X

যে বাংলাদেশী চিকিৎসকের আবিষ্কার এনে দিয়েছিল নোবেল পুরষ্কার

২০১৫ সালে চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেলজয়ী তিনজন হলেন- আয়ারল্যান্ডের উইলিয়াম সি ক্যাম্পবেল, জাপানের সাতোশি ওমুরা এবং চীনের ইউইউ তু।

রাউন্ডওর্ম প্যারাসাইট দ্বারা ঘটিত রিভার ব্লাইন্ডনেস রোগের সংক্রমণ রুখতে সক্ষম আইভারমেকটিন থেরাপি আবিষ্কারের জন্য ক্যাম্পবেল এবং ওমুরাকে নোবেল পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে।
কিন্তু যেটা কেউ জানেন না, ১৯৮১ সালে এই ড্রাগের প্রথম ট্রায়ালে নেতৃত্ব দেন একজন বাংলাদেশী চিকিৎসাবিজ্ঞানী ডা এম এ আজিজ। তিনি ছিলেন একজন ঢাকা মেডিকেল কলেজ গ্র্যাজুয়েট। ১৯৫৪ সালে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাশ করেন।
নোবেল কমিটি এই সম্পর্কে বলেন, “In 1981-1982 Dr. Mohammed Aziz at MDRL, an expert in River Blindness, conducted the first successful human trial (Aziz et al 1982). The results were clear. Patients given a single dose of ivermectin showed either complete elimination or near elimination of microfilariae load, while the adult parasites were untouched.”

১৯৮২ সালে সেনেগালের এই গবেষণার ফলাফল প্রকাশিত হয় ল্যানসেটে।

http://www.ncbi.nlm.nih.gov/pubmed/6123884
এরপর সেনেগাল, মালি, ঘানা এবং লাইবেরিয়াতে এই গবেষণা চলে যা নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অফ মেডিসিন এবং ল্যানসেটে প্রকাশিত হয়।
১৯৮৭ সালের ২৫ নভেম্বর তিনি পাকস্থলীর ক্যান্সারে মৃত্যুবরণ করেন। তার কাজ এগিয়ে নিয়ে যান উইলিয়াম সি ক্যাম্পবেল। বেঁচে থাকলে হয়তো এই বিরল সম্মানের ভাগিদার হতেন ডা আজিজ। ডা আজিজ কর্মরত ছিলেন জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় এবং Merck Sharp and Dohme Research Laboratories এ কর্মরত ছিলেন।

ছবিঃ ডা আব্দুল হানিফ   টাবলু, প্রফেসর, শিশু সার্জারি বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

এই বিষয়ে আরও পড়তে এই লিংকে যান
http://www.thedailystar.net/op-ed/trailblazer-medicine-179983


আগামীকাল ০৫/০৩/২০১৬ ইং তারিখে ঢাকা মেডিকেল কলেজের পক্ষ থেকে এই প্রয়াত ডিএমসিয়ানের স্মৃতির প্রতি স্রদ্ধা জানিয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। এই অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্য হল এই মহান চিকিৎসাবিজ্ঞানীর অবদানের কথা নতুন প্রজন্মের কাছে জানানো। ঢাকা মেডিকেল কলেজের লেকচার গ্যালারী ১ এ অনুষ্ঠিত এই সভায় প্রয়াত ডা এম এ আজিজের পুত্র  যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সিতে কর্মরত প্রফেসর ডা শহীদ আজিজ তার পিতার অবদানের কথা বলবেন এবং প্রতি বছর গবেষণার জন্য ২ জন চিকিৎসককে পদক দেওয়ার কথা ঘোষণা করবেন।

rajat:
Related Post