সোমবার, ০১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
নাটোরে শহরের মাদ্রাসা মোড় এলাকায় অবস্থিত জনসেবা হাসপাতাল থেকে এর মালিক ডা. আমিরুল ইসলামের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার (১লা সেপ্টেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে হাসপাতালের তৃতীয় তলার একটি কক্ষ থেকে তার মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
ডা. আমিরুল ইসলাম নাটোর জেলা বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) আহ্বায়ক এবং ক্লিনিক মালিক ও ডায়াগনস্টিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
হাসপাতালের কর্মচারী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকালে কর্মচারীরা ডা. আমিরুল ইসলামের কক্ষে ডাকাডাকি করে কোনো সাড়া পাননি। দুপুর গড়িয়ে গেলেও তার কোনো সাড়াশব্দ না পাওয়ায় তারা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন এবং দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন। এ সময় তারা কক্ষের মেঝেতে ডা. ইসলামের গলাকাটা রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন।
খবর পেয়ে নাটোর সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে। পরে নাটোরের পুলিশ সুপার আমজাদ হোসেনসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) এবং পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে বিভিন্ন আলামত সংগহ করেছেন।
নাটোরের পুলিশ সুপার আমজাদ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, “প্রাথমিক তথ্য বিশ্লেষণে আমাদের মনে হচ্ছে ডা. আমিরুল ইসলাম ওই রুমেই ঘুমিয়েছিলেন এবং এখানেই তিনি নৃশংসতার শিকার হয়েছেন। তার শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে এবং তার গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়াও তার শরীরের একটি অঙ্গ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় পাওয়া গেছে।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা প্রযুক্তিগত বিষয়গুলো খতিয়ে দেখছি এবং এই ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনার জন্য কাজ শুরু করেছি।”