X

নর্থ ইস্ট মেডিকেল কলেজ, সিলেটে দিনব্যাপী কর্মসূচির মধ্যে পালিত হল বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রন শাখা, সিডিসি’র উদ্যোগে এবং চিকিৎসক ও চিকিৎসা শিক্ষার্থীদের সংগঠন “প্ল্যাটফর্ম” এর সার্বিক সহযোগিতায় ২৯ সেপ্টেম্বর,শনিবার,২০১৮ সারাদেশের প্রায় ৪৫ টা মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে এক যোগে পালিত হয় ‘বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস’২০১৮ ।

এরই ধারাবাহিকতায় জলাতঙ্ক রোগ নিয়ে জনসচেতনতা গড়ে তোলার জন্য নর্থ ইস্ট মেডিকেল কলেজে “জলাতঙ্কঃ অপরকে জানান, জীবন বাঁচান” প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে “বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস-২০১৮” পালন করা হয়।

উক্ত কর্মসূচির আওতায় ২৯ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২ টায় ফাহিম গ্যালিরিতে একটি সেমিনারের আয়োজন করা হয়। সেমিনারটিতে সার্বিক সহযোগীতা করেন কমিনিউটি মেডিসিন বিভাগ এবং মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ।

বিশেষ ভাবে সহযোগীতা করেন মেডিসিন বিভাগ। প্রথমেই কমিনিউটি মেডিসিন থেকে প্রফেসর ডাঃ এম এ খালিক বড়ভুইয়া স্যার জলাতঙ্ক এর এপিডেমলজি এবং প্রতিরোধ নিয়ে আলোচনা করেন।

মাইক্রোবায়োলজি থেকে সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ অভিজিৎ দাস স্যার জলাতঙ্ক এর বিস্তার, রোগের কারন নিয়ে আলোচনা করেন।

সেমিনারের শেষ পর্যায়ে অংশগ্রহণ করেন মেডিসিন বিভাগ থেকে সহকারী অধ্যাপক ডাঃ এ এ এম সাজ্জাদুর স্যার। সেমিনারটি প্রাণবন্ত হয়েছিল মেডিকেল কলেজের বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের পদচারনায়। সাথে শিক্ষার্থীদের উৎসাহ ছিল লক্ষণীয়। প্রশ্ন উত্তর পর্বে অংশ নেন বিশেষ অতিথি অধ্যাপক ডাঃ শাহারিয়ার স্যার,বিভিন্ন শিক্ষকবৃন্দ এবং শিক্ষার্থী।

সেমিনারের প্রধান অতিথি অধ্যাপক ডাঃ মো আফজাল মিয়া স্যার বলেন যে অচিরেই জলাতঙ্ক রোগী বেড়ে যাবে কারন দেশে বন্য কুকুর বিড়াল এর সংখ্যা বেড়েছে কিন্তু সে পরিমান নিধন হচ্ছে না। তিনি বিশেষ জোর দেন জনগণের সচেতনতার উপর।


সচেতনতাই এটি প্রতিরোধে জোরালো ভুমিকা রাখতে পারে বলে তিনি মনে করেন। সেমিনারের সভাপতি প্রিন্সিপাল অধ্যাপক ডাঃ মো মোন্নজ্জির আলি স্যার বলেন যে অনুষ্ঠানটির উদ্দেশ্য শুধু জন সাধারণকে সচেতন করা নয় একি সাথে মেডিকেল শিক্ষার্থীদেরও।

যেভাবে দেশ থেকে পোলিও দূর হয়েছে সেভাবে দেশ থেকে জলাতঙ্কও দূর হবে বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন এবং কাজ করে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। তিনি আরো বলেন যেকোন প্রয়োজনে নর্থ ইস্ট মেডিকেল কলেজ প্ল্যাটফর্ম এর পাশেই থাকবে। তিনি ধন্যবাদ জানান সেচ্ছাসেবক দের।

বক্তব্য শেষ করেন তিনি একটি উল্লেখ্যযোগ্য কথার মাধ্যমে- জলাত্নক,নিজে জানুন, অপরকে জানান, জীবন বাঁচান। ওই দিন এবং পরের দিন দিনব্যাপী স্বেচ্ছাসেবকরা জনসচেতনতা মূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে। অবশেষে আজ ১ অক্টোবর অনুষ্ঠান সমাপ্ত হয়।

পুরো সময় সেচ্ছাসেবক দের মধ্যে ছিল – প্লাটফর্ম প্রতিনিধি অদিতি চৌধুরী, এম বি বি এস ১৭ তম ব্যাচ, প্লাটফর্ম প্রতিনিধি মো তাসরিফুল আলম চৌধুরী, বিডিএস ৩য় ব্যাচ। এছাড়াও ছিল ২১ তম এম বি বি এস ব্যাচের জেসমিন শ্রেষ্ঠা, উম্মে হানি, সৌরভ রায় ইমদাদুল হক নয়ন এবংং তাহমিদ হাসান সিয়াম।

ওয়েব টিম:
Related Post