চিকিৎসক বিদ্বেষ, পেছনের রাজনীতি ও একজন নচিকেতা

 
নচিকেতা চক্রবর্তীর গান শুনেননি এমন একজন মানুষও বোধহয় খুঁজে পাওয়া ভার। কবীর সুমনের দেখানো পথে হেঁটে সুমনের কাছাকাছি সময়েই তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন অঞ্জন দত্ত ও নচিকেতা। সুমন যেখানে তার গান ও চিন্তাভাবনায় সমাজের মধ্যবিত্ত শ্রেণীর প্রতিনিধিত্ব করছিলেন, অঞ্জন ও নচিকেতা সে জায়গায় যথাক্রমে উচ্চবিত্ত ও নিম্নবিত্ত/শ্রমিক শ্রেণীর ভাবনা ও রুচিবোধকে প্রভাবিত করেছেন। ফলে স্বাভাবিক নিয়মেই যোগ্যতা ও মানের প্যারামিটারে সুমন যোজন যোজন এগিয়ে থাকলেও নচিকেতা তার তুলনামূলক স্থূল কিন্তু ভিন্নধর্মী লিরিক ও গায়কী দিয়ে আমজনতার খুব কাছে পৌঁছাতে পেরেছিলেন। অস্বীকার করার জো নেই, অল্প বয়েসে নচি’র গান আমাকেও দোলা দিয়েছিল, কিন্তু পরিণত হবার সাথে সাথে নচিকেতার সংরাইটার পরিচয়ের চাইতে বরং দুর্দান্ত একজন হারমোনিয়াম বাদক পরিচয়ই আমার কাছে বড় হয়ে ধরা দেয়। তার অনন্য সৃষ্টি ‘বৃদ্ধাশ্রম’ ছাড়া আর কোনো কিছু দিয়েই আমি তাকে আমার মগজে ঠাঁই দিতে পারিনি।

 

নচিকেতা চক্রবর্তীকে নিয়ে এই সুবিশাল উপক্রমণিকার সাথে ডাক্তার ইস্যুর সম্পর্ক কিভাবে টানবো, নিশ্চয়ই পাঠক ভাবছেন। নচি মূলত চিকিৎসক সমাজের প্রতি সাধারণ মানুষের অযাচিত ক্ষোভের দৃশ্যমান বিস্ফোরণের পেছনে প্রচারমাধ্যমের ভূমিকার এক গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ হিসেবে আমার কাছে ধরা দেন। সুযোগ থাকা স্বত্ত্বেও আমি কখনো নচিকেতার অনুষ্ঠান উপভোগ বা তার কাছাকাছি যাওয়ার তেমন একটা উৎসাহ বোধ করিনি, কিন্তু গত রাতে কিভাবে যেন ইউটিউবে তার একটি গোটা অনুষ্ঠান চোখের সামনে পড়ে যায়। এরপর বিভিন্ন জায়গায় তার কয়েকটি অনুষ্ঠান দেখে ফেলি। সেই একই গান, প্রতি গানের আগে সেই একই জোকের রিপিট টেলিকাস্টের মাঝে স্রেফ নির্দিষ্ট একটা গান ও তার পরিবেশনা আমাকে বিশেষভাবে ভাবিয়ে তোলে।

 

 

আগেই বলেছি, নচিকেতা মূলত স্থূল রুচিসম্পন্ন গীতিকার। নিজের টার্গেট গ্রুপের মগজের পরিধি ভালভাবে জানেন বলেই তিনি গভীর কিছুতে কখনোই যেতে চাননি। ‘এই আগুনে হাত রাখো’ শীর্ষক এলবামে নচি’র একটি গান ছিল ‘ও ডাক্তার’ নামে। এলবামটি বের হবার পর প্রায় প্রতিটি শো’তেই নচি গানটি গেয়ে থাকেন, সাথে লক্ষ্যণীয়ভাবে থাকে একই গল্প, একই জোকের চর্বিত চর্বণ।

ED_IMG_5137-L

 

