মেডিকেল ভাইভাতে ভাল করার কৌশল

মেডিকেলে পড়া মানেই ভাইভার এক গভীর অরন্যে প্রবেশ করা।।প্রথম বর্ষে তো সিনিয়রদের কাছেও ভাইভা দিতে হয়।।
আইটেম পরিক্ষা থেকে শুরু করে এফ,সি,পি,এস পর্যন্ত ভাইভার কোন অন্ত নেই।।
এমন অনেক ছাত্র আছে যারা পড়াশোনায় ভাল তবুও ভাইভাতে ফেইল করে
আবার এমনও আছে যারা মোটামোটি পড়াশোনা করে ভাল ভাইভা দেয়।।
প্রত্যেকটা পরিক্ষার একেকটি নিজস্ব কৌশল আছে।
তেমনি মেডিকেল ভাইভারও কিছু কৌশল আছে যেগুলি অন্য ভাইভা থেকে একটু আলাদা কারন ডাক্তার পরিক্ষকদের রুচি,চিন্তা, মাপকাঠি ইত্যাদি অন্যদের চেয়ে একটু ভিন্ন।।
যেমন ডাক্তারগন নরমসরম আচরন আর ভক্তিবোধ একটু বেশি পছন্দ করেন।

♥সব কিছু বিবেচনা করেই পরিক্ষার্থীদের জন্য কিছু টিপস নিচে দেয়া হলঃ
♦১.পোশাক পরিচ্ছেদঃ
সাদাসিধে স্বাভাবিক রঙ এর পোশাক পরবেন।বেশি উজ্জ্বল বা বেশি পুরাতন পোশাক না পরাই ভাল।যে পোশাক যেভাবে বানানো সেভাবেই পরবেন(শার্ট,এপ্রোন,জামা ইত্যাদির হাতা গুটিয়ে রাখবেন না।)
ছেলেদের সেন্ডেল না পরাই ভাল।জুতা পরিস্কার করে পরবেন।নতুন জুতা জরুরী নয়।।
চুল দাড়ি কেটে যাবেন অথবা দাড়ি রাখতে চাইলে আগে থেকেই বড় করা শুরু করবেন
যেন না জিজ্ঞেস করেই বুঝা যায় যে এটা আপনার ধর্মীয় ইস্যু।।
মেয়েদের চুল যে কালারের ই হোক না কেন বেধে যাবেন।কপালে গালে বার বার চুল না পড়াই ভাল।।
♦২.পরিক্ষা রুমে প্রবেশ এবং বসাঃ
-সম্বোধন সূচক বাক্য এভারেজ আওয়াজে উচ্চারণ করে (সালাম দিয়ে)রুমে ঢোকবেন।
প্রত্যেক পরিক্ষককে আলাদাভাবে সালাম দিতে যাবেন না।একবার বললেই হবে।।
-জুতা ঘষে হাটবেন না।
-পরিক্ষার রুমে আপনার কোন সিনিয়র, স্যারদেরকে সহায্য করার জন্য নিয়োজিত থাকলে উনার ইন্সট্রাকশন ফলো করবেন।
স্যাররা যদি কোন কথা নিয়ে ব্যস্ত থাকেন তবে সিনিয়রের কথায় চেয়ারে বসে যাবেন।স্যারদের বলার জন্য অপেক্ষা করা এবং সিনিয়রের কথা অমান্য করাটা বেমানান।।
-চেয়ারে হেলান দিয়ে বসবেন না।
-হাত স্যারদের টেবিলে রাখবেন না।
-পা ফাক করে বসবেন না।।
-মেয়েরা বেশি উজ্জ্বল কালারের লিপস্টিক দিবেন না।
-বেশি কুজো বা বেশী সোজা হয়েও বসবেন না।।
-নিচে তাকিয়ে নয়, স্যারদের চেহারার দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন শুনবেন এবং উত্তর দিবেন।।
♦৩.ভাইভাঃ
প্রশ্ন ভালভাবে শুনে উত্তর করবেন।
-নম্রতার ভান করে বেশী আস্তে কথা বলবেন না।।
-কোন কিছু না পারলে আপনি পারতেন কিন্তু মনে নাই তার অতিরিক্ত অভিনয় করবেন না।।
