‘ভ্যাকসিন হিরো’ পুরস্কার পেলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টিকাদান কর্মসূচিতে বাংলাদেশের অসামান্য সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরুপ “ভ্যাকসিন হিরো” পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। গ্লোবাল অ্যালায়েন্স নামে খ্যাত আন্তর্জাতিক সংস্থা গ্লোবাল এলায়েন্স ফর ভ্যাক্সিনেশন এন্ড ইমুনাইজেশন-জিএভিআই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এই পুরস্কার প্রদান করে।

বর্তমানে নিউইয়র্কে অবস্থানরত দেশরত্ন শেখ হাসিনা সোমবার জাতিসংঘ সদর দপ্তরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে GAVI -এর বোর্ড চেয়ার Dr Ngozi Okonjo- Iweala এর কাছ থেকে এই পুরস্কার গ্রহণ করেন। পুরস্কার গ্রহণ করেই প্রধানমন্ত্রী সেটা দেশবাসীকে উৎসর্গ করেন।

তিনি তার বক্তব্যে বলেন, ভ্যাক্সিনেশন এর জন্য বাংলাদেশের কঠোর পরিশ্রম আজ বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। টিকাদান কর্মসূচি অব্যাহত রাখতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান। তিনি আরো বলেন উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে সুস্থ ও নতুন প্রজন্ম দরকার। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহায়তা নিয়ে সার্বজনীন স্বাস্থ্য সেবা অধীনে ইমুনাইজেশনে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি আশা প্রকাশ করেন, ২০৩০ সালের অনেক আগেই বাংলাদেশে “সকলের জন্য ভ্যাকসিন” প্রোগ্রামের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হবে।

ইমুনাইজেশনকে স্বাস্থ্য খাতে সরকারিভাবে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সাফল্যগাথা হিসেবে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। এক্ষেত্রে গ্লোবাল ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স এবং অন্যান্য অংশীদারদেরকে তাদের অব্যাহত সমর্থন ও অবদান রাখার জন্য ধন্যবাদ জানান।
দেশরত্ন শেখ হাসিনা সকল পর্যায়ে অন্যান্য প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবার সাথে ইমুনাইজেশনকে সমন্বিত করতে সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের বর্ণনা দেন।
বাংলাদেশের কক্সবাজারে মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের প্রসঙ্গ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন- “রাখাইন থেকে প্রায় ১১ লাখ মিয়ানমারের নাগরিক (রোহিঙ্গা) বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে বিরাট ঝুঁকি তৈরি করেছিলো, হঠাৎ করে আগত প্রায় ১১ লাখ মানুষের স্বাস্থ্যের নিরাপত্তা দেওয়া বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতের জন্য একটি কষ্টসাধ্য অর্জন, কারণ মায়ানমারে তারা ভালো স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত ছিল”।

তিনি বলেন, রুটিন ভ্যাক্সিনেশন ও ইমুনাইজেশন ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে বাস্তুচ্যুত মায়ানমারের নাগরিকদের মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে শরনার্থী ক্যাম্পগুলোতে ডিপথেরিয়া, হাম রোগের প্রাদুর্ভাব মোকাবেলা করা হয়েছে এবং কলেরা রোগ যাতে ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেই লক্ষ্যে সফলভাবে ভ্যাক্সিনেশন পরিচালনা করা হয়।

“ভ্যাকসিন সেন্টারগুলি, এবং ১৪,০০০ এরও বেশি কমিউনিটি ক্লিনিক এবং ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলি সারাদেশে টিকা সেবা সরবরাহ করেছে।
প্রধানমন্ত্রী পুনরায় জোর দিয়ে বলেন, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিশ্চিতকরণে জনগণের প্রতি তাঁর সরকার সর্বদাই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

প্ল্যাটফর্ম (মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল সোসাইটি,বাংলাদেশ) পরিবারের পক্ষ থেকে আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানাই।

প্ল্যাটফর্ম ফিচার:
ওয়াসিফ হোসেন
নপ্রামেক

Platform

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Time limit is exhausted. Please reload the CAPTCHA.

Next Post

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগীদের জন্য কালার কোডেড ঔষধের কৌটা

Wed Sep 25 , 2019
ব্যস্ততা কিংবা অন্যমনস্কতা, কারণ যাই হোক, ওষুধ খেতে মাঝেমধ্যে ভুলে যান- এমন মানুষের সংখ্যা নেহায়েত কম নয়। কোন বেলায় ঠিক কোন কোন ওষুধ খেতে হবে, মনে থাকেনা অনেকেরই। হাসপাতালে ভর্তি রোগীর ক্ষেত্রে সমস্যাটা যেন হয় একটু বেশিই। ব্যক্তিগত সরঞ্জামাদি নিয়ে আসেন না অনেকেই, বা আনলেও হাসপাতালের সীমিত পরিসরে স্থান সংকুলান […]

Platform of Medical & Dental Society

Platform is a non-profit voluntary group of Bangladeshi doctors, medical and dental students, working to preserve doctors right and help them about career and other sectors by bringing out the positives, prospects & opportunities regarding health sector. It is a voluntary effort to build a positive Bangladesh by improving our health sector and motivating the doctors through positive thinking and doing. Platform started its journey on September 26, 2013.

Organization portfolio:
Click here for details
Platform Logo