গানটিতে তিনি তার স্বভাবসুলভ স্থূল রসের মাধ্যমে ডাক্তার প্রজাতির প্রতি তার তীব্র বিষেদাগার বর্ণণা করেছেন। ডাক্তার মাত্রই কসাই, কমিশনখোর, ব্যবসায়ী ইত্যাদি অনুযোগ তিনি এ গানে সরাসরি বলেছেন। উদাহরণস্বরূপ-

                              ‘ডাক্তার মানে সে তো মানুষ নয়, আমাদের চোখে সে তো ভগবান,
                               কসাই আর ডাক্তার একই তো নয়, কিন্তু দুটোই আজ প্রফেশান।
                                       কসাই জবাই করে প্রকাশ্য দিবালোকে,
                                         তোমার আছে ক্লিনিক আর চেম্বার-
                                                         ও ডাক্তার!’

 

 

লাইভ কনসার্টে গানটির আগে, পরে ও মধ্যে নচিকেতা যেসব গল্প ও জোক বলে লোকের সমর্থন কেনেন, সেগুলোও ঠাট্টার ছলে মূলত চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে একধরনের ঢালাও বিষেদাগার বৈ কিছু নয়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, তিনি আদতে ডাক্তারদের কোনো দুর্নীতিবাজ স্পেসিফিক গ্রুপকে খুঁচিয়েছেন তা কিন্তু নয়, এই গান এবং তার পারফর্ম্যান্সে যেকোন সুস্থ মানুষের কাছে স্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হবে যে, নচিকেতার কাছে ডাক্তার মানে কোনো বাছবিচার ছাড়াই ‘শিক্ষিত কসাই’।
তার উদাহরণ গানের শেষ অংশেও আছে-

‘তোমার গৃহিণী যে গয়না পরেন, দেখেছো কি তাতে কত রক্ত?
                                              তোমার ছেলের চোখে দেখেছো কি, কত ঘৃণা জমা অব্যক্ত?
                                                   তোমারও অসুখ হবে, তোমারই দেখানো পথে
                                                           যদি তোমাকেই দেখে কোনো ডাক্তার-
                                                                              ও ডাক্তার!’

 
দেখুন, আমি পেশায় একজন চিকিৎসক হলেও আমার সংগীতপ্রেমী স্বত্ত্বাটার ব্যপ্তি চিকিৎসক স্বত্ত্বার চাইতে বেশি। সে সূত্রেই আমি নচিকেতার অবদান, মেধা ও কৃতিত্ব সম্পর্কে ওয়াকিবহাল, আমি তার একজন ভক্ত বললেও ভুল হবে না (যদিও আজকের লেখায় বোধহয় বিষেদাগারটাই বেশি করে ফুটে উঠল দুর্ভাগ্যজনকভাবে)। একই সাথে আমি একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ডিরেক্টর হবার কারণে এও জানি যে চিকিৎসকরা নিষ্পাপ নন, তাদের বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলা, সহমর্মিতার অভাব, কমিশন বাণিজ্য ও অর্থলোভের অভিযোগ মোটেই অমূলক নয়। কিন্তু সেটা কত পার্সেন্ট? সঠিক পরিসংখ্যান জানা নেই আমার, কিন্তু বুকে হাত দিয়ে বলতে পারি এমন ডাক্তারের সংখ্যা সর্বোচ্চ ৫%। শতকরা পাঁচজনের দায়ে গোটা কমিউনিটিকে গালাগাল করে গান বাঁধা কতটা ন্যায়সম্মত বা এর ইমপ্যাক্ট কত বড়, তা আর যেই হোক, নচিকেতা চক্রবর্তী মহাশয়ের মত মেধাবী শিল্পী বোঝেন না বা জানেন না, তা আমি বিশ্বাস করি না।

 

 

