স্নেহময় যকৃত/ ফ্যাটি লিভার সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

পরিচিত একজনের সঙ্গে দেখা। তার খুব মন খারাপ।
কি ব্যাপার? জানা গেল তিনি কোন কারণে পেটের আল্ট্রাসোনো পরীক্ষা করাতে গিয়েছিলেন। রিপোর্টে বলছে লিভার বড় হয়ে গিয়েছে; কারণ লিভারে চর্বি জমেছে। তার “ফ্যাটি লিভার” হয়েছে। এতদিন তার ধারণা ছিল মদ-সিগারেট খেলে লিভারে চর্বি জমে। তিনি মদ জীবনে স্পর্শও করেননি; কোনদিন এক শলা সিগারেটও হাতে নেননি। অথচ তারই কিনা ফ্যাটি লিভার হল। স্বভাবত এরজন্য মন খারাপ।

ফ্যাটি লিভার আপাতঃ দৃষ্টিতে তেমন গুরুতর নয়। এটা আসলে বাড়তি চর্বির সঞ্চয়। কিন্তু পরবর্তীতে এর ফলে লিভারের গুরুতর অসুখ হতে পারে। আমরা অনেক সময় ভুলে যাই যে, ফ্যাটি লিভার আসলে মেটাবলিক সিনড়্রোমেরই আরেক সঙ্গী। মেটাবলিক সিনড়্রোমের কারণে হৃদরোগ কিংবা স্ট্রোক হয়। লিভারের চর্বির কমানোর আসলে এখনও তেমন কোনো কাজের ওষুধ নেই। এরজন্য দরকার সঠিক জীবনাচরণ, সুষম খাওয়া-দাওয়া এবং প্রয়োজন মতো ব্যায়াম।

