X

“নাকে গন্ধ না পাওয়া ও জিহবায় স্বাদের অনুপস্থিতি”- থাকলেই প্রয়োজন সেল্ফ আইসোলেশন

প্ল্যাটফর্ম নিউজ, রবিবার, ৭ই জুন, ২০২০ ইং 

কোভিড-১৯ সংক্রমণের নতুন লক্ষণ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে নাকে গন্ধ না পাওয়া এবং খাবারে স্বাদের অনুপস্থিতি। Lancet এ প্রকাশিত গবেষণাটিতে বলা হয়েছে, করোনা ভাইরাস সংক্রমণের সম্ভাব্যতা নির্ণয়ে প্রস্তাবিত অন্য লক্ষণগুলোর তুলনায় এ দুইটি লক্ষণ বেশি কার্যকরী। এ দু’টি লক্ষণ থাকলেই রোগীদের সেল্ফ আইসোলেশনে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

UK এর প্রায় ৩.২ মিলিয়ন লোক COVID Symptom Study App ব্যবহার করে। এ অ্যাপ ব্যবহারকারীদের মধ্যে ৭৬,২৬০ জন করোনা সংক্রমণের পরীক্ষা করেন, যার মধ্যে ১৩,৮৬৩ জন কোভিড পজিটিভ আসে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যদি শুধু জ্বর অথবা কাশির লক্ষণ বিবেচনা করে টেস্ট পজিটিভ রোগীদের আইসোলেশন কিংবা পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা করা হত, তবে প্রায় ৩০ শতাংশ রোগী বাদ থেকে যেত। অন্যদিকে, নাকে গন্ধ না পাওয়া এবং জিহবায় স্বাদের অনুপস্থিতি- এ দু’টিকে যদি নির্ধারক ধরা হয়, তবে জ্বর কিংবা কাশি নেই কিন্তু কোভিড পজিটিভ এধরনের রোগীদের প্রায় ১৫.৯ শতাংশের মধ্যে এবং সর্বমোট পজিটিভ রোগীদের প্রায় ৬৪.৫ শতাংশের মধ্যে এ লক্ষণের উপস্থিতির সত্যতা প্রমাণিত হয়।

 

গবেষণায় লব্ধ ফলাফল এটাই প্রমাণ করে যে, জ্বর কিংবা কাশির তুলনায় নতুন এ দুইটি লক্ষণ করোনা রোগী সনাক্তকরণে বেশি কার্যকরী। শুধু তাই নয়, কোভিড পজিটিভ রোগীদের জ্বর থাকার গড় সময়কাল যেখানে ২ দিন, নাকে গন্ধ না পাওয়া লক্ষণটি সেখানে স্থায়ী হয় গড়ে প্রায় ৫ দিন পর্যন্ত।

করোনা সংক্রমণের চলমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এ নতুন দুইটি লক্ষণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে গবেষকগণ মনে করেন। তারা বলেন, এ দুইটি লক্ষণকে নতুন নির্ধারক হিসেবে ধরা হলে অন্য নির্ধারকের (যেমন : তাপমাত্রা) তুলনায় অনেক বেশি পরিমাণে রোগী সনাক্ত করা সম্ভব হবে।

সূত্র: Lancet

Sajib Kumar Ghosh:
Related Post