দালালভিত্তিক বাণিজ্যবাদ, ছাত্রজীবন হতে শুরু করে ডাক্তার হওয়া অব্দি জীবন সংগ্রাম বা রোগীর আধিক্যজনিত হাজার যুক্তি আমি এখন দিতে পারি, সেগুলো প্রায় সবাই-ই জানেন বলে আবার তাতে ঢুকছি না।
সম্প্রতি এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র বিতর্ক থেকে আরম্ভ করে নচিকেতার গান পর্যন্ত প্রতিটি চিকিৎসক বিষেদাগারে খেয়াল করলেই দেখবেন বন্ধুরা, প্রত্যেকের অভিযোগ ঘুরে ফিরে একটাই- অর্থ উপার্জন। ডাক্তারদের কেনো এত উপার্জন হবে, কেনো তারা ক্লিনিক বা ল্যাব ব্যবসা করবেন এই নিয়ে সবার ঘুম হারাম এবং এই অর্থজনিত ঈর্ষা থেকেই কেমন করে জানি তাদের সেই বাদবাকি ঢালাও এবং জেনারালাইজ অভিযোগগুলো উৎসারিত হতে থাকে। আরেকজনের হাতে টাকা দেখলে ঈর্ষা আমারও হয় বন্ধুরা, এটা মানুষের স্বাভাবিক প্রবৃত্তি। কিন্তু যদি অপরের সেই উপার্জনের কারণ হিসেবে তার অনন্য কোনো যোগ্যতা থেকে থাকে, তবে সেই ঈর্ষাকে অমূলক হিসেবে দমিয়ে নিজের চরকায় তেল দেয়াটাই শিক্ষার ভূমিকা।

 

 

আচ্ছা, দারিদ্র্যসীমার নিচে অবস্থানকারী বাংলাদেশ বা পশ্চিমবংগে এক ঘন্টা গান গাইবার জন্য ৪-৫ লক্ষ টাকা পারিশ্রমিক নচিকেতা কেনো চার্জ করেন, এই মর্মে আমি যদি তার মানবিকতা নিয়ে অভিযোগ তুলে বসি তাহলে কেমন হয়? কি জবাব দেবেন? নচিকেতাকে যার দরকার তার এই দামে পোষালে নেবে, নাইলে অন্য স্বল্প পারিশ্রমিকের শিল্পী নিক, এই তো? তাহলে নচিকেতা যখন ডাক্তারের উচ্চ ফি নিয়ে গান বাঁধেন, তখন আমিও তাকে বলতে পারি, ৫০ টাকা দিয়ে ফার্মেসীতে এমবিবিএস রেজিস্টার্ড ডাক্তার দেখান না কেন? কেনো পেট ব্যথা হলেও হাজার টাকা ভিজিটের প্রফেসরের কাছে দৌঁড়ান?

সাথে যারা সরকার কর্তৃক ডাক্তারের ফি নির্ধারণ করে দেয়ার কথা বলছেন, আপনাদের সাথে আমি একমত। তবে সাথে একটা ছোট্ট শর্ত আছে। আপনাদের দাবির সাথে জেমস ভাই, রুনা লায়লা, ব্যরিস্টার আনিসুল হক, কবি নির্মলেন্দু গুণ সহ প্রত্যেক পেশাজীবির ফি নির্ধারণ করে দেয়ার দাবি যোগ করে দেন প্লিজ। কেউ খাবে তো, কেউ খাবে না,
তা হবে না, তা হবে না !

 
কিন্তু না, আমার এমন অযৌক্তিক ঈর্ষা কাজ করে না। আমি জানি এদের প্রত্যেকের সার্ভিস স্পেশালাইজড, এরা অনেক পরিশ্রম করে আজ নিজেদের এই পারিশ্রমিকের যোগ্য করে তুলেছেন। তাদেরও পাকস্থলী আছে, বাচ্চার স্কুল আছে, বউয়ের খ্যাসম্যাস আছে। তাদেরও অসুখ হয়, তাদেরও ডাক্তার দেখাতে হয়, ঠিক যেভাবে আমাদেরও নচিকেতা বা জেমসের গান শুনে মনটাকে বাঁচিয়ে রাখতে হয়, কোর্টে লড়াই করে নিজের অধিকারকে প্রতিষ্ঠা করতে হয়। আমার যদি নচিকেতাকে এফোর্ড করার সামর্থ্য না থাকে, তবে আমি অন্য কাউকে দিয়েই প্রোগ্রাম করবো। পাশাপাশি যেন একদিন নচিকেতাকে দিয়েই অনুষ্ঠান করাতে পারি, সেই লক্ষ্যে নিজের যোগ্যতাকে বাড়ানোর কাজে মনোনিবেশ করবো। এই এক্সেলেন্স অর্জন বা আরো ভালো থাকার চেষ্টার ভেতর দিয়েই একটা শ্রেণীতে প্রতিযোগিতা হয়, উন্নতি হয়।

