X

কোভিড-১৯: সংক্রমণের তৃতীয় ধাপ পেরিয়ে কি চতুর্থ ধাপে বাংলাদেশ?

০৯ এপ্রিল,২০২০

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও এর ব্যাপকতার ওপর ভিত্তি করে বিশ্বের দেশগুলোকে চারটি স্তরে ভাগ করেছে। কোন ব্যক্তির সংক্রমণ শনাক্ত না হওয়া দেশ স্তর-১-এ। বিদেশ থেকে আসা ব্যক্তি শনাক্ত হওয়া ও তাঁদের মাধ্যমে দু-একজনের সংক্রমণ, স্তর-২। নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় সংক্রমণ সীমিত থাকলে তা স্তর-৩। আর স্তর-৪ হলো সংক্রমণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়া।

দেশে প্রথম কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছিল ৮ মার্চ। এই এক মাসে রোগী শনাক্ত হয়েছেন ২১৮ জন। মারা গেছেন ২০ জন। ইতোমধ্যে ১৭টি জেলায় সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। ঢাকার ৫২টি এলাকা লকডাউন করেছে কর্তৃপক্ষ।

৮ মার্চ বাংলাদেশ প্রথম ঘোষণা করে, দেশে কোভিড-১৯ আক্রান্ত ব্যক্তি আছে। এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ সংক্রমণ পরিস্থিতির দ্বিতীয় স্তরে পৌঁছায়। কারণ সংক্রমিত ব্যক্তিরা ছিলেন বিদেশফেরত। এটাকে বলা হয় স্থানীয় সংক্রমণ।

এই বিদেশফেরত ব্যক্তিদের মাধ্যমে বেশ কিছু মানুষ সংক্রমিত হচ্ছে এমন বলতে থাকে আইইডিসিআর। কিন্তু দুই সপ্তাহ আগে রাজধানীর টোলারবাগ এলাকায় একটি সংক্রমণের ইতিহাসে দেখা যায়, সংক্রমিত ব্যক্তির বিদেশ ভ্রমণ কিংবা বিদেশফেরত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসার ইতিহাসও নেই।

গত ৫ এপ্রিল সংক্রমণের তৃতীয় স্তরে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশ এমন বক্তব্য দেন আইইডিসিআরের পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা। তিনি বলেন, রাজধানীর টোলারবাগ ও বাসাবো, নারায়ণগঞ্জ, মাদারীপুর (শিবচর) ও গাইবান্ধা (সাদুল্লাপুর)—এই পাঁচটি এলাকায় গুচ্ছ আকারে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে।

এ ছাড়া জামালপুর, চট্টগ্রাম, চুয়াডাঙ্গা, কুমিল্লা, কক্সবাজার, গাজীপুর, মৌলভীবাজার, নরসিংদী, রংপুর, শরীয়তপুর ও সিলেটে সংক্রমিত ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছে।

গত ৭এপ্রিল এ প্রসঙ্গে মীরজাদী সেব্রিনা বলেন, ‘এখন সংক্রমণ পরিস্থিতির ক্রান্তিকাল। দেশ সংক্রমণের তৃতীয় স্তর থেকে চতুর্থ স্তরের দিকে যাচ্ছে, এটা বলা যায়।’

এই মহামারী মোকাবেলায় কি প্রস্তত বাংলাদেশ? উত্তরটা পাওয়া যাবে শীঘ্রই।

নাহিদা হিরা /নিজস্ব প্রতিবেদক

Publisher:
Related Post