X

Masters in surgical oncology নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা – পর্ব ১

লিখেছেন ঃ Dr maruf morshed, Residency of Radiation oncology phase A, FCPS part 1 in radiotherapy NICRH

রেসিডেন্সির বিষয় যখন ক্যান্সারঃ নিম্নোক্ত বিষয়ে কথাবার্তা নিতান্তই লেখকের মতামত।

ক্যান্সার নিয়ে যারা পড়তে চান, তাদের জন্য বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি ভাগের রেসিডেন্সি আছে।

  • ক্লিনিক্যাল অনকোলজি
  • মেডিকেল অনকোলজি
  • রেডিয়েশন অনