X

৭২ ঘন্টার মধ্যে করোনা আক্রান্ত চিকিৎসকদের চিকিৎসার সুব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন বিএমএর

প্ল্যাটফর্ম নিউজ, ২১ জুন ২০২০, রবিবার

গত ২০শে জুন, ২০২০(শনিবার) বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার এর স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী জনাব জাহিদ মালেক এমপি  বরাবর কোভিড -১৯ আক্রান্ত চিকিৎসকদের চিকিৎসার সুব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে আবেদন করা হয়।

আবেদনে বলা হয়, ৮ই মার্চ বাংলাদেশে প্রথম কোভিড- ১৯ আক্রান্ত রোগী সনাক্ত হওয়ার পর আজ পর্যন্ত সেই সকল রোগীদের সেবায় বিভিন্ন সরকারী, বেসরকারী হাসপাতালে চিকিৎসক ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীরা নিরন্তর ও নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

“মানহীন পিপিই, মাস্ক জোড়াতালী দিয়ে অবৈজ্ঞানিকভাবে দ্রুত তৈরী করা কোভিড আইসিইউ, অপর্যাপ্ত ট্রেনিং, রোগীদের খাম-খেয়ালীপনা, স্বল্প পরিসরে কোভিড- নন কোভিড চিকিৎসার কারণে রোগের স্ট্রিমিং, চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী স্বল্পতা, থাকা- খাওয়ার অব্যবস্থাসহ ইত্যাদি বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়ের নির্লিপ্ততা, উদাসীনতা, অদূরদর্শিতা ও সমন্বয়হীনতার কারণে ২০ শে জুন ২০২০(শনিবার) পর্যন্ত প্রায় ১১০০ জন চিকিৎসকসহ মোট প্রায় ৩৫০০ স্বাস্থ্য কর্মী কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত ও ৪৪ জন চিকিৎসক, নার্স সহ ৮ জন স্বাস্থ্যকর্মী শাহাদত বরণ করেছেন। উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সিনিয়র চিকিৎসক ও আইসিইউ বিশেষজ্ঞ এদের মধ্যে অন্যতম”। 

বিএমএ থেকে বলা হয়, এ জাতীয় ক্ষতির জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তর দায় এড়াতে পারেনা। মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের এহেন আচরণে বিএমএ ক্ষুব্ধ ও মর্মাহত। উল্লেখ্য, চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের এত বহুলাংশ আক্রান্ত ও মৃত্যু আজ পর্যন্ত কোনো কোভিড আক্রান্ত দেশে ঘটে নি।
বিএমএ থেকে আরও বলা হয়, লক্ষ্য করা যাচ্ছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে কোভিড-১৯ আক্রান্ত সংবাদকর্মী, পুলিশবাহিনী, আইনজীবী সহ অনেকের চিকিৎসার জন্যই আলাদা সুব্যবস্থা রাখা হয়েছে কিন্তু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রথম সারির যোদ্ধা চিকিৎসকদের জন্য কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।

তাই, বিএমএ এর পক্ষ থেকে আগামী ৭২ ঘন্টার মধ্যে ঢাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা অন্য কোনো হাসপাতালে কোভিড- ১৯ আক্রান্ত চিকিৎসকদের চিকিৎসার সুব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মাননীয় মন্ত্রী জনাব জাহেদ মালেক এমপিকে অনুরোধ করা হয়। অন্যথায় পরবর্তীতে উদ্ভূত যে কোনো পরিস্থিতির জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তর দায়ী থাকবে বলে জানায় বিএমএ কর্তৃপক্ষ।

Silvia Mim:
Related Post