-কোন কিছু আপনার মনে ছিল না কিন্তু স্যার বলার পর মনে পড়েছে, এমন হলে,
ইসস-ইসস
অথবা জোড়েজোড়ে জি স্যার জি স্যার বলবেন না।।
-প্রত্যেকটি প্রশ্নেই শুনেন না এমন অভিযোগে স্যারকে বারবারই রিপিট প্রশ্ন করাবেন না।। না শুনার ভান করে জি স্যার,জি স্যার?? ইত্যাদি বলবেনা।।
-কোন প্রশ্ন না পারলে তার আশপাশের কথা বার্তা বলার চেস্টা করবেন না।।
-কোন ব্যাপারে আপনার ভাল জ্ঞান থাকলেও প্রশ্নের উত্তরের বাহিরে অতিরিক্ত কিছু বলতে যাবেন না।।
-পরিক্ষকদের কোন গল্পের বিষয় যদি আপনার জানাও থাকে তবুও আপনি তাতে অংশগ্রহণ করবেন না অথবা হেসে উঠবেন না।।
-প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সাথে নিয়ে যাবেন।।
-টেবিল ভাইভাতে কার্ড প্রশ্ন নিয়ে মিথ্যা,বানোয়াট অথবা যা লিখা আছে তার চেয়ে কম প্রশ্ন বলবেন না।ধরা খেলে খবর আছে।।
-কোন প্রশ্নের উত্তর বলার সময় বারবার বলবেন না যে,
এটা হতে পারে,
সেটা হতে পারে,
হতে পারে হতে পারে করবেন না, সোজা উত্তর দিবেন।।
অথবা,
এটা হবে মেম
সেটা হবে মেম,,
মেম মেম করবেন না।।
অথবা,
Then হচ্ছে
Then হচ্ছে,,করবেন না।।
শুধু প্রশ্নের উত্তর বলবেন।।
আপনার স্মার্ট আচরন আপনার নাম্বার বাড়াতে সাহায্য করবে আবার আপনার খেত আচরণ আপনার নম্বর কমিয়ে ফেলতে পারে।।
-তবে ধর্মীয় অনুশাসন এবং ভক্তিও পরিক্ষা পাশের খুব গুরুত্বপুর্ন ফেক্টর বলে আমি মনে করি।।খোদা যাকে ইচ্ছা সম্মান দিবেন।।
আমি সহ সব পরিক্ষার্থীর জন্য শুভ কামনা রইল।।

লেখক: সরদার ডাঃমোঃরহমত উল্লাহ পাভেল
এমবিবিএস,ডি এল ও
ডিপার্টমেন্ট অফ ইএনটি,
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়।।
প্রধান সমন্বয়ক,আওয়াজ মঞ্চ।

প্ল্যাটফর্ম ফিচার রাইটার: উর্বী সারাফ আনিকা
৫ম বর্ষ
রংপুর কমিউনিটি মেডিকেল কলেজ।

মেডিকেলে পড়া মানেই ভাইভার এক গভীর অরন্যে প্রবেশ করা।।প্রথম বর্ষে তো সিনিয়রদের কাছেও ভাইভা দিতে হয়।।
আইটেম পরিক্ষা থেকে শুরু করে এফ,সি,পি,এস পর্যন্ত ভাইভার কোন অন্ত নেই।।
এমন অনেক ছাত্র আছে যারা পড়াশোনায় ভাল তবুও ভাইভাতে ফেইল করে
আবার এমনও আছে যারা মোটামোটি পড়াশোনা করে ভাল ভাইভা দেয়।।
প্রত্যেকটা পরিক্ষার একেকটি নিজস্ব কৌশল আছে।
তেমনি মেডিকেল ভাইভারও কিছু কৌশল আছে যেগুলি অন্য ভাইভা থেকে একটু আলাদা কারন ডাক্তার পরিক্ষকদের রুচি,চিন্তা, মাপকাঠি ইত্যাদি অন্যদের চেয়ে একটু ভিন্ন।।
যেমন ডাক্তারগন নরমসরম আচরন আর ভক্তিবোধ একটু বেশি পছন্দ করেন।

