X

ডায়াবেটিস, হাপাঁনী, করোনা উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তির মিনিট সাতেকেই মারা যান রোগী

প্লাটফর্ম নিউজ, ১৮ এপ্রিল, ২০২০:

কক্সবাজারে হাসপাতালে মোমেনা বেগম নামক ৪৫ বছর বয়সী এক নারী করোনা উপসর্গ নিয়ে ভর্তির ৭ মিনিটে পরেই মারা যান। মোমেনা বেগমের হাপাঁনির প্রকোপ বেড়ে গিয়ে শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল বলে জানান কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. শাহীন আবদুর রহমান।

তিনি ঘটনাটির সত্যতা নিশ্চিত করতে আরো বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যার আগে মোমেনা বেগম সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আসেন। তার হাপাঁনির প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় তার শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। অক্সিজেনের মাত্রা ছিল মাত্র ৮০ শতাংশ। মোমেনা বেগম একজন ডায়াবেটিসের রোগী ছিলেন এবং তার ডায়বেটিসও প্রচণ্ড বেড়ে গিয়েছিল। জরুরি বিভাগে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া শেষে তাকে আইসোলেশন বিভাগে ভর্তি করা হয়। সেখানে নেয়া মিনিট সাতেকের ভেতর তিনি মারা যান।

মৃত মোমেনা রামু উপজেলার গর্জনিয়ার নুরুল হকের স্ত্রী।

হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. শাহীন আবদুর রহমান আরো জানান, অসুস্থ মোমেনা প্রথমে গ্রাম্য এক চিকিৎসকের কাছ থেকে চিকিৎসা নেন। এরপরও কোনো কূল না পেয়ে পরে স্থানীয় স্বাস্থ্য সহকারীর কাছে যান। তিনি মোমেনাকে সদর হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দেন।

ওই নারীর বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত উল্লেখ করে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের ক্লিনিক্যাল ট্রপিক্যাল মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. শাহজাহান নাজির জানান, মারা যাওয়া রোগীর হাের্টের সমস্যা, ডায়বেটিস ও অ্যাজমার সমস্যা ছিল। তার ডায়বেটিসের মাত্রা ছিল ৫০০ মিলিগ্রাম। তবুও করোনার সময় যেহেতু মারা গেছেন তাই করোনা টেস্টের জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।

কক্সবাজার সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. মো. মহি উদ্দিন জানান, ভর্তির ৭ মিনিটের মধ্যে মারা যাওয়া নারী মোমেনার নিয়মিত সমস্যা গুলোর মধ্যে করোনার লক্ষণ রয়েছে কিনা তা পরীক্ষার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। শনিবার পরীক্ষার রিপোর্ট পেলে জানা যাবে তিনি করোনার উপসর্গ বহন করছিলেন কি না।

প্রসঙ্গত, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবটিকে করোনা ভাইরাস পরীক্ষার জন্য নির্ধারণ করেছে আইইডিসিআর। এখন পর্যন্ত ৩৩০ টি পরীক্ষা করা হয়েছে ল্যাবটিতে।

স্টাফ রিপোর্টার
নুরুন্নাহার মিতু

Publisher:
Related Post