লিভারের নিজস্ব ওজনের চেয়ে ৫ শতাংশের বেশি পরিমাণ ফ্যাট জমলে সেটাকে ফ্যাটি লিভার বলা হয় । লিভারে বাড়তি চর্বি জমতে পারে দুধরণের কারণেঃ
• প্রথমতঃ যারা নিয়মিত মদ পান করে থাকেন তাদের লিভারে চর্বি জমে। প্রতিদিন কোন মহিলা ২০ গ্রাম এবং কোন পুরুষ ৩০ গ্রামের বেশী অ্যালকোহল পান করলে তার লিভারে বাড়তি চর্বি জমতে শুরু করে। তখন এটাকে বলা হয় অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার।
• দ্বিতীয়তঃ মদ ছাড়া আরও অনেক কারণে লিভারে বাড়তি চর্বি জমে। যেমনঃ ভাইরাসজনিত যকৃত প্রদাহ বা ভাইরাল হেপাটাইটিস, হরেকরকম জানা বা অজানা লিভারের পক্ষে ক্ষতিকর বিষ বা টক্সিন, বিভিন্ন রকম ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া, অনেক রকম অটোইমিউন ডিজিজ, উইলসনস ডিজিজ ইত্যাদি।
এসকল কারণ বাদ দিলেও আরও অনেক চর্বিসমৃদ্ধ লিভারের রোগ পড়ে থাকে । এদের লিভারে চর্বি জমার কারণ সহজে ব্যাখ্যা করা যায়না। এইসব ফ্যাটি লিভারের নাম নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ (NAFLD)। শুরুর দিকে ফ্যাটি লিভার কোনো কষ্টের উদ্রেক না করলেও ক্রমে এই বাড়তি ফ্যাট কেবল নিস্ক্রিয় থাকে না; এরা অত্যন্ত সক্রিয় হরমোন সৃষ্টিকারী এন্ডোক্রিন অঙ্গে পরিণত হয় এবং প্রদাহ সৃষ্টি করে। শেষ পর্যন্ত এর থেকে লিভার সিরোসিসও হতে পারে।
নন অ্যালকোহলিক স্টিয়াটোহেপাটাইস (nonalcoholic steatohepatitis বা NASH)
ফ্যাটি লিভার প্রথম দিকে কেবল দৃশ্যমান চর্বি-সম্পৃক্ত লিভারের রোগের একটা পর্যায়ে থাকে। এটা ক্রমে বেড়ে গিয়ে প্রদাহ সৃষ্টিকারী এক অন্যমাত্রার রোগে পরিণত হয় যা nonalcoholic steatohepatitis বা NASH নামে পরিচিত। অর্থাৎ প্রথমে কেবল প্রদাহবিহীন ফ্যাটের আধিক্য থাকলেও পরে কোনো কোনো ক্ষেত্রে এটা প্রদাহ সৃষ্টিকারী নন-অ্যালকোহলিক স্টিয়াটোহেপাইটিসে পরিণত হয়। আর তখনই সমস্যার শুরু। এই শেষ ধরনের ফ্যাটি লিভারের রোগ পরিণতি হিসাবে সিরোসিসে রূপান্তরিত হতে পারে ।
আমাদের শরীরে ইনসুলিনের কর্মক্ষমতা হ্রাসের ফলে অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিস প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের সরবরাহকারী রক্তনালীর মধ্যে কোলেস্টেরল ও রক্তে দ্রবীভূত ও ভাসমান বিভিন্ন পদার্থের সমন্বয়ে তৈরি অ্যাথেরোস্ক্লেরোটিক প্লাক জমা হতে থাকে। ফলে রক্তনালীর আভ্যন্তরীণ দেওয়ালের ঝিল্লি-আবরণ ও মাংসপেশির স্তরটি পুরু হয়ে যায়। অ্যাথেরোস্ক্লেরোটিক প্লাক রক্তনালীর দেওয়ালে এমনভাবে জমে যায় যে তা আর সরানো যায় না। এর ফলে রক্তনালী সরু হয়ে যায় এবং ওই রক্তনালীর উপর নির্ভরশীল অঙ্গের কাজ করার ক্ষমতা কমে যায়।
হৃদপিণ্ডের রক্তনালী সরু হয়ে গেলে হৃদপেশীতে প্রয়োজনীয় অক্সিজেনের অভাবে ক্রনিক ইস্কিমিক হার্ট ডিজিস অথবা হার্ট অ্যাটাক হয়। মস্তিস্কের রক্তনালী সরু হয়ে গেলে সেরিব্রাল স্ট্রোক হয়। সরু হয়ে যাওয়া মস্তিষ্কের রক্তনালীতে রক্ত জমাট বেঁধে যাবার ফলে সংকটজনকভাবে রক্তপ্রবাহ হ্রাস বা সেরিব্রাল ইনফারক্ট অথবা রক্তনালী ফেটে গিয়ে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়। হৃদরোগ, সেরিব্রাল ষ্ট্রোক ইত্যাদি রোগগুলোর মধ্যে একটা মিল রয়েছে। সেটা হল এগুলোর মূল কারণ অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিস। এত কথা বলার কারণ হচ্ছে ফ্যাটি লিভারের মধ্যে প্রদাহ সৃষ্টিকারী “ন্যাশ” (NASH) প্রদানবিহীন ফ্যাটি লিভারের (NAFLD) চেয়ে বেশী হৃদরোগ সৃষ্টি করার ক্ষমতা রাখে।

প্রাথমিক ফ্যাটি লিভার থেকে “ন্যাশ”-এর উপস্থিতি পার্থক্য করা এবং “ন্যাশ”-এ রূপান্তরের সম্ভাবনা নিরূপণ করার জন্য লিভারের বায়োপসি করে হিস্টোপ্যাথলজি পরীক্ষা করা সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য উপায়। এছাড়া আরও কিছু আধুনিক পরীক্ষা পদ্ধতি রয়েছে।

লিভারের মধ্যে প্রদাহ সৃষ্টিকারী “ন্যাশ”-এর উপস্থিতি নির্ণয় করা জরুরি । কারণ এর হৃদরোগ সৃষ্টি করার ক্ষমতা বেশি; আর দীর্ঘমেয়াদি কুফল হিসাবে অনিরাময়যোগ্য লিভারের সিরোসিস হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। সবশেষে মনে রাখতে হবে, একই পরিমাণের ফ্যাটি লিভারের জন্য পশ্চিমাদের চেয়ে বাংলাদেশী কিংবা এশিয়া মহাদেশের মানুষের ইনসুলিনে অসংবেদনশীলতা অনেক গুণ বেশি। অন্যকথায় ফ্যাটি লিভার বাংলাদেশের মানুষের জন্য বেশী বিপদের।

এ পর্যায়ে মেটাবোলিক সিনড্রোম সম্পর্কে কিছু বলা দরকার।
মেটাবলিক সিনড্রোমের (Metabolic Syndrome) নাম আজকাল প্রায়ই শোনা যায়। “সিনড্রোম” কথাটার অর্থ একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত রোগলক্ষণের সমষ্টি। এটা সাধারণত একটা বিশেষ রোগের অস্তিত্ব বোঝায়। হৃদরোগ বা বৃহদার্থে অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিস রোগ শুরু হওয়ার আগে শরীরে যে জৈব-রাসায়নিক প্রক্রিয়াগুলো চলতে থাকে সেটা হল মেটাবলিক সিনড্রোম। এই অবস্থায় যকৃত ও শরীরে অন্যান্য স্থানে প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত চর্বি জমা হতে থাকে। এর ফলস্বরূপ ইনসুলিন অসংবেদনশীলতার (insulin resistance) উদ্ভব হয় ও চর্বি-নিঃসৃত লেপটিন এবং এরকম কিছু হরমোনের প্রভাবে প্রদাহের সৃষ্টি হয়। রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা ও ক্ষতিকারক কম ঘনত্বের কোলেস্টেরলের (Low Density Lipoprotein, LDL) মাত্রা বাড়তে থাকে। অবস্থা সামাল দেওয়ার জন্য অগ্নাশয় বা প্যানক্রিয়াস থেকে অতিরিক্ত পরিমাণে ইনসুলিন রক্তে মিশতে থাকে। ফলে রক্তে ইনসুলিনের মাত্রা বেড়ে যায়। কিন্তু গ্লুকোজ ব্যবহারকারী কোষসমূহ (যেমন মাংসপেশি) ইনসুলিনের প্রতি অসংবেদনশীল থাকে। রক্ত থেকে গ্লুকোজ অণু মাংসপেশি ও অন্যান্য কোষের বাইরের আবরণ ভেদ করে ভেতরে ঢুকতে হলে কোষের আবরণটিকে ইনসুলিনের জন্য সংবেদনশীল থাকতে হয়। মেটাবলিক সিনড্রোমে কোষের আবরণের এই সংবেদনশীলতা কমে যায়। এজন্য রক্তে ইনসুলিনের মাত্রা বেশী থাকলেও দেহকোষের আবরণের ইনসুলিন অসংবেদনশীলতার জন্য রক্তের গ্লুকোজ দেহকোষের মধ্যে ঢুকতে পারে না এবং রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে যায়। মেটাবলিক সিনড্রোমের ফলস্বরূপ অতি লঘু ঘনত্বের কোলেস্টেরল (Very Low Density Lipoprotein, VLDL) ও ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রাও বেড়ে যায়। কিন্তু উপকারী গুরু ঘনত্বের (High density Lipopoprotein, HDL) কোলেস্টেরলের মাত্রা কমতে থাকে; আর রক্তচাপ বৃদ্ধি পায়। রক্ত জমাট বাঁধার জন্য লিভার থেকে অতিরিক্ত পরিমাণে কোয়াগুলেশন প্রোটিন, প্রদাহ নির্ণায়ক সি-রিঅ্যাকটিভ প্রোটিন বেশি তৈরি হয়ে রক্তে মিশতে থাকে। পরিণতি হিসাবে রক্তনালীর মধ্যে অ্যাথেরোস্ক্লেরোটিক প্লাক বা প্রদাহ সৃষ্টিকারী কোলেস্টেরল সমৃদ্ধ পদার্থ জমতে থাকে। সবকিছু বিবেচনা করলে এক কথায় বলা যায় যে মেটাবলিক সিনড্রোম আসলে আপাত-নিরীহ ফ্যাটি লিভার থেকে হৃদরোগ ও সেরিব্রাল স্ট্রোকের মতো মারাত্মক রোগ সৃষ্টির মধ্যবর্তী একটি পর্যায়।

