X

সড়ক দূর্ঘটনায় শিক্ষানবিশ চিকিৎসকের মৃত্যু

একজন তরুন ডাক্তার সারাদিন রোগী দেখে রাতের বেলা হাসপাতাল থেকে বের হলেন… পাচ বছর সব থেকে কঠিন কোর্স এম,বিবি,এস পাশ করে ডাক্তার হয়েছে তিনি। দেশের সেরা মেধাবীদের একজন সে, অত্যন্ত পড়ুয়া ও ভাল ব্যবহারের মানব-সেবায় নিবেদিত প্রাণ একজন ডাক্তার ……
হাসপাতাল থেকে বের হয়ে রিক্সায় চড়ে কিছুদুর আসতেই ঘটলো দূর্ঘটনা… এক অজমুর্খ, অশিক্ষিত, দুর্পাপী মাইক্রোবাস চালক সামনে থেকে ধাক্কা দিল রিক্সায়… ওই স্থানেই পড়ে গিয়ে মস্তিস্কে রক্তক্ষরণ শুরু হল ওই তরুণ ডাক্তারের…
রাস্তায় পড়ে আছে… তেমন কোন মানুষ নেই, যারা আছে তারা দাঁড়িয়ে শুধু দেখছে… (!!!)… কোন রিক্সা বা অটোরিক্সা তাকে বা আহত রিক্সাচালককে নিতে চায়না… (!!!)
সারাদিন মানুষের সেবা দিয়ে আসা এই ডাক্তার এই অবস্থায় পড়ে রইল প্রায় ২০ মিনিট…(!!!)
এরপর কিছু সেচ্ছাসেবীর সহায়তায় এক অটোকে ধমক দিয়ে তারপর নিয়ে আসল হাসপাতালে…
হাসপাতালে এনে ইসিজি লাগাতে লাগাতে নিস্তেজ হয়ে গেল শরীর… ইসিজিতে ফ্লাট লাইন…
এতক্ষন রাস্তার মানুষ কেন এগিয়ে এলোনা, এদেরকেই তো উনি সারাদিন সেবা দিয়ে যান…মানুষ কেন আনতে চাইছিল না তাকে…
আর ২০মিনিট আগে আনলে কি হত না… হ্যা, সব মস্তিষ্ক-রক্তক্ষরণের মানুষকে বাচানো যায় না… মেডিকেল সাইন্স অনেক জায়গায় নির্বল… কিন্তু চেষ্টা তো করা যেত, বাচার সম্ভাবনা বাড়তো, হয়তো বেচেও যেতেন উনি…
…… ভাইয়ার সাথে কয়দিন আগেও মেডিসিন ওয়ার্ডে রাউন্ড দিচ্ছিলাম, এটা-ওটা শিখিয়ে দিলেন…
ডাঃ শাহেদুল আলম পলাশ, ফ,মে,ক-১৯ ব্যাচ, ভালো থাকবেন… শান্তিতে থাকবেন…… আপনার পরিচিত কেউই আপনাকে ভুলতে পারবে না কখনো…
সৃষ্টিকর্তা আপনাকে জান্নাতবাসী করুন……

তন্ময় শেখর বিশ্বাস, ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ।

ডক্টরস ডেস্ক: bddoctorsplatform@gmail.com

View Comments (10)

Related Post