♥সব কিছু বিবেচনা করেই পরিক্ষার্থীদের জন্য কিছু টিপস নিচে দেয়া হলঃ
♦১.পোশাক পরিচ্ছেদঃ
সাদাসিধে স্বাভাবিক রঙ এর পোশাক পরবেন।বেশি উজ্জ্বল বা বেশি পুরাতন পোশাক না পরাই ভাল।যে পোশাক যেভাবে বানানো সেভাবেই পরবেন(শার্ট,এপ্রোন,জামা ইত্যাদির হাতা গুটিয়ে রাখবেন না।)
ছেলেদের সেন্ডেল না পরাই ভাল।জুতা পরিস্কার করে পরবেন।নতুন জুতা জরুরী নয়।।
চুল দাড়ি কেটে যাবেন অথবা দাড়ি রাখতে চাইলে আগে থেকেই বড় করা শুরু করবেন
যেন না জিজ্ঞেস করেই বুঝা যায় যে এটা আপনার ধর্মীয় ইস্যু।।
মেয়েদের চুল যে কালারের ই হোক না কেন বেধে যাবেন।কপালে গালে বার বার চুল না পড়াই ভাল।।
♦২.পরিক্ষা রুমে প্রবেশ এবং বসাঃ
-সম্বোধন সূচক বাক্য এভারেজ আওয়াজে উচ্চারণ করে (সালাম দিয়ে)রুমে ঢোকবেন।
প্রত্যেক পরিক্ষককে আলাদাভাবে সালাম দিতে যাবেন না।একবার বললেই হবে।।
-জুতা ঘষে হাটবেন না।
-পরিক্ষার রুমে আপনার কোন সিনিয়র, স্যারদেরকে সহায্য করার জন্য নিয়োজিত থাকলে উনার ইন্সট্রাকশন ফলো করবেন।
স্যাররা যদি কোন কথা নিয়ে ব্যস্ত থাকেন তবে সিনিয়রের কথায় চেয়ারে বসে যাবেন।স্যারদের বলার জন্য অপেক্ষা করা এবং সিনিয়রের কথা অমান্য করাটা বেমানান।।
-চেয়ারে হেলান দিয়ে বসবেন না।
-হাত স্যারদের টেবিলে রাখবেন না।
-পা ফাক করে বসবেন না।।
-মেয়েরা বেশি উজ্জ্বল কালারের লিপস্টিক দিবেন না।
-বেশি কুজো বা বেশী সোজা হয়েও বসবেন না।।
-নিচে তাকিয়ে নয়, স্যারদের চেহারার দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন শুনবেন এবং উত্তর দিবেন।।
♦৩.ভাইভাঃ
প্রশ্ন ভালভাবে শুনে উত্তর করবেন।
-নম্রতার ভান করে বেশী আস্তে কথা বলবেন না।।
-কোন কিছু না পারলে আপনি পারতেন কিন্তু মনে নাই তার অতিরিক্ত অভিনয় করবেন না।।
-কোন কিছু আপনার মনে ছিল না কিন্তু স্যার বলার পর মনে পড়েছে, এমন হলে,
ইসস-ইসস
অথবা জোড়েজোড়ে জি স্যার জি স্যার বলবেন না।।
-প্রত্যেকটি প্রশ্নেই শুনেন না এমন অভিযোগে স্যারকে বারবারই রিপিট প্রশ্ন করাবেন না।। না শুনার ভান করে জি স্যার,জি স্যার?? ইত্যাদি বলবেনা।।
-কোন প্রশ্ন না পারলে তার আশপাশের কথা বার্তা বলার চেস্টা করবেন না।।
-কোন ব্যাপারে আপনার ভাল জ্ঞান থাকলেও প্রশ্নের উত্তরের বাহিরে অতিরিক্ত কিছু বলতে যাবেন না।।
-পরিক্ষকদের কোন গল্পের বিষয় যদি আপনার জানাও থাকে তবুও আপনি তাতে অংশগ্রহণ করবেন না অথবা হেসে উঠবেন না।।
-প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সাথে নিয়ে যাবেন।।
-টেবিল ভাইভাতে কার্ড প্রশ্ন নিয়ে মিথ্যা,বানোয়াট অথবা যা লিখা আছে তার চেয়ে কম প্রশ্ন বলবেন না।ধরা খেলে খবর আছে।।
-কোন প্রশ্নের উত্তর বলার সময় বারবার বলবেন না যে,
এটা হতে পারে,
সেটা হতে পারে,
হতে পারে হতে পারে করবেন না, সোজা উত্তর দিবেন।।
অথবা,
এটা হবে মেম
সেটা হবে মেম,,
মেম মেম করবেন না।।
অথবা,
Then হচ্ছে
Then হচ্ছে,,করবেন না।।
শুধু প্রশ্নের উত্তর বলবেন।।
আপনার স্মার্ট আচরন আপনার নাম্বার বাড়াতে সাহায্য করবে আবার আপনার খেত আচরণ আপনার নম্বর কমিয়ে ফেলতে পারে।।
-তবে ধর্মীয় অনুশাসন এবং ভক্তিও পরিক্ষা পাশের খুব গুরুত্বপুর্ন ফেক্টর বলে আমি মনে করি।।খোদা যাকে ইচ্ছা সম্মান দিবেন।।
আমি সহ সব পরিক্ষার্থীর জন্য শুভ কামনা রইল।।

লেখক: সরদার ডাঃমোঃরহমত উল্লাহ পাভেল
এমবিবিএস,ডি এল ও
ডিপার্টমেন্ট অফ ইএনটি,
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়।।
প্রধান সমন্বয়ক,আওয়াজ মঞ্চ।

প্ল্যাটফর্ম ফিচার রাইটার: উর্বী সারাফ আনিকা
৫ম বর্ষ
রংপুর কমিউনিটি মেডিকেল কলেজ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Time limit is exhausted. Please reload the CAPTCHA.

Next Post

'বয়স ১৬, দেখতে ৯০ ...

Thu Aug 16 , 2018
আমরা সবাই কমবেশি জনপ্রিয় মুভি ‘Paa’ দেখেছি। এই মুভিতে অভিনেতা আমিতাভ বাচ্চন অভিনয় করেছিলেন ‘অরো’ চরিত্রে। এই ‘অরো’ চরিত্র টি ছিলো একজন প্রোজেরিয়া রোগাক্রান্ত রোগীর। আজ আমরা জানবো এই প্রোজেরিয়া রোগ সম্পর্কে। প্রোজেরিয়া ( Progeria) একটি বিরল বংশগত রোগ। এটি এমন একটি রোগ যাতে রোগীর বয়স থাকে ১৬ বছর কিন্তু […]

Platform of Medical & Dental Society

Platform is a non-profit voluntary group of Bangladeshi doctors, medical and dental students, working to preserve doctors right and help them about career and other sectors by bringing out the positives, prospects & opportunities regarding health sector. It is a voluntary effort to build a positive Bangladesh by improving our health sector and motivating the doctors through positive thinking and doing. Platform started its journey on September 26, 2013.

Organization portfolio:
Click here for details
Platform Logo