মেটাবলিক সিনড্রোমের উপস্থিতি নির্ণয় করা সহজ। আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিস ফেডারেশনের নির্দেশনা (২০০৬)অনুসারেঃ

নাভি বরাবর পেটের পরিসীমা বা কোমরের ঘের প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষদের ক্ষেত্রে ৯৪ সেন্টিমিটার এবং মহিলাদের ক্ষেত্রে ৮০ সেন্টিমিটারের বেশি হলে এবং এর সঙ্গে নীচের অবস্থাগুলোর মধ্যে অন্তত দুটো উপস্থিত থাকলে মেটাবলিক সিনড্রোম হয়েছে বলে গণ্য করা হয়ঃ

(১) খালি পেটে রক্তে সুগারের মাত্রা প্রতি ডেসিলিটারে ১০০ মিলিগ্রামের বেশি অথবা ডায়াবেটিসের চিকিৎসা পেলে
(২) খালি পেটে রক্তে ট্রাইগ্লিসাইডের মাত্রা প্রতি ডেসিলিটারে ১৫০ মিলিগ্রামের বেশি কিংবা রক্তে ট্রাইগ্লিসাইড কমানোর ওষুধ সেবন করলে
(৩) রক্তে গুরু ঘনত্বের কোলেস্টেরলের মাত্রা পুরুষদের প্রতি ডেসিলিটারে ৪০ মিলিগ্রামের এবং মহিলাদের ডেসিলিটারে ৫০ মিলিগ্রামের কমকিংবা রক্তে গুরু ঘনত্বের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানোর ওষুধ সেবন করলে
(৪) সিস্টোলিক রক্তচাপ ১৩০ মিলিমিটার পারদচাপ এবং/অথবা ডায়াস্টলিক রক্তচাপ ৮৫ মিলিমিটার পারদচাপের বেশি হলে উচ্চ রক্তচাপ কমানোর ওষুধ সেবন করলে।

ফ্যাটি লিভারের চিকিৎসা
দুর্ভাগক্রমে ফ্যাটি লিভার হল এমন একটি রোগ যার কার্যকরী ওষুধ খুবই সস্তা, বলতে গেলে কোন পয়সাই খরচ করতে হয় না। আর এজন্যই কেউ এর প্রতি গুরুত্ব দেয় না। কিন্তু অকাজের দামি ওষুধগুলি বেশি জনপ্রিয়। সকলেই জানেন যে, স্থুলতা এবং মেদভুঁড়ি কমাতে পারলে ফ্যাটি লিভার থেকে মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। কিন্তু গাঁটের কড়ি খরচ করে তো শরীরের ওজন কমানো যায় না। ফ্যাটি লিভারের সহসা কমানোর মত ম্যাজিক-চিকিৎসা নেই। ওজন কমানোর জন্য জিহ্বা সংযত করে খাবারের পরিমাণ কমাতে হবে; আর প্রয়োজনমতো ব্যায়াম করতে হবে। প্রাকৃতিকভাবে শরীরের প্রয়োজন অনুযায়ী খাবার ছন্দ তৈরি না হলে, সচেতনভাবে প্রতিটি গ্রাসের হিসাব রেখে খেতে হবে।

