X

বর্ণিল আয়োজনে শহীদ মনসুর আলি মেডিকেল কলেজের ‘রজত-জয়ন্তী’ উদযাপন

২২শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ খ্রিস্টাব্দ

আজ (শনিবার) রাজধানীর উত্তরায় অবস্থিত শহীদ মনসুর আলি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে জাঁকজমক আয়োজনের মধ্য দিয়ে রজত-জয়ন্তী উৎসবের ১ম পর্ব পালিত হয়েছে।

সকাল ৯.৩০ ঘটিকায় কলেজটির শিক্ষক, প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থী ও কলেজে কর্মরত অন্যান্য কর্মচারীবৃন্দের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে কলেজ প্রাঙ্গন থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়ে চৌরাস্তা প্রদক্ষিণ করে ক্যাম্পাসে ফেরত আসে।

বেলা ১১.০০ ঘটিকায় বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে অনুষ্ঠানসূচীর উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জনাব মোহাম্মদ নাসিম, এমপি এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী জনাব এনামুল হক শামীম, এমপি।

এরপর বেলা ১১.১৫ মিনিটে অতিথিবৃন্দের আসনগ্রহন শুরু হয়। প্রধান অতিথির আসন অলংকৃত করেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জনাব মোহাম্মদ নাসিম, এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী জনাব এনামুল হক শামীম, এমপি। এবং অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন মিসেস লায়লা আরজুমান্দ, চেয়ারম্যান, শহীদ মনসুর আলি ট্রাস্ট ও গভর্নিং বডি শহীদ মনসুর আলি মেডিকেল কলেজ। এছাড়াও মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন শহীদ মনসুর আলি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. নজরুল ইসলাম, ডিরেক্টর (প্রশাসন) জনাব মীর মোশাররফ হোসেন ; সাবেক সাংসদ ও শহীদ মনসুর আলি ট্রাস্টের সদস্য জনাব তানভীর শাকিল জয়, প্রফেসর ডা. নাজমুল হক, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৫১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জনাব মোঃ শরিফুল ইসলাম এবং ২৫ বছর উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ও কলেজটির ১ম ব্যাচের সাবেক শিক্ষার্থী ডা. মাহবুবুল ইসলাম খন্দকার প্রমুখ সহ আরও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ।

 

এরপর পবিত্র কোরআন শরীফ থেকে তেলওয়াত করেন ২১ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মোঃ মাসুদুর রহমান।

পরবর্তীতে অতিথিবৃন্দের বক্তৃতা শুরু হয়। প্রথমেই কলেজটির ইতিহাস ও বর্তমান অবস্থা এবং আয়োজনের সার্বিক অবস্থা ও অতিথিদের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপনপূর্বক গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন ডা. মাহবুবুর রহমান খন্দকার। পরবর্তীতে একে একে স্ব স্ব বক্তৃতায় অনুষ্ঠানের প্রফুল্লতা ধরে রাখেন জনাব মীর মোশাররফ হোসেন, জনাব তানভীর শাকিল জয়, মিসেস লায়লা আরজুমান্দ, জনাব এনামুল হক শামীম এমপি, জনাব মোহাম্মদ নাসিম এবং প্রফেসর ডা. মোঃ নজরুল ইসলাম।

জনাব এনামুল হক শামীম তার বক্তৃতায় বর্তমান বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় ডাক্তারদের ভূমিকার ব্যপারটি তুলে ধরেন।

জনাব মোহাম্মদ নাসিম তার বক্তব্যে স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে বর্তমান সরকারের অবদানের বিষয়ে কথা বলেন এবং তিনি এ প্রতিষ্ঠানের উত্তরোত্তর সফলতা কামনা করেন এবং যে কোন প্রয়োজনে সহোযোগিতার আশ্বাস দেন।

অতিথিদের বক্তৃতা শেষে অতিথিদের হাতে শুভেচ্ছা স্মারক হিসেবে ক্রেষ্ট তুলে দেওয়া হয়।

পরবর্তীতে মুজিবর্ষ ডকুমেন্টারি প্রদর্শন ও কলেজের ইতিহাস সম্পর্কে ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।

এর পর উপস্থিত সকল সদস্যদের আপ্যায়ন ও পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পর্ব সম্পন্ন হয়।

উল্লেখ্য ১৯৯৪-১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠানটি উম্মাহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল নামে ঢাকার মিরপুরে যাত্রা শুরু করে। উম্মাহ ফাউন্ডেশন পরিবর্তিত হয়ে প্রতিষ্ঠানটি বর্তমান নামে উত্তরায় স্থানান্তিত হয়। ২০০৭ সালের অক্টোবর মাসে এর নাম পরিবর্তন করে মওলানা ভাসানী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল করা হয় এবং মওলানা ভাসানী ট্রাস্ট মেডিকেল কলেজটি পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করে। ২০১০ সালের ৩রা এপ্রিল, কলেজের নাম শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ পুনঃপ্রর্বতন করা হয় এবং পরবর্তিতে প্রতিষ্ঠানটিকে মওলানা ভাসানী ট্রাস্ট থেকে মনসুর আলী ট্রাস্টের অধীনে নিয়ে আসা হয়। বর্তমানে মিসেস লায়লা আরজুমান্দ ট্রাস্ট ও পরিচালনা পর্ষদ উভয়টির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

রজতজয়ন্তী অনুষ্ঠানের ২য় পর্ব সম্পন্ন হবে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি, কৃষিবিদ গ্রুপ ল্যান্ড প্রজেক্ট, বিরুলিয়া সাভারে।

এ আয়োজন সফল করার নেপথ্যে শুরু থেকেই অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন ডা. মাহবুব (১ম ব্যাচ), প্রফেসর ডা. দিনা এ এস হোসাইন (১ম ব্যাচ), ডা. ফ্রোবেল চৌধুরী (২য় ব্যাচ), ডা. আতিকুজ্জামান সোহেল (২য় ব্যাচ) প্রমুখ সহ কলেজের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীগন।

ছাত্র-ছাত্রীদের স্বতস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ও সমন্বয়ে অবদান রাখেন ২০ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আবির আহমেদ রিদওয়ান।

নিজস্ব প্রতিবেদক/ মোঃ আব্দুল্লাহ আল মারুফ

Urby Saraf Anika:
Related Post