ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে নার্সদের ইন্টার্ন চিকিৎসকের উপর হামলা

ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে নার্স কর্তৃক ইন্টার্ন চিকিৎসকের উপর হামলা

প্ল্যাটফর্ম রিপোর্টঃ ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে, এক শিক্ষানবিশ চিকিৎসকের উপর সংঘবদ্ধ হামলার খবর পাওয়া গেছে!
তথ্য সূত্রে জানা যায়, স্বাস্থ্য সেবা সপ্তাহ উপলক্ষে, ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কিছু ওয়ার্ড বেলুন দিয়ে সাজানো হয়। ঐ হাসপাতালে কর্মরত ইন্টার্ন চিকিৎসক ডা. সানি আমিন এর হাত লেগে দেয়ালে টানানো দুইটি বেলুন ফুটে যায়। তারপরই চড়াও হয়, ঐ ওয়ার্ডে কর্মরত একজন সেবিকা (নার্স)!

কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে কয়েকজন নার্স মিলে, উক্ত ইন্টার্ন চিকিৎসককে মারতে উদ্ধত হন এবং অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেন। উল্লেখ্য, ঐ সময় সেই ইন্টার্ন একাই ছিলেন।

পরবর্তী দফায়, হাসপাতাল পরিচালকের কাছে বিচার চাইতে যাওয়ার সময়, পরিচালকের কক্ষের সামনেই, ৩০-৪০ জন নার্স সংঘবদ্ধভাবে ইন্টার্ন চিকিৎসকের উপর হামলা করেন এবং হাতাহাতি হয়। তখন, নার্সরা হুমকি দেয়, এই হাসপাতালে উক্ত ইন্টার্ন কিভাবে ইন্টার্নশীপ শেষ করেন, সেটা দেখে নিবেন! অসমর্থিত এক সূত্রে পাওয়া যায়, একজন নার্স জুতা দিয়ে ঐ ইন্টার্ন চিকিৎসককে মারধরের অভিযোগও পাওয়া যায়।

এই ন্যাক্কারজনক ঘটনা, ইন্টার্ন চিকিৎসকদের মাঝে ছড়িয়ে পড়লে তারা পরিচালক মহোদয়ের কক্ষের সামনে জড় হন। তাৎক্ষণিক ভাবে, হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট প্রশাসন একটি জরুরি সভা ডাকেন। তখন সাংবাদিকরা পরিচালকের কক্ষে প্রবেশ করতে চাইলে, বলা হয় সভা চলছে।

পরবর্তীতে, বিভিন্ন পত্রিকায় এই খবর ছাপা হয়, ইন্টার্ন চিকিৎসকরা পরিচালককে অবরুদ্ধ করে রাখে এবং রুমে ঢুকতে বাধা দেয়। এই উদ্দেশ্য মূলক মিথ্যে সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।

অপরদিকে কয়েজন সেবিকা জানান, বেলুনগুলো নিজেদের টাকা সংগ্রহ করে লাগিয়েছেন। হাতাহাতির এক পর্যায়ে তাদের উপর হামলা করা হয়েছে, তাই তারা পালটা জবাব দিয়েছেন। এই ঘটনায় তিন জন নার্স আহত হয়েছেন।

হাতাহাতির ঘটনা শেষে, হাসপাতালের অধিকাংশ নার্স হাসপাতালের নতুন ভবনের সামনে, প্ল্যাকার্ড নিয়ে অবস্থান ধর্মঘট করেন।

তখন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা, নার্সদের সংঘবদ্ধ হয়ে বর্বরোচিত, এই হামলার বিরুদ্ধে শাস্তি নেয়ার দাবি জানান এবং হাসপাতাল পরিচালক কক্ষের সামনে অবস্থান করেন।

এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায়, হাসপাতালের চিকিৎসা কার্য কিছুক্ষনের জন্য ব্যহত হয়। পরে, হাসপাতাল প্রশাসনের হস্তক্ষেপে, কার্যক্রম স্বাভাবিক ভাবে চলে।

ওয়েব টিম

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Time limit is exhausted. Please reload the CAPTCHA.

Next Post

ফরিদপুরে হামলার স্বীকার ইন্টার্ন চিকিৎসকের বক্তব্যঃ হলুদ সাংবাদিকতা এবং ঘটনার নেপথ্যে

Wed Apr 17 , 2019
১৭ এপ্রিল, ২০১৯ ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে ন্যাক্কারজনক হামলার স্বীকার হয়েছেন, ইন্টার্ন চিকিৎসক ডা. সানী আমিন। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে, হাসপাতালের নার্স জুতা দিয়ে আঘাত করে এবং অন্যান্য নার্সরা মিলে পরিচালকের রুমের পাশেই সংঘবদ্ধ হয়ে হামলা করেন। কালের কন্ঠ সহ বিভিন্ন পত্রিকায় উদ্দেশ্য মূলক ভাবে মিথ্যে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছিল। হলুদ […]

Platform of Medical & Dental Society

Platform is a non-profit voluntary group of Bangladeshi doctors, medical and dental students, working to preserve doctors right and help them about career and other sectors by bringing out the positives, prospects & opportunities regarding health sector. It is a voluntary effort to build a positive Bangladesh by improving our health sector and motivating the doctors through positive thinking and doing. Platform started its journey on September 26, 2013.

Organization portfolio:
Click here for details
Platform Logo