X

স্ট্রোক হলে যা করণীয়

কোন কারণে মস্তিষ্কের অভ্যন্তরে রক্ত সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটার ফলে স্নায়ুকোষ নষ্ট হয়ে যাওয়া কে বলা হয়ে থাকে স্ট্রোক (stroke)।

মস্তিষ্কের কোষসমূহ অত্যন্ত সংবেদনশীল। অক্সিজেন বা শর্করা সরবরাহে সমস্যা হলে দ্রুত এই কোষগুলো নষ্ট হয়ে যায়। ওই কোষগুলো শরীরের যেই অংশ নিয়ন্ত্রণ করত ওই অংশগুলো পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে যেতে পারে। পৃথিবিতে প্রতি ছয় সেকেন্ডে একজন মানুষ স্ট্রোকে মারা যায়। অথচ সঠিক সময়ে ডায়াগনোসিস এবং সময় মতো স্ট্রোক সেন্টারে নিয়ে যেতে পারলে স্ট্রোক পরবর্তী জটিলতা এড়ানো যায়।

ঢাকায় স্ট্রোক সেন্টারের ঠিকানা:
১) ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতাল, শের-ই-বাংলা নগর, আগারগাঁও, ঢাকা
২) ল্যাবএইড হাসপাতাল, ধানমন্ডি, ঢাকা
৩) উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ঢাকা
৪) স্কয়ার হসপিটালস, পান্থপথ ঢাকা
৫) ইউনাইটেড হসপিটাল, গুলশান, ঢাকা
৬) কম্বাইন্ড মিলিটারি হসপিটাল, ঢাকা (সিএমএইচ)
ক্যান্টনমেন্ট, ঢাকা
৭) ইমপালস হসপিটাল, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা
৮) এপোলো হসপিটালস, ঢাকা
৯) ডা: সিরাজুল ইসলাম মেডিকাল কলেজ ও হাসপাতাল
মগবাজার, ঢাকা
১০) জেড. এইচ. সিকদার উইমেন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
ধানমন্ডি, ঢাকা

স্ট্রোক শনাক্তকরণের উপায় :
F.A.S.T পদ্ধতি
F: Face- মুখের একদিক যদি ঝুলে পড়লে
A: Arm- হাত অথবা শরীরের একপাশে দুর্বল হয়ে গেলে
S: Speech- মুখের ভাষা জড়িয়ে আসলে
T: Time- লক্ষণ দেখা যাওয়া মাত্র দ্রুত সিটি স্ক্যান আছে এমন হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।

সময়মতো চিকিৎসা নিলে স্ট্রোক থেকে সুস্থ হওয়া সম্ভব। লক্ষণ দেখা যাওয়ার ৪.৫ ঘন্টার মধ্যে রোগীকে সিটি স্ক্যান আছে এমন হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। যতো তাড়াতাড়ি রোগী চিকিৎসা পাবে, জটিলতার ঝুঁকি ততো এড়ানো যাবে।

স্টাফ রিপোর্টার/ ফাহমিদা হক মিতি

Platform:
Related Post