এবারের মেডিকেল ভর্তিপরীক্ষা তত্বাবধায়ক কমিটিতে ড. জাফর ইকবাল।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, আসন্ন এমবিবিএস ও বিডিএস ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের কোনো সুযোগ নেই। যদি কেউ ভূয়া প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজব ছড়ানোর চেষ্টা করে, তবে তাকে চিহ্নিত করে দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। সুষ্ঠুভাবে এ ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন করতে সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা ও সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আগামী শিক্ষাবর্ষে মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কিত সভায় সভাপতিত্বলে তিনি একথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এক শ্রেণির অসাধু চক্র সব সময় ভর্তি পরীক্ষার আগে সাজেশন বিক্রির অজুহাতে ভুয়া প্রশ্নপত্র ফাঁসের কারসাজি করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়। দেশের কোমলমতি শিক্ষার্থী ও নিরীহ অভিভাবকরা তাদের ষড়যন্ত্রের কবলে পড়ে বিভ্রান্তির শিকার হয়। কিছু কিছু ভর্তি কোচিং সেন্টার এ ধরনের জালিয়াতির সাথে জড়িত। মন্ত্রী ওই কোচিং সেন্টারগুলোকে চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট ব্যবহার করে ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি মহল ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজব ছড়িয়ে সরকারকে বেকায়দায় ফেলার চেষ্টা করে। এবার এরকম ঘটনা ঘটলে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

গত বছরের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজবের কথা তুলে ধরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী  বলেন, জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্য অতীতে গুজব ছড়ানো হয়েছিল যা পরবর্তীতে আদালতের মাধ্যমে নিষ্পত্তি হয় এবং ভিত্তিহীন বলে প্রমাণিত হয়।

এসময় তিনি জানান, শিক্ষার্থীরা যেন সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা দিতে পারে এবং পরীক্ষা পদ্ধতিতে সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে এ বছর সরকার অনেক আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়েছে। পরীক্ষা তত্বাবধানে গঠিত ওভারসাইট কমিটিতে দেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. জাফর ইকবাল, সাংবাদিক গোলাম সারওয়ার, কলামিস্ট ও মানবাধিকার ব্যক্তিত্ব সৈয়দ আবুল মকসুদ, সাংবাদিক নাইমুল ইসলাম খান, আবদুল কাইয়ুম, মঞ্জুরুল আহসান বুলবুলসহ দেশের চিকিৎসক সমাজ ও চিকিৎসা শিক্ষার জ্যেষ্ঠ ব্যক্তিত্বদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

সভায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও পরীক্ষা গ্রহণ পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরে বলেন, এ বছর পরীক্ষার প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও বহন থেকে শুরু করে তালাবদ্ধ ট্রাঙ্ক খোলা পর্যন্ত বিশেষ ধরনের ট্র্যাকিং ডিভাইস সংযোগ রাখা হবে যাতে করে মনিটরিং ব্যবস্থা আরো জোরদার হয়েছে। ফেসবুকসহ যেকোনো মাধ্যমে প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজব রটনাকারীকে চিহ্নিত করে তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে ৯৮৫৫৯৩৩ নম্বরে টেলিফোনে এবং ০১৭৫৯-১১৪৪৮৮ নম্বরে মোবাইলে যোগাযোগ করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান।

২০১৬-২০১৭ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা আগামী ৭ অক্টোবর এবং বিডিএস ভর্তি পরীক্ষা আগামী ৪ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। এবছর এমবিবিএস এর জন্য আসন সংখ্যা সরকারি কলেজে ৩ হাজার ২১২ ও বেসরকারি কলেজে ৬ হাজার ২০৫। পরীক্ষার্থী সংখ্যা ৯০ হাজার ৪২৬ জন। ঢাকাসহ সারা দেশের ১৮টি সরকারি মেডিকেল কলেজ কেন্দ্রের ৩৭টি ভেন্যুতে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

সূত্রঃ বিডিবার্তা।

প্ল্যাটফর্ম ওয়েব

13 thoughts on “এবারের মেডিকেল ভর্তিপরীক্ষা তত্বাবধায়ক কমিটিতে ড. জাফর ইকবাল।

  1. প্রশ্নপত্র ফাস হওয়ার সিন্ডিকেট ১০০ জন জাফর ইকবালের চেয়েও শক্তিশালি। ডক্টর জাফর ইকবালের ক্ষমতা কম। বেচারা পত্র পত্রিকায় ডজন ডজন লেখা লিখেও এসএসসি এইচএসসি পিএসসির প্রশ্ন ফাস বন্ধ করতে পারেননি। পারেননি শহিদ মিনারে বসে থেকেও। এমনকি উনার বন্ধু নাহিদ সাবকে স্বীকার পর্যন্ত করাতে পারেননি যে প্রশ্ন ফাস হয়েছে। এখনো ঐসব প্রশ্ন ফাস হয়।
    সুতরাং জাফর ইকবাল এসেই মেডিকেলের প্রশ্নপত্র ফাস বন্ধ করে দিবেন এটা বিশ্বাস করিনা যদি না উপরমহল সিন্ডিকেট ভাংতে ব্যার্থ হয়।
    আরেকটা কথা, ডাক্তারদের মধ্য থেকে কি সৎ সিনিয়র পাওয়া যায়নি? নাকি সবাই নিজের জমজমাট চেম্বার আর নিজের প্রতিষ্ঠা করা বেসরকারি মেডিকেলের ব্যাবসা নিয়ে ব্যাস্ত?

  2. সিনিয়র ডাঃ ত ছিলই।কিন্তু তাদের টেস্টিস ছিল না। তাই জাফর ইকবাল সাহেবকে এই কমিটিতে রাখা হইসে। যেদিন মেডিকেল সেক্টর এ টেস্টিস সম্পন্ন অভিজ্ঞ ডাঃ পাওয়া যাবে সেদিন জাফর সাহেবকে বাদ দিয়ে ডাঃ কে কমিটিতে রাখা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Time limit is exhausted. Please reload the CAPTCHA.

Next Post

চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল মেডিকেল কলেজে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো "সিমশএমসি কালচারাল উইক"।

Tue Oct 4 , 2016
পড়ালেখা!! শব্দটা শুনতেই শিক্ষার্থীদের কপালে ৩/৪টা ভাঁজ পড়েই।আর মেডিকেলের এই একঘেয়েমি পড়াশোনায় কোন ফাঁকফোকর নেই বললেই চলে।সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত,ক্লাস,ওয়ার্ডের গ্যারাকলে পিষ্ট জীবনে অতিষ্ট হয়েও পালিয়ে যাওয়ার উপায় নেই।আর এই ব্যস্ত শিডিউলের মাঝে হারিয়ে যায় অনেকেরই সুপ্ত প্রতিভা। মেডিকেলের শিক্ষার্থীরা যে পড়ালেখা ছাড়াও আরো বিভিন্ন কাজে পারদর্শী,তার সবচাইতে […]

Platform of Medical & Dental Society

Platform is a non-profit voluntary group of Bangladeshi doctors, medical and dental students, working to preserve doctors right and help them about career and other sectors by bringing out the positives, prospects & opportunities regarding health sector. It is a voluntary effort to build a positive Bangladesh by improving our health sector and motivating the doctors through positive thinking and doing. Platform started its journey on September 26, 2013.

Organization portfolio:
Click here for details
Platform Logo