X

একজন জীবন্ত কিংবদন্তিঃ ৯০ বছর বয়সেও যিনি অপারেশন করে যাচ্ছেন

প্রফেসর ডাঃ মির্জা মাজহারুল ইসলাম, একজন খ্যাতিমান শল্য চিকিতসক। ঢাকা মেডিকেল কলেজের প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থি। এই ৯০ বছর বয়সেও যিনি এখনো অপারেশন করছেন।

১৯২৭ সালের ১ জানুয়ারী টাঙ্গাইলের কালিহাতি উপজেলাউ জন্মগ্রহনকারী এই চিকিতসক তার কর্মজীবনে পেপটিক আলসার রোগের ভেগোটমি অ্যান্ড গ্যাস্ট্রো জেজুনস্টমি অপারেশন করেছেন প্রায় ২০ হাজার। পৃথিবীতে আর কোনো শৈল্যচিকিৎসক এ রোগের এত অপারেশন করতে পারেননি।

মির্জা মাজহারুল ইসলাম প্রায় ছয় দশক ধরে শৈল্য চিকিৎসক হিসেবে কাজ করছেন। তিনি অনারারি হাউজ সার্জন হিসেবে ঢাকা মেডিকেল কলেজে কর্মজীবন শুরু করেন (১৯৫২), এবং তৎকালীন ই পি এম এস ক্যাডারে ঢাকা মেডিকেল কলেজে যোগদান করেন। হাউস সার্জন ও ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার (১৯৫৪), সহকারী সার্জন: বরিশাল সদর হাসপাতাল (১৯৫৮), সহাকারী সার্জন: ফরিদপুর সদর হাসপাতাল (১৯৬০), সহযোগী অধ্যাপক: ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (১৯৬৬), প্রফেসর অব সার্জারি ও প্রিন্সিপাল: চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (১৯৭৬), প্রফেসর অব সার্জারি: ঢাকা মেডিকেল কলেজ (১৯৮০), এবং ১৯৮৫সালে প্রিন্সিপাল হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। মুখ্য উপদেষ্টা: বারডেম সার্জারি বিভাগ (১৯৯৩-বর্তমান), এবং তিনি দু’বার বারডেমের অবৈতনিক মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন। বাংলাদেশ কলেজ অব জেনারেল প্র্যাকটিশনারসের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন দীর্ঘ ২০ বছর।
চিকিৎসা সেবায় আজও আছেন কান্ডারী রুপে।

বর্তমানে এই প্রচারবিমুখ মহান চিকিৎসক রাজধানীর রাশমনো জেনারেল হাসপাতালে রোগী দেখেন ও অপারেশন করে থাকেন।

উল্লেখ্য, গিনেজ বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড অনুযায়ী সবচেয়ে বেশি বয়সী শল্যচিকিৎসক হিসেবে নথিভুক্ত রয়েছেন Alla Levushikina, যার বয়স ৮৯ বছর। অথচ আমাদের দেশের অহংকার প্রফেসর ডাঃ মির্জা মাজহারুল ইসলামের কথা আমরা অনেকেই জানি না। যথাযথ কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা গ্রহন করলে গিনেজ রেকর্ড এ আজ হয়ত থাকতো আমাদের দেশেরই সন্তান, আমাদেরই অগ্রজ ডাঃ মীর্জা মাজহারুল ইসলামেরই নাম।

তথ্য সহায়তাঃসোহেল রানা নান্নু ও wikipedia

drferdous:

View Comments (10)

Related Post