনা নিতে পারেন।

নিকটবর্তী চিকিৎসা কেন্দ্রে যাওয়ার সময়েও অবশ্যই নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে অর্থাৎ মাস্ক পরিধান করতে হবে। রোগীর বদলে পরিবারের অন্য সদস্যও ওষুধ আনা নেওয়ার ব্যপারে সহযোগিতা করতে পারে।

১০. যে সকল বয়স্ক রোগীদের সর্বক্ষণ যত্নের প্রয়োজন তাদের পরিচর্যাকারীদেরকেও নিজেদের স্বাস্থ্যের প্রতি যত্নবান হতে হবে। যতটা সম্ভব ঘরেই অবস্থান করতে হবে।
বাহিরে যাওয়ার প্রয়োজন হলে অবশ্যই নিজস্ব সুরক্ষা সামগ্রী অর্থাৎ মাস্ক পরে বাহিরে যেতে হবে।

১১. বয়স্ক রোগীদের মানসিক স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখতে হবে। তাদের কথা বলার সময় সুযোগ দিতে হবে এবং ঘুম বিশ্রাম ঠিকঠাক হচ্ছে কী না সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

১২. তাদেরকে টেলিফোন ও ডিজিটাল যন্ত্র পাতির মাধ্যমে পারিবারিক ও সামাজিক ভাবে সংযুক্ত রাখতে হবে।

লেখকঃ ডা. মোঃ রিজওয়ানুল করিম

নাজমুন নাহার মীম

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Time limit is exhausted. Please reload the CAPTCHA.

Next Post

করোনা হাসপাতালের বিভিন্ন সঙ্গতিপূর্ণ দিকগুলো

Fri May 15 , 2020
শুক্রবার, ১৫ মে, ২০২০ করোনা হাসপাতাল ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন অসংগতির যেমন সমালোচনা করি, তেমনি সংগতিগুলোর প্রশংসা করতেও পিছপা হব না: অনেক অনেক ধন্যবাদ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও ঢাকা মেডিকেলের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসির উদ্দিন স্যারকে। করোনা ডেডিকেটেড ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডাক্তার, নার্স ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ উৎকৃষ্ট মানের সুরক্ষা […]

Platform of Medical & Dental Society

Platform is a non-profit voluntary group of Bangladeshi doctors, medical and dental students, working to preserve doctors right and help them about career and other sectors by bringing out the positives, prospects & opportunities regarding health sector. It is a voluntary effort to build a positive Bangladesh by improving our health sector and motivating the doctors through positive thinking and doing. Platform started its journey on September 26, 2013.

Organization portfolio:
Click here for details
Platform Logo