X

শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজের সুবর্নজয়ন্তী উপলক্ষে শর্টফিল্ম “ডেমোম্যান”

মেডিকেল স্টুডেন্ট মানে সারাদিন শুধু মোটা মোটা বইয়ে নিজেকে নিমজ্জিত করে রাখবে,প্রতিদিন আইটেমের সাগরে হাবুডুবু খাবে,উঠতে বসতে সব সময় পড়াশুনায় নিজেকে ব্যস্ত রাখবে এমনটা নয়।এসবের পাশাপাশি আলাদা একটা জগৎ আছে।সেই জগৎটা বিনোদনের জগত আনন্দের জগৎ। আর সেই জগতে মেডিকেল স্টুডেন্টরাও অবাধ বিচরন করে।

মেডিকেল পড়াশুনায় যে শব্দটি ওৎপ্রোতভাবে জড়িত সেটি হচ্ছে ডেমো। ডেমো দেয়া নেয়ার মাধ্যমে কোন বিষয় সহজভাবে আত্মস্ত করা যায়।

গত ৬ অক্টোবর শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজের সুবর্নজয়ন্তী উপলক্ষে এমবিবিএস ৪৮ ব্যাচ ও বিডিএস ৬ ব্যাচের নিজস্ব টিম ডে ড্রিমার্স স্কোয়াডের প্রযোজনায় শর্টফিল্ম “ডেমোম্যান” মুক্তি পায়। শর্টফিল্মটির ট্রেইলার রিলিজ হওয়ার সাথে সাথেই ক্যাম্পাসের সকলের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসে । “ডেমোম্যান” মুক্তি পাওয়ার দিন থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলিতে আলোড়ন তুলতে সক্ষম হয়েছে।প্রশংসায় ভাসছে কুশীলবরা।

শর্টফিল্মটিতে অভিনয় করেছেন গালিব,মমিন,জিসান,অভিজিৎ,রিয়াদ,নাইয়ুম,রাফি,তানভীন ও নুহাশ।এছাড়াও অতিথী শিল্পী হিসাবে রয়েছেন নাইম,আসাদ,স্বার্থক,সিফাত,প্রিয়া,তামান্না,রুপসা,সাদিয়া,মুবাশ্বারা,রিদিতা,সুমা ও শাহরিয়ার।
পরিচালনা করেছেন ফেরদৌস ও রাফি।

শর্টফিল্মটির রচিয়িতা আব্দুল্লাহ আল মামুন রিয়াদ ইডিটিং এ ও অসামান্য পারদর্শীতা দেখিয়েছেন।চিত্রগ্রহনে ছিলেন সাকিবুর সিফাত ও জিসান।

শর্টফিল্মটির শুটিং করা হয়েছে এসবিএমসি ক্যাম্পাস ও রাহাত আনোয়ার হাসপাতালে।

ছোটবেলায় ফ্যান্টাসি জগতে বাস করা একটি ছেলে মেডিকেল কলেজে আসার পরে তার ফ্যান্টাসিগুলো কি বাস্তবতায় পরিনত করতে পারে কিনা তা জানতে হলে শর্টফিল্মটি দেখতে হবে।

ডে ড্রিমার্স স্কোয়াডের এটাই প্রথম শর্টফিল্ম।সকলের প্রচেষ্টা ছিলো চোখে পড়ার মতো।এ ব্যাপারে ৪৮তম ব্যাচের নাইম বলেন”কোন এক্সপেরিয়েন্স ছাড়াই প্রথম শর্টফিল্ম হিসেবে এটাই বেস্ট।”তিনি ডে ড্রিমার্স স্কোয়াডের উত্তোরত্তর সাফল্য কামনা করেন।

৪৮ তম ব্যাচের মাহিন আমাদের জানান যে”শর্টফিল্মটির ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক চমৎকার।সব মিলিয়ে শর্টফিল্মটি দারুন হয়েছে।”
৪৫তম ব্যাচের ডালিম বলেন”জুনিয়রদের শর্টফিল্মটি অসাধারন হয়েছে।এদের নিয়ে আমি আশাবাদী”
৪৮তম ব্যাচের আসাদ ও সাকিব জানান যে শর্টফিল্মটি তাদের মুগ্ধ করেছে।
এ ব্যাপারে স্ক্রিপ্ট রাইটার ও পরিচালক ফেরদৌস বলেন”প্রথম শর্টফিল্ম হিসেবে অনেক ভুলভ্রান্তিই থাকতে পারে কিন্তু আমাদের প্রতিটা সদস্য তাদের সর্বচ্চো শ্রম দিয়েছে।” তিনি পরবর্তী নাটকটি আরো সুন্দর করার অভিপ্রয়াস ব্যক্ত করেন।এ ব্যাপারে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।

অন্য পরিচালক রাফি বলেন”আমাদের এই কাজ টা শুধু মাত্র একটা ডিএসলার দিয়ে শুরু করেছিলাম।কিন্তু শুধু মাত্র ইচ্ছাশক্তি নয় একটা ভালো ভিডিও বানানোর জন্য মাইক্রফোন,ট্রাইপড,স্টাবিলাইজার ইত্যাদি টুলস দরকার যা আমাদের মতো ছাত্রদের জন্য ব্যয়সাপেক্ষ।স্পনসর পেলে ভালো হতো।”

শর্টফিল্মটি ৩ সপ্তাহে ইউটিউবে ভিউ হয়েছে প্রায় ৩০০০ বার।

সমস্ত নিজস্ব অর্থায়নে ডে ড্রিমার্স স্কোয়াড তাদের কার্জক্রম পরিচালনা করছে।বর্তমানে তারা আর একটি নাটকের কাজ হাতে নিয়েছেন।

ওয়েব টিম:
Related Post