চাকুরীর প্রস্তুতির জন্য ভার্সিটিতে খারাপ রেজাল্ট

দেশে চাকুরীর দুষ্প্রাপ্যতা আর তুমুল প্রতিযোগিতার কথা চিন্তা করে অনেকেই আন্ডারগ্রাজুয়েশন লেভেল থেকেই চাকুরীর প্রস্তুতি নিতে থাকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ালেখা নাকি চাকুরীর প্রস্তুতি এই দ্বন্দ্ব নিয়ে লিখেছেন ডাঃ আরিয়ান আহমেদ (ডিএমসি ২০০৩-০৪)।

ইদানিং দেখতে পাচ্ছি ভার্সিটি পড়ুয়া অনেক স্টুডেন্টই ভার্সিটির শুরু থেকেই চাকুরী নিয়ে অনেক বেশিই সিরিয়াস, বিশেষ করে বিসিএস পরীক্ষা নিয়ে। অনেক ইনবক্স পাচ্ছি তারা চাকুরী ও বিসিএস নিয়ে ভাবতে গিয়ে একাডেমিক রেজাল্ট খারাপ করে ফেলেছে এবং এখন কি করবে ভেবে পাচ্ছেনা? এতো আগে থেকে মূল পড়াশোনা বাদ দিয়ে এসব নিয়ে ভাবলে তো একাডেমিক রেজাল্ট খারাপ হবেই।

তোমরা জীবনে ভালো কিছু করার জন্য ভার্সিটিতে ভর্তি হয়েছো, এই ভালো মানে অনেক কিছুই হতে পারে যেমন গবেষক, শিক্ষক, চাকুরীজীবী যেকোনো কিছু। ভার্সিটি তো আর শুধু চাকুরীর কোচিং সেন্টার না তাইনা? একটা কথা মাথায় রাখা উচিত, জীবনে তারাই ভালো কিছু করে যারা সময়ের কাজ সময়মত করে। প্রতিটি কাজের একটা উপযুক্ত সময় আছে, তোমরা যারা ভার্সিটি লাইফে আছো তাদের চেষ্টা করা উচিত অনার্সে ভালো রেজাল্ট এর চেষ্টা করা,অনার্সের শেষের দিকে এসে টুকটাক প্রস্তুতি চাকুরীর প্রস্তুতি নেয়া শুরু করতে পারো। এইচ এস সি পাশের পর থেকে যদি কারো মাথায় চাকুরীর চিন্তা ঘুরপাক খায় তাহলে তো তার স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হবেই। আর চাকুরীই করতে হবে এমন মনোভাব রাখা উচিত না। নিজের passion আর ভালোলাগা যেন অন্যকে অন্ধভাবে অনুকরণ করতে গিয়ে ধূলিসাৎ না হয়ে যায় সেদিকে খেয়াল রাখা উচিত তাইনা? ভার্সিটি লাইফটা উপভোগ করা উচিত এবং ভার্সিটিতে নিজের বিষয়ে ভালো রেজাল্টের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করা উচিত। সময়ের কাজ সময়ে করতে না পারলে প্রকৃত কাজ পণ্ড হবার সম্ভাবনা বেশি থাকে। একই সাথে দুই নৌকায় পা দিলে দুটো কাজই পণ্ড হবার সম্ভাবনা থাকবে। ক্যারিয়ার প্ল্যানিং এ সবসময়ই বিকল্প ১-২ টা প্ল্যান করে রাখা উচিত, যেমন প্রথমে একটা টার্গেট নিয়ে ছুটবেন, সেটা নাহলে কি করবেন এবং সেটাও না হলে কি করবেন এসব আগে থেকেই ভেবে রাখবেন, তাহলে প্রেশার কম পড়বে নিজের ওপর। প্ল্যান এ, বি, সি এভাবে ৩-৪ টা প্ল্যান করে রাখুন, তাহলে সহজে কখনো হতাশা আসবে না। কারণ আপনার আগেই ঠিক করা আছে এটা নাহলে কি করবেন।

কোন কিছু লক্ষ্য নিয়ে ছুটলে নিজের বেস্টটা দেয়ার চেষ্টা করবেন। পরিশ্রম করলে এমনভাবে করবেন যেন সফল হওয়া যায়, নাহলে ঐ আধা আধা পরিশ্রম করে খুব একটা ভালো রেজাল্ট আসে না। আর একটুতেই অন্যের দিকে তাকানো,বিভিন্ন গুঁজবে কেন দেয়া এসব পরিহার করতে পারলে অনেক উপকার হবে। যে অল্পে হতাশ না হয়ে, প্রেশারে না ভেঙে পড়ে চেষ্টা চালিয়ে যায় সে সফল হয়ই। ভালো থাকবেন সবাই, Good luck guys!

Platform

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Time limit is exhausted. Please reload the CAPTCHA.

Next Post

স্থূল শিশুদের জন্য উচ্চমাত্রার ভিটামিন ডি এর প্রয়োজনীয়তা

Mon Oct 14 , 2019
ভিটামিন ডি একটি চর্বিতে দ্রবণীয় ভিটামিন, যা কিনা শিশুর হাড়ের বৃদ্ধির জন্য অত্যাবশ্যকীয়। ইন্সটিটিউট অব মেডিসিন অ্যান্ড এন্ডোক্রাইন সোসাইটি এর ক্লিনিকাল প্র্যাকটিস গাইডলাইন অনুযায়ী serum 25-hydroxyvitamin D যদি ২০ ন্যানোগ্রাম/ মিলিলিটার এর চেয়ে কমে যায়, তখন তাকে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি হিসেবে গণ্য করা হয়। এই ঘাটতি পূরণের লক্ষ্যে ১-১৮ […]

Platform of Medical & Dental Society

Platform is a non-profit voluntary group of Bangladeshi doctors, medical and dental students, working to preserve doctors right and help them about career and other sectors by bringing out the positives, prospects & opportunities regarding health sector. It is a voluntary effort to build a positive Bangladesh by improving our health sector and motivating the doctors through positive thinking and doing. Platform started its journey on September 26, 2013.

Organization portfolio:
Click here for details
Platform Logo