ডায়েট চার্টের হিসাব মিলিয়ে খাদ্যশস্যের ওজন করে খাওয়ার ঝক্কি সকলের মানায় না। দিনের পর দিন একঘেয়ে খাবারও কারও মুখে রোচে না। এটাই ডায়েট চার্টের বড় অসুবিধা। ব্যায়ামের সম্পর্কেও অনেকের ভুল ধারণা রয়েছে। অ্যারোবিক ব্যায়াম, অর্থাৎ জোর কদমে ৪ থেকে ৫ কিলোমিটার হাঁটা, জগিং, স্কিপিং, ট্রেডমিলে হাঁটা, সাঁতার কাটা ইত্যাদির বদলে কম খাটুনির ধীর লয়ের ব্যায়াম বেশি জনপ্রিয়। কম খাটুনির ব্যায়ামে শক্তিক্ষয় (ক্যালরি খরচ) নগণ্য, তাই ওজনও কমে না; কিন্তু লিভারের ফ্যাট ফুলেফেঁপে উঠতে থাকে। এজন্য আসলে প্রয়োজন সুষম খাবারের মূল সূত্রগুলো বুঝে নিয়ে সচেতনভাবে স্বাস্থ্যকর খাদ্যগ্রহণ অভ্যাসে পরিণত করা এবং বিশ্বস্ততার সঙ্গে নিয়মিত ঘাম ঝরানো অ্যারোবিক ব্যায়াম করা। এটাই হল ফ্যাটি লিভারের সবচেয়ে কার্যকর চিকিৎসা।

অতএব বলা যায় সচরাচর “ফ্যাটি লিভার” নামে যে সমস্যাটির কথা আজকাল শোনা যায় এটা আসলে স্থূলতা এবং মেদভুঁড়ির এক অভিশাপ। চিকিৎসা শাস্ত্রের ভাষায় এটাকে নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ বলে। কখনো কখনো এর দীর্ঘমেয়াদী কুফল হিসাবে নন-অ্যালকোহলিক স্টিয়াটোহেপাটাইটিস “(NASH)” নামে এক প্রদাহযুক্ত অবস্থা সৃষ্টি হয়। ন্যাশ থেকে পর্যায়ক্রমে অনিরাময়যোগ্য লিভারের সিরোসিস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। পশ্চিমী জীবনযাত্রায় অভ্যস্ত হওয়ার ফলে স্থুলকায়তারর সঙ্গে এসবের প্রকোপ বেড়েছে। আর অনিবার্য কুফল হিসাবে বেড়ে যাচ্ছে ইনসুলিন-অসংবেদনশীলতা এবং মেটাবলিক সিনড্রোম। মেটাবলিক সিনড্রোম হওয়া মানেই পরিণতিতে আমরা আক্রান্ত হচ্ছি উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, সেরিব্রাল স্ট্রোক, কিডনি বিকলতা ইত্যাদি অনিরাময়যোগ্য রোগের সমাহারে। ফ্যাটি লিভারের কোনো যাদুকরী ওষুধ নেই। স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস আর নিয়মিত অ্যারোবিক ব্যায়ামই একমাত্র এ রোগ থেকে আমাদের রক্ষা করতে পারে।
..
কৃতজ্ঞতাঃ
ডা. সাইফুদ্দিন একরাম

Labonno Rahman

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Time limit is exhausted. Please reload the CAPTCHA.

Next Post

বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত গবেষকের আলোড়নকারী আবিষ্কার

Mon Apr 10 , 2017
এলার্জি কেন হয়-এর নেপথ্য কারণ উদঘাটন করলেন বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত গবেষক ড. হায়দার আলী। দীর্ঘ চেষ্টার ফসল হিসেবে সেটি ইউনিভার্সিটি অব পেনসিলভেনিয়া (ইউপেন)’র গবেষণা জার্নালে প্রকাশিত হয়। সেই গবেষণা-ফসল বিস্তারিতভাবে প্র্যাগে আগামী ২৫ থেকে ২৭ মে পর্যন্ত অনুষ্ঠিতব্য ‘ইউরোপিয়ান মাস্ট সেল এ্যান্ড বাসফিল রিসার্চ নেটওয়ার্ক ইন্টারন্যাশনাল মিটিং’-এ উপস্থাপন করবেন। ইমিউন সিস্টেমের […]

Platform of Medical & Dental Society

Platform is a non-profit voluntary group of Bangladeshi doctors, medical and dental students, working to preserve doctors right and help them about career and other sectors by bringing out the positives, prospects & opportunities regarding health sector. It is a voluntary effort to build a positive Bangladesh by improving our health sector and motivating the doctors through positive thinking and doing. Platform started its journey on September 26, 2013.

Organization portfolio:
Click here for details
Platform Logo