সোমবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৫
ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধে এবার বিজ্ঞানভিত্তিক ও যৌথ উদ্যোগে নতুন পথে হাঁটছে সরকার। পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের মাধ্যমে ওলবাচিয়া ও সেরোলজিক্যাল জরিপের উপর জোর দিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।
সোমবার (২১ এপ্রিল) সকালে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয় ‘ডেঙ্গু প্রতিরোধে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ বিষয়ে প্রস্তাব তুলে ধরা হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম।
আলোচনায় কানাডাভিত্তিক প্রতিষ্ঠান মেরিট ইন-করপোরেশন দুটি প্রস্তাব উপস্থাপন করে। প্রতিষ্ঠানটির প্রতিনিধি ডা. কাজী জামিল প্রস্তাব দুটি তুলে ধরেন।
প্রথম প্রস্তাব– বিভিন্ন অঞ্চলে ডেঙ্গু রোগে সংক্রমণের হার ও অ্যান্টিবডির উপস্থিতি নিরূপণ করা হবে। রক্তের নমুনা বিশ্লেষণের মাধ্যমে জানা যাবে, কারা পূর্বে আক্রান্ত হয়েছেন এবং কোন এলাকায় ঝুঁকি বেশি।
দ্বিতীয় প্রস্তাব– ‘ওলবাচিয়া’ পদ্ধতি প্রয়োগ করে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ নেওয়া হবে। এই পদ্ধতিতে মশার দেহে এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ করানো হয়, যা ডেঙ্গু ভাইরাস বহনে বাধা সৃষ্টি করে। ফলে মশা কামড়ালেও ভাইরাস ছড়ায় না।
সভা শেষে প্রস্তাব দুটি গৃহীত হয়।
সভায় জানানো হয়, যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিশ্ববিদ্যালয় সেরোলজিক্যাল জরিপে এবং অস্ট্রেলিয়ার একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা ওলবাচিয়া প্রযুক্তির প্রয়োগে কারিগরি সহায়তা দেবে।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণবিষয়ক বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদা) অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
প্ল্যাটফর্ম/