সোমবার, ১৮ আগষ্ট, ২০২৫
সাপের কামড়ে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় দেশের সব উপজেলা পর্যায়ের সরকারি হাসপাতালে পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যান্টিভেনম সরবরাহের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। স্বাস্থ্য সচিব, ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দ্রুত এই নির্দেশ বাস্তবায়নের কথা বলা হয়েছে।
সোমবার (১৮ আগস্ট) বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি সৈয়দ জাহেদ মুনসরের হাইকোর্ট বেঞ্চে জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে এ আদেশ দেওয়া হয়। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মীর এ কে এম নুরন্নবী, সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট ইসমাঈল হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শফিকুর রহমান, তানিম খান ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইকরামুল কবির।
এর আগে গত রবিবার দেশের সব উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালে অ্যান্টিভেনম সরবরাহ নিশ্চিত করতে নির্দেশনা চেয়ে রিট দায়ের করা হয়। বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে এ রিট করেন আইনজীবী নুরন্নবী।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এ বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে জুলাইয়ের মধ্যে সাপের কামড়ে ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে, দংশনের শিকার হয়েছেন ৬১০ জন। শুধু রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেই জানুয়ারি থেকে ৪১৬ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন, এর মধ্যে ১১ জনের মৃত্যু হয়। বিশেষ করে চন্দ্রবোড়া (রাসেলস ভাইপার) দংশনে প্রাণহানির ঘটনা উদ্বেগ বাড়িয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা জানান, বাংলাদেশে বছরে চার লাখেরও বেশি মানুষ সাপের দংশনের শিকার হন এবং প্রায় সাড়ে সাত হাজার মানুষ মারা যান। বিষধর সাপের মধ্যে গোখরা, কালাচ, চন্দ্রবোড়া ও সবুজ সাপ সবচেয়ে বেশি প্রাণঘাতী। তবে দেশে অ্যান্টিভেনম উৎপাদন না হওয়ায় ভারত থেকে আমদানি করা অ্যান্টিভেনমের ওপর নির্ভর করতে হয়।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, হাইকোর্টের নির্দেশ বাস্তবায়িত হলে উপজেলা পর্যায়ে সাপের দংশনে মৃত্যুর ঝুঁকি অনেকাংশে কমে আসবে।