 

 

 

নচিকেতা চক্রবর্তী নিশ্চয়ই জানেন, কত বিপুল মানুষ তার এক একটা কথায় প্রভাবান্বিত হয়। বিশ্বের যেখানেই বাঙালি আছেন, সেখানেই নচি বেঁচে আছেন তুমুল ভালবাসায়। সেই ভালবাসার মানুষ যখন ঠাট্টাচ্ছলেও অনবরতভাবে একটি নির্দিষ্ট পেশাজীবি শ্রেণীর বিরুদ্ধে অন্তরে বিষ ঢুকিয়ে দিতে থাকেন, তার চেয়ে ক্ষতিকর আর কিছু কিন্তু নেই। আজ আমি এই লেখায় নচিকেতাকে নিয়ে যা-ই বলি না কেন, তার বা শিল্পী সমাজের কিন্তু কিছুই যায় আসবে না। কিন্তু একজন লোকপ্রিয় শিল্পী যদি একটা শব্দও বলেন, তাতে একটা বিশাল সংখ্যক জনগোষ্ঠী প্রভাবিত হয়। নচিকেতা একটা উদাহরণ মাত্র, এই একইভাবে নিজের ব্যক্তিগত বিদ্বেষ, ঈর্ষা, বাজে অভিজ্ঞতা এবং কিছুক্ষেত্রে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে অসংখ্য পত্রিকা, টিভি চ্যানেল, সাংবাদিক, সেলিব্রেটি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে চিকিৎসকদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ছেন। ইন্টারেস্টিংলি, এই ট্রাডিশান গত দুই বছরের আগে সেভাবে চোখে পড়েনি, এই দুই বছরে ডাক্তারকে গালাগালি ও প্রহার করা যেন একটি ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে। আমি আবারও বলছি, অনেকেরই বিরূপ অভিজ্ঞতা আছে, নিজে ডাক্তার হবার পরেও আমার বাবার মিস ডায়াগনোসিস (ভুল চিকিৎসা নয়) হয়েছিল; আমরা প্রত্যেকেই সেটাকে দশ কেজি চালের ভেতর একটি পোকাক্রান্ত চাল হিসেবেই দেখতাম। কিন্তু এখন প্রচার মাধ্যম ও প্রচারকদের ক্রমাগত ব্রেইন হ্যামারিং খুব ক্ষুদ্র জিনিসকেও টুইন টাওয়ার হিসেবে দেখতে আমাদের জনগণকে বাধ্য করছে। মেট্রিকও পাশ না করে আমরা একজন প্রফেসরকে ভুল চিকিৎসার অপবাদ দিচ্ছি। রোগী প্রপার চিকিৎসা পেয়ে স্রেফ নিয়তির দোষে মারা গেলেও মৃত্যুর পেছনে আগে ডাক্তারের দোষ ধরে নিয়ে আমরা প্রথমে একচোট গালাগালি ও মারধোর করে নিই আজকাল।

আমি নিজে একরাতে ডিউটিরত অবস্থায় নতুন ভর্তি হওয়া এক বাচ্চার পরিবারের সাথে নিরুপায় অভিনয় করে গেছি এক ঘন্টা। বাচ্চা ভর্তির সময়ই মৃত অবস্থায় এসেছিল (brought dead), সমস্ত পরীক্ষানিরীক্ষা করে মৃত্যু নিশ্চিত হবার পরেও পেশেন্ট পার্টির উত্তেজিত ভাবভংগী ও ডাক্তারদের প্রতি কুশ্রী বিষেদাগার শুনে আমি মৃত্যু ঘোষণা করিনি। সিনিয়রের পরামর্শে সেই মৃত ছোট্ট বাচ্চাটার বেজান শরীরে আধা ঘন্টা যাবৎ ব্যাগ এন্ড মাস্ক, স্টেরয়েড, সিপিআরের অভিনয় করে তারপর ১০১টা নাটকের মাধ্যমে মৃত্যু ঘোষণা করতে হয়েছে। জানহীন বাচ্চাটার উপর এই হাতাহাতি করতে গিয়ে আমার ও আমার সহকর্মীর গড়িয়ে পরা অশ্রু কি আমাদের হয়রানি করতে উদ্যত এই মানুষগুলো কখনো দেখেন আদৌ?

