রবিবার, ০৪ মে ২০২৫
নিরাপদ স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে গ্রাজুয়েট ফার্মাসিস্টদের তত্ত্বাবধানে সারাদেশে সাতশো ফার্মেসি চালুর উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
এসব ফার্মেসিতে ডাক্তারি ব্যবস্থাপত্র ছাড়া কোনো এন্টিবায়োটিক ও স্পর্শকাতর কোনো ঔষধ বিক্রি করা হবে না। রোগী ও প্রতিষ্ঠানের ঝুঁকি কমাতে এবং সাশ্রয়ী মূল্যে রোগীদের সেবা দিতে গ্রাজুয়েট ফার্মাসিস্টদের আহ্বান জানান প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ সায়েদুর রহমান। সেই সাথে এই উদ্যোগকে সফল করতে ফার্মাসিস্টদের সহযোগিতা চান তিনি।
বাংলাদেশ ফার্মেসি কাউন্সিল আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টার সহকারী অধ্যাপক ডা. মো: সায়েদুর রহমান বলেন, “আধুনিক চিকিৎসায় প্রতিটি হাসপাতালে গ্রেজুয়েট ফার্মাসিস্ট এর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিরাপদ ও সঠিক মাত্রায় দেয়ার ক্ষেত্রে ফার্মাসিস্টদের বিকল্প নেই।”
পরিসংখ্যান বলছে, এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশেই সবচেয়ে কমসংখ্যক গ্রাজুয়েট ফার্মাসিস্ট হাসপাতাল গুলোতে সেবা দিয়ে থাকেন। থাইল্যান্ড এ এই হার ৪০% শতাংশ,মালয়েশিয়ায় ৩৮%, ইন্দোনেশিয়ার ২৬% কিন্তু বাংলাদেশে মাত্র ১০ শতাংশের নিচে ফার্মাসিস্টদের উপস্থিতি দেখা গেছে। তাই এই প্রথম ফার্মাসিস্টদের তত্বাবধানে ৭শ ঔষধ এর দোকান ও হাসপাতালে গ্রেজুয়েট ফার্মাসিস্টদের পদ সৃষ্টি করার উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
উল্লেখ্য, ১৮ কোটি মানুষের দেশে ৬৫৪ টি সরকারি হাসপাতালে একসাথে ৫১ হাজার ৩ শ ষোলটি মানুষের চিকিৎসার সুযোগ আছে। তবে এসব প্রতিষ্ঠানে ঔষধ সরবরাহে একজনও গ্রেজুয়েট ফার্মাসিস্ট নেই।
প্ল্যাটফর্ম প্রতিবেদকঃ মেহরুবা আক্তার