শনিবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৫
চিকিৎসক নন, ইউটিউব দেখে দিতেন চিকিৎসা। চট্টগ্রামের বাঁশখালীর নাপোড়া বাজার এলাকায় এভাবেই দীর্ঘ ৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে প্রতারণা করে আসছিল কামরুল ইসলাম।

সর্বশেষ রবিবার (২২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় কোমর ও পিটের ব্যথা নিয়ে চিকিৎসা নিতে গেলে থেরাপির নামে খলিলুর রহমানের (৫৫) শরীরের একাংশ ঝলসে ফেলেন ইউটিউব দেখে চিকিৎসা দেয়া এই প্রতারক। এই ঘটনায় প্রতারক কামরুল ইসলামকে এক লাখ টাকা জরিমানা ও রোগীর যাবতীয় চিকিৎসা খরচ বহনের সাজা দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এদিকে থেরাপি দিতে গিয়ে খলিলুর রহমানের শরীর ঝলসে গেলে তার আর্তচিৎকারে লোকজন ছুটে আসেন। এসময় কামরুল ইসলাম তাকে চেতনানাশক ইনজেকশন দিয়ে অচেতন করে রাখেন। পরে রাত ১১ টার দিকে অচেতন অবস্থায় খলিলুর রহমানকে বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন তার স্বজনরা।
পরবর্তীতে ঘটনাস্থলে এসে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জামশেদুল আলম। জেরার মুখে প্রতারক কামরুল ইসলাম ইউটিউব-ফেসবুক দেখে চিকিৎসা দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে নেন। এসময় তাকে এক লাখ টাকা জরিমানার পাশাপাশি রোগীর যাবতীয় চিকিৎসা খরচ বহনের সাজা দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, প্রতারক কামরুল ইসলাম দীর্ঘ ৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে নিজেকে চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে সকল রোগের চিকিৎসা প্রদান করতেন। গ্রামের সহজ-সরল মানুষ না বুঝেই তার প্রতারণার শিকার হচ্ছিল।
বাঁশখালীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জামশেদুল আলম প্ল্যাটফর্মকে বলেন, “ফেসবুক-ইউটিউব দেখে দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসার নামে অপচিকিৎসা করে আসছিলেন কামরুল ইসলাম নামের ওই ভুয়া চিকিৎসক। হাতেনাতে আটকের পর বিষয়টি সে স্বীকার করেছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। পাশাপাশি খলিলুর রহমানের চিকিৎসা খরচ দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।”
এ বিষয়ে জানতে প্ল্যাটফর্মের পক্ষ থেকে বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।