 

 

সমালোচনা করা একটি শিল্প। সঠিকভাবে সেটা না করতে জানলে ভালো করতে যেয়ে উল্টো খারাপটাই হয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতি, সরকারি হাসপাতালের অব্যবস্থাপনা, ব্যাঙের ছাতার মত গজিয়ে ওঠা মানহীন মেডিকেল কলেজের কারণে যদি আপনাদের দুর্ভোগ হয়, তার দায়ভার কেন আপনি চিকিৎসকদের উপর দিয়ে নিজেদের আন্তঃসম্পর্কের আন্তরিকতাকে পানিতে ফেলছেন? সরকারি মেডিকেলের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও সিটের অপ্রতুলতার কারণে সৃষ্ট অসুবিধার জন্য কি চিকিৎসকরা দায়ী? ক্লিনিক বা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ডাকাতির জন্য কি সেখানে ৮ ঘন্টায় মাত্র ৬০০ টাকা বেতন পাওয়া ডাক্তার দোষী? আপনাদের ৯০ ভাগ অভিযোগ যে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে, সেই একই অভিযোগ তো এই ডাক্তারদেরও আছে। তবে কেনো আমরা একে অপরকে এই পরস্পর মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড় করাচ্ছি? আজ কার স্বার্থ বাস্তবায়ন করতে যেয়ে সাংবাদিক আর চিকিৎসকরা একে অপরকে দেখলে তেড়ে ওঠেন?

 

প্রিয় নচিকেতা চক্রবর্তী মহাশয়,
না, আমি এবং আমার মত লাখো চিকিৎসক বুকে হাত দিয়ে বলতে পারি, আমাদের স্ত্রীর গয়নায় এক ফোঁটাও রক্ত লেগে নেই, তাতে লেগে আছে অজস্র চিকিৎসাপ্রাপ্ত মানুষের দোয়া। আমাদের সন্তানদের চোখে কোনো ঘৃণা জমে নেই, সেখানে বরং খেলা করে একদিন বাবার মত হতে চাওয়ার স্বপ্ন। আমাদের সন্তানকে আমরাও মানুষ হতে শেখাই, তাদের শোনাই আপনার বিখ্যাত ডায়লগ -‘ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার যা-ই হোস না কেনো বাবা, সবার আগে একজন মানুষ হোস’।

 

    
আমাদের শ্রেণীকরণের এই সমাজে ঐ ‘মানুষ’ পরিচয়টার বড় অভাব নচি দা, বড়ই অভাব।

 

 

লেখক ঃ ডা. ইশতিয়াকুল ইসলাম খান, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতাল।

 

Ishrat Jahan Mouri

Institution : University dental college Working as feature writer bdnews24.com Memeber at DOridro charity foundation

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Time limit is exhausted. Please reload the CAPTCHA.

Next Post

গল্পটা লোভ কিংবা ভালোবাসার

Wed Feb 15 , 2017
ভালবাসা দিবসের বিশেষ আয়োজনে থাকছে, গল্প- “গল্পটা লোভ কিংবা ভালোবাসার”     ১৩ তারিখ সকালে বাসা থেকে বের হয়েছিলেন ডাঃ জাবেদ সাহেব, ফিরেছেন গভীর রাতে । ফ্রেশ হয়ে বিছানায় চুপ করে বসে আছেন তিনি । উনার স্ত্রী নীলিমা, ” তোমার সাথে একটু কথা আছে ” । “আজ না আমি খুব […]

Platform of Medical & Dental Society

Platform is a non-profit voluntary group of Bangladeshi doctors, medical and dental students, working to preserve doctors right and help them about career and other sectors by bringing out the positives, prospects & opportunities regarding health sector. It is a voluntary effort to build a positive Bangladesh by improving our health sector and motivating the doctors through positive thinking and doing. Platform started its journey on September 26, 2013.

Organization portfolio:
Click here for details
Platform Logo