সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৫
উচ্চতর বেতন স্কেলের দাবিতে সারা দেশে গত ২৯ নভেম্বর থেকে কর্মবিরতি পালন করছেন ইপিআই কর্মীরা। কর্মবিরতির কারণে কার্যত বন্ধ হয়ে গেছে নবজাতকসহ শিশুদের ১০টি রোগ প্রতিরোধে টিকাদান কার্যক্রম। ফলে দেশের লাখ লাখ শিশু টিকা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।এছাড়া কর্মবিরতির কারণে কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কার্যকর উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না।

জানা গেছে, পোলিও, হুপিং কাশি, যক্ষ্মা, ধনুষ্টংকার, হাম, ডিপথেরিয়া ও রুবেলাসহ ১০টি মারাত্মক রোগ প্রতিরোধে জন্মের পর থেকে ১৮ মাস বয়স পর্যন্ত নির্ধারিত সময়ে মোট ১১টি ভ্যাকসিন দিতে হয়। এসব রোগ নির্মূলে সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বিনা মূল্যে টিকা সরবরাহ করে থাকে। ইপিআই কর্মসূচির আওতায় মাঠপর্যায়ে স্বাস্থ্য সহকারী, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য পরিদর্শকেরা এই কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেন। প্রতিটি ইউনিয়নে রয়েছে ২৪টি টিকাদান কেন্দ্র। প্রতি মাসে গড়ে প্রতিটি উপজেলায় ৫ থেকে ৬শ শিশু এসব কেন্দ্রে বিনা মূল্যে টিকা পেয়ে থাকে। জন্মের পর শিশুকে টিকা কার্ড দেওয়া হয়, যেখানে টিকাদানের সময়সূচি উল্লেখ থাকে। নির্ধারিত সময়ে টিকা নেওয়া বাধ্যতামূলক। টিকা কার্ড ছাড়া শিশুর জন্মনিবন্ধন সনদও দেওয়া হয় না। ফলে টিকাদান বন্ধ থাকায় জন্মনিবন্ধন কার্যক্রমেও প্রভাব পড়ছে।
ইপিআই কার্যক্রমের সাফল্যের স্বীকৃতি হিসেবে বাংলাদেশ একাধিকবার আন্তর্জাতিক পুরস্কার অর্জন করেছে। মাঠপর্যায়ে কর্মরত স্বাস্থ্য সহকারীরা ‘ভ্যাকসিন হিরো’ হিসেবেও পরিচিতি পেয়েছেন। তবে সেই পুরস্কারপ্রাপ্ত কর্মসূচি এখন কর্মবিরতির কারণে বাধাগ্রস্ত হওয়ায় ভবিষ্যতে এসব মারাত্মক রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন সংশ্লিষ্টরা। আদিতমারীর বাসিন্দা বুলবুল আহমেদ বলেন, জন্মের পরপরই শিশুকে টিকা দিতে হয়। এক মাস ধরে টিকাদান কেন্দ্র বন্ধ থাকায় তার শিশু টিকা নিতে পারেনি। এতে তিনি উদ্বিগ্ন। তিনি দ্রুত মাঠপর্যায়ের কার্যক্রম শুরুর জন্য নীতিনির্ধারণী পর্যায় থেকে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
প্ল্যাটফর্ম/
