আমরা শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজের ১ম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা ভর্তির পর থেকেই নানাভাবে এলাকার স্থানীয় বখাটেদের শিকার হয়ে আসছি অসহায় ভাবে। ক্লাস শুরু হবার কিছু দিন পর থেকে কলেজ ক্যন্টিন এ বহিরাগত লোকেরা এসে ছাত্রীদের উত্যক্ত করে। প্রতিবাদ করার অপরাধে কলেজের এক ছাত্রকে অপহরন করে মারধর করা হয়। এবং সব শেষে মুক্তি পণও আদায় করা হয়। কিন্তু এ ঘটনার পরও ছাত্রদের নিরাপত্তার কোন ব্যবস্থা করা হয়নি। যার ফলশ্রুতিতে ১৮ নভেম্বর ২০১৪ কলেজের ১ম বর্ষ পূর্তি উদযাপনের সময় ও ঠিক একই ঘটনার শিকার হতে হয় আমাদের। কলেজে আল্পনা করার সময় এক দল বখাটে ছেলে ছাত্রদের উত্যক্ত করতে আসলে ছাত্ররা আবার প্রতিবাদ গড়ে তোলে। তাদের সাহসীকতাই সেদিন ছাত্রীরা বেঁচে যায় । সব মিলিয়ে বখাটেদের জন্য ক্যাম্পাসটা এখন অভয়ারণ্য । তারা মেডিকেল ক্যাম্পাসে এসে মাদকদ্রব্য সেবন করে। ইভটিজিং করে। প্রতিবাদ করতে গেলেই মারধোরের শিকার হতে হয় ছাত্রদের । কলেজ ক্যাম্পাস দুরে থাক ছাত্রী হোস্টেলে নেই কোন নিরাপত্তা ব্যবস্থা । রাতের অন্ধকারে ছাত্রী হোস্টেলের জানালার বাইরে সানশেড বেয়ে উঠে নানা নোংরামি(শব্দটা লেখা গেলো না) করে। এতো ঘটনার পরেও আমাদের দুর্ভাগ্য যে একজন অদক্ষ বয়স্ক লোককে শুধু মাত্র টর্চ হাতে গার্ড হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে যার কিনা দায়িত্ব সম্পূর্ণ কলেজ ক্যম্পাস এবং ছাত্রী হোস্টেলের নিরাপত্তা প্রদান।
ছাত্রী হোস্টেলে গার্ড দেওয়া হলে পা ভেঙে দেওয়ার হুমকি। এরই মাঝে চলে এসেছে আর একটি ব্যাচ। আমাদের প্রিন্সিপ্যাল স্যারের আপ্রাণ চেষ্টা সত্বেও প্রশাসনের কি একটুও টনক নড়বে না? প্রশাসন কি বোঝেনা তাদের এই নির্লিপ্ততা আমাদের ঐ বখাটে গুলোর কাছে উপহাসের পাত্রে পরিণত করে? অজানা আশঙ্কাই প্রতিটি দিন কাটাতে হয় ছাত্রদের এলাকাবাসীর গর্ব হওয়ার কথা ছিলো মেডিকেল শিক্ষার্থীদের্। কিন্তু নূন্যতম সম্মানটুকু করার পরিবর্তে যখন ছাত্রদের উপর তাদেরই ক্যম্পাস এ এসে এমন ব্যবহার করে যা জন্তু জানোয়ার দের সাথেও কেউ করে না। তখন আসলেই আমাদের মানব সেবার স্বপ্নটা দুমড়ে যেতে হয়। বহুবার ধৈর্য ধরেছি, ভেবেছি সময়ের সাথে সব ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু না,কিছুই ঠিক হয়নি। ছাত্ররা যখন নিজ ক্যাম্পাসে নিরাপদ না, তখন পৃথিবীর আর কোন থাকতে পারে যেখানে সে জীবনের নিশ্চয়তাটুকু পেতে পারে? ছাত্রদের সত্যের পক্ষে সামান্যতম কথা বলার অধিকার নেই, ছাত্রীদের নেই নূন্যতম নিরাপত্তা। মুখ বুজে সহ্য করতে করতে অন্যায়টাই যেন নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। সম্প্রতি যখন ক্যাম্পাসে মাদকদ্রব্য সেবনের প্রতিবাদে দুই ছাত্রের মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতারি আঘাত করা হয়, হাসপাতালের জরুরী বিভাগের বাইরে ওদের জীবন নিয়ে আমাদের দুশ্চিন্তা করতে হয় তখন আর চুপ থাকা যায়না। আমররা এর সমাধান চাই। বেশি কিছু না, শুধু একটুকরো নিরাপদ ক্যাম্পাস।আমাদের ডাক্তার হওয়ার স্বপ্নটা যেন বীভৎস জানোয়ারের অস্ত্রের কোপে মরে না যায়। আর একটা সাদা এপ্রন ও যেন লাল না হয়।
সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের পক্ষ থেকে দেশের সকল দায়িত্ববান নাগরিকের কাছে খোলা চিঠি।
সর্বশেষ আজ ২৬/৮/১৫ তারিখে সাধারণ শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করছে ।
মাদকসেবীদের হামলায় শহীদ তাজউদ্দীন মেডিকেলের কয়েক জন ছাত্র আহত হবার সংবাদঃ
View Comments (25)
r koto
plz take the proper step
any student of this medical college plz give ur pne nunber
Proshason ke boisa angul chusa....aisob ke tadar chokha pore na
What The Hell.......
platform o linker bebsa suru korse!!!!
Medical er aktu dure e gazipur jila prosasok er karjaloy .. Thana ... Tarpor o ei obosta... Desh e duster virudhe keo nai sobai tader pokhe e
Mr Tanvir Hossain লিঙ্কের ব্যবসা প্ল্যাটফর্ম করে না, প্ল্যাটফর্ম ওয়েব সাইটে যে পোস্ট যায় সেটা সরাসরি এই গ্রুপে পোস্ট হয়। ব্যবসা শব্দ টাই যেহেতু বললেন অন্তত ১০-১৫ জন মানুষ গত দেড় দু বছর দিনের ৭-৮ ঘন্টা এর পেছনে ব্যয় করেছেন, টাকা দিয়ে কিনতে পারবেন তাঁদের? আমাকে কিনতে পারবেন? গত দুইটা বছর এর পেছনে দিচ্ছি আমি, পারবেন না। অথচ আমাদের আইডিয়া গুলো চুরি করবে কেউ কেউ, সেটা নিয়ে ব্যবসা করবে তাঁদের দলেই ফেলে দিলেন? আপনি স্টুডেন্ট না ডাক্তার জানি না, তবে সম্ভবত সব কিছু কে টাকার অংকে হিসেব করেন ভাই
তানভীর হোসেন আপনি কি চিকিতসক না মেডিকেলের ছাত্র জানি না। একজন চিকিতসকের বা মেডিকেল স্টুডেন্ট এর সময় এর মূল্য আপনার জানার কথা। ঠিক কোন যুক্তিতে কথাটা বললেন বুঝলাম না। কিছু একটা করার চেষ্টা করেন। বুঝবেন, দাড় করানো কাজটা কত কঠিন। আর ঠিক কি ভাবে ব্যাবসা করলে লিংকের ব্যাবসা কিরে প্ল্যাটফর্ম কোটিপতি হতে পারে তা যদি জানাতেন বাধিত হইতাম!!