শুক্রবার, ০২ মে, ২০১৫
ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফার্মাসি এবং হসপিটালিটি বা ক্লিনিক্যাল ফার্মাসির বাইরেও কমিউনিটি ফার্মাসি নিয়ে ভাবার পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান।
শুক্রবার (০২ মে) স্বাস্থ্য সেবায় হাসপাতালে গ্র্যাজুয়েট ফার্মাসিস্টদের ভূমিকা এবং নিয়োগদানের ওপর অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান বলেন, আমাদের হাসপাতাল সার্ভিস খারাপ হওয়ার মূল কারণ হচ্ছে সামর্থ্যের চেয়ে রোগীর সংখ্যা বেশি। বর্তমান প্র্যাক্টিসে হাসপাতালে ডাক্তার ও নার্সদের একটা সামঞ্জস্য আছে। ফার্মাসিস্ট পৃথক বিষয়। নতুন গাইডলাইনে হাসপাতালে ফার্মাসিস্টদের পদ সৃজন করছি আমরা। তবে, ক্যারিয়ার পরিকল্পনার ক্ষেত্রে কমিউনিটি ফার্মাসিস্টকে মাথায় রাখতে হবে। এটা বললে অনেকে হয়তো বলবেন, দোকানে কীভাবে বসবে? আসলে মানি আর না মানি, আমাদের বহুলোক ওইখান থেকে সার্ভিস দিয়ে জীবন কাটিয়ে দিয়েছেন। তারাও সমাজের বড় ও বিশাল অংশের কাছে গুরুত্বপূর্ণ।
এসময় তিনি ফার্মাসির শিক্ষকদের বলেন, কারিকুলামে পরিবর্তন আনার পাশাপাশি কাজের ক্ষেত্রে মানসিকতায় পরিবর্তন আনতে হবে। ছাত্রদের উৎসাহিত করেন যাতে তারা স্বাস্থ্য সেবায় যুক্ত হতে আগ্রহী হয়। চিকিৎসকরা যেমন আগে থেকেই মানসিক প্রস্তুতি নেয়, তাকে জয়েন করে গ্রামে যেতে হবে। এখানেও এটা প্রতিষ্ঠিত করতে হবে, একটা গ্র্যাজুয়েট ফার্মাসিস্ট এর উপস্থিতিতেই একটা ওষুধের দোকান ফার্মেসী হয়। পাশাপাশি আমরা নতুন কিছু উদ্যোগ নিচ্ছি। এসব উদ্যোগগুলোতে স্বাগত জানাতে হবে। আমরা বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় ফার্মাসিস্টদের রাখার পদ তৈরি করছি। আপনারাও টিমওয়ার্কের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করুন।
ফার্মেসি কাউন্সিলের হাসপাতাল কমিটির সভাপতি নাসের শাহরিয়ার জাহেদীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী – অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান। সভায় আরও বক্তব্য দেন তাইওয়ানের একজন অধ্যাপক। সভায় শুভেচ্ছা জানান ফার্মেসি কাউন্সিলের সচিব মাহবুবুল হক।