সোমবার, ০৫ মে, ২০২৫
হাসপাতালগুলোতে ভুল চিকিৎসা বা অবহেলার অভিযোগে চিকিৎসক ও নার্সদের ওপর রোগীর স্বজনদের হামলা মোকাবিলায় আলাদা ‘হাসপাতাল পুলিশিং’ ব্যবস্থার পক্ষে নয় স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশন। কমিশনের মতে, নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নিজস্ব ব্যবস্থাপনাই যথেষ্ট– যেমন গার্ড বা আনসার সদস্যরা এটা করবেন।
ঢাকা পোস্টের বরাতে স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশনের একজন সদস্য বলেন, মানুষ যদি পুলিশে ভয় না পায়, তাহলে হাসপাতালে পুলিশ বসিয়ে লাভ কী? বরং আমাদের খুঁজে বের করতে হবে মূল সংকটগুলো কোথায়। স্বজনকে চোখের সামনে মরতে দেখলে মানুষ মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে, সে পরিস্থিতিতে কেউই স্বাভাবিক থাকে না। পুলিশ থাকলেও হিতে বিপরীত হতে পারে।
তাই কমিশন বলছে, সমস্যার শেকড় ধরেই সমাধানে যেতে হবে। এ কারণে চিকিৎসকদের জন্য মেডিকেল এথিক্স ও কনফ্লিক্ট রেজুলেশন বিষয়ে প্রশিক্ষণের ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে। কোথায়, কী কারণে রোগীর স্বজনদের সঙ্গে বিরোধ তৈরি হয়, কীভাবে চিকিৎসকরা সেসব মোকাবিলা করবেন– এসব বিষয়ে প্রশিক্ষণের সুপারিশ রয়েছে।
কমিশনের মতে, নিরাপদ ও মানবিক হাসপাতাল ব্যবস্থার জন্য চিকিৎসকদের আরও সহানুভূতিশীল ও সংবেদনশীল হতে হবে। একটি সুন্দর স্বাস্থ্য ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে, যেখানে রোগীরা চিকিৎসকদের দেখে শ্রদ্ধা অনুভব করবেন– ভয় বা ক্ষোভ নয়। তাহলেই সহিংসতা ও উত্তেজনা কমবে এবং প্রকৃত নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।
প্ল্যাটফর্ম/এমইউএএস