মঙ্গলবার, ২০ মে, ২০২৫
কেবলমাত্র এসএসসি পাশ করেই করছেন চেম্বার, প্রতারণার মাধ্যমে দিচ্ছেন রোগীদের এন্টিবায়োটিক সম্বলিত প্রেসক্রিপশন। এমনকি ‘ডাক্তার’ পরিচয়ে নিয়েছেন ব্যাংক লোনও। টাঙাইলের সখীপুরে ঘটেছে এমন ঘটনা। এসএসসি পাশ করেই নিয়মিত রোগী দেখে প্রেসক্রিপশন লেখা প্রতারকের নাম সাইফুদ্দিন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, টাঙাইলের সখীপুরের তক্তারচালা বাজারে মিনহাজ মেডিক্যাল হল নামের এক ফার্মেসীতে প্রতারক সাইফুদ্দিন প্রতিনিয়ত রোগী দেখছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রতারক সাইফুদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে নিজেকে ‘ডাক্তার’ পরিচয় দিয়ে রোগী দেখে প্রেসক্রিপশন লিখে মানুষের সাথে প্রতারণা করে আসছেন। তিনি সাদা প্যাডে ওষুধ লিখে তাতে নিজের স্বাক্ষর এবং ডাক্তার পরিচয় সম্বলিত সিল বসিয়ে দেন। প্রতারক সাইফুদ্দিন প্রায় ৭-৮ বছর ধরে এভাবে সাধারণ মানুষকে চিকিৎসা দিচ্ছেন এবং নিজের প্যাডে প্রেসক্রিপশন লিখছেন।
প্ল্যাটফর্ম প্রতিবেদকের হাতে আসা রোগীদের দেয়া এক প্রেসক্রিপশনে দেখা যায়, নাম, স্বাক্ষর এবং ‘ডাঃ সাইফুদ্দিন’ লেখা একটি সিল ব্যবহৃত হয়েছে।
প্ল্যাটফর্মের পক্ষ থেকে প্রেসক্রিপশনে প্রাপ্ত নাম্বারে যোগাযোগ করে অভিযুক্ত সাইফুদ্দিনের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রথমে তিনি দাবি করেন, ‘ব্যাংক থেকে লোন নেয়ার জন্য আমি ‘ডাক্তার’ পরিচয়ের সিল বানিয়েছি। লোন নেয়ার পর আমি সিল ব্যবহার করি না।’
পরে প্রতিবেদকের সাথে কথোপকথনের একপর্যায়ে তিনি রোগী দেখে প্রেসক্রিপশন লেখার বিষয়টি স্বীকার করে দুঃখ প্রকাশ করেন। এসএসসি পাশের বাইরে চিকিৎসা নিয়ে তার কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেই বলেও তিনি স্বীকার করেন।
‘ডাক্তার’ পরিচয় ব্যবহার করে কোন ব্যাংক থেকে লোন নিয়েছেন– প্রতিবেদকের এমন প্রশ্নে তিনি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। পরবর্তীতে একাধিকবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে তিনি মানুষের সাথে প্রতারণা করে আসলেও তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। তাই নির্বিঘ্নে এখনো এই অবৈধ কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।
সখীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে যোগাযোগ করা হলে বলা হয়, “এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো তথ্য আমাদের কাছে নেই। কোন অভিযোগ করা হয়নি। তবে অভিযোগ বা প্রমাণ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেবো।”
প্ল্যাটফর্ম/এমইউএএস