করোনা ভাইরাসের কারনে টিকাদান কর্মসূচী ব্যাহত হওয়ায় গুরুতর হুমকিতে শিশুদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা

প্ল্যাটফর্ম নিউজ
২৮ এপ্রিল ২০২০

ইউনিসেফ আজ সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, দক্ষিণ এশিয়াজুড়ে শিশুরা যদি তাদের জীবন রক্ষাকারী টিকা না পায় তাহলে এই অঞ্চল আরও একটি স্বাস্থ্য জনিত জরুরি অবস্থার মুখোমুখি হতে পারে।

বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে অভিভাবকরাও তাদের বাচ্চাদের রুটিন টিকাদানের জন্য স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যেতে অনাগ্রহী। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও নেপালের বিভিন্ন অঞ্চলে বিচ্ছিন্নভাবে হাম ও ডিপথেরিয়াসহ টিকা প্রতিরোধী রোগ ছড়িয়ে পড়তে দেখা গেছে।

বিশ্বের মধ্যে স্থানীয় ভাবে পোলিও সংক্রমণ দেখা দেওয়া দুটি দেশ- আফগানিস্তান ও পাকিস্তান দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলেরই দেশ।

ইউনিসেফ দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক আঞ্চলিক কার্যালয়ের স্বাস্থ্য উপদেষ্টা পল রাটার বলেন, “ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা ও ফ্লাইট বাতিল হওয়ার কারণে সরবরাহ ব্যবস্থা বিঘ্নিত হওয়ায় এই অঞ্চলের কিছু দেশে ভ্যাকসিনের মজুদও বিপজ্জনক মাত্রায় কমে গেছে। এছাড়া ভ্যাকসিনের উৎপাদন ব্যবস্থাও বিঘ্নিত হয়েছে, যা অতিরিক্ত ঘাটতি তৈরি করছে।”

লাখ লাখ শিশুকে সাধারণত যেসব স্বাস্থ্যকেন্দ্রে টিকা দেওয়া হয় সেগুলো বন্ধ রয়েছে এবং টিকাদানের বিস্তৃত কার্যক্রমও স্থগিত রয়েছে, যা চ্যালেঞ্জ বাড়িয়ে দিয়েছে।

পল রাটার বলেন, “যতক্ষণ পর্যন্ত সামনের সারিতে থাকা স্বাস্থ্যকর্মীরা যথাযথ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করছে, বিশেষ করে তাদের হাত ধুচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত টিকাদান থেকে বিরত থাকার কোনো কারণ নেই। প্রকৃতপক্ষে টিকাদান অব্যাহত রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।”

এই অঞ্চলজুড়ে, জাতীয় গণ টিকাদান কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। বাংলাদেশ ও নেপাল তাদের জাতীয় হাম ও রুবেলার টিকাদান কর্মসূচি স্থগিত করেছে এবং পাকিস্তান ও আফগানিস্তান তাদের পোলিও টিকাদান কার্যক্রম স্থগিত করেছে।

বাংলাদেশে স্থগিত হওয়া হাম ও রুবেলা টিকাদান কার্যক্রমের লক্ষ্য হচ্ছে ৯ মাস থেকে ৯ বছরের মোট ৩ কোটি ৪০ লাখ শিশুকে টিকা দেওয়া।

ইউনিসেফ এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক পরামর্শগুলোর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কোভিড-১৯ মহামারি চলাকালীন নিয়মিত টিকাদান অব্যাহত রাখতে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর নির্দেশনা জারি করেছে। স্থায়ী এবং বিস্তৃত পরিসরে অস্থায়ী– উভয় ধরনের কেন্দ্রের মাধ্যমে অপরিহার্য সেবা হিসেবে নিয়মিত টিকাদান কার্যক্রম পরিচালিত হয়, যা রোগের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে লড়াই করে। তবে, বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ এর বিস্তারের কারণে টিকাদান কার্যক্রমের সংখ্যা বেশ কমে এসেছে।

তথ্যসূত্র :ইউনিসেফ

প্ল্যাটফর্ম নিউজ
ওয়াসিফ হোসেন

প্ল্যাটফর্ম স্টাফ রিপোর্টার

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Time limit is exhausted. Please reload the CAPTCHA.

Next Post

করোনা ভাইরাস শনাক্তকরণে চীনের তৈরী কীটকে "কাজের অযোগ্য" ঘোষণা করলো ভারত

Tue Apr 28 , 2020
২৮শে এপ্রিল,২০২০ করোনা ভাইরাস শনাক্তকরণে চীনের কীটকে ‘কাজের অযোগ্য’ দাবি করেছে ভারত সরকার। সেই সাথে করোনা শনাক্তের কীটের জন্য চীনের কাছে দেওয়া অর্ডারও বাতিল করেছে ভারত সরকার।উল্লেখ্য চীনের ওই দুই প্রতিষ্ঠানের তৈরি কিট ব্যবহার না করার জন্য ভারতের বিভিন্ন রাজ্য ও হাসপাতালগুলিকে জানিয়েছে তারা। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চের দাবি, […]

Platform of Medical & Dental Society

Platform is a non-profit voluntary group of Bangladeshi doctors, medical and dental students, working to preserve doctors right and help them about career and other sectors by bringing out the positives, prospects & opportunities regarding health sector. It is a voluntary effort to build a positive Bangladesh by improving our health sector and motivating the doctors through positive thinking and doing. Platform started its journey on September 26, 2013.

Organization portfolio:
Click here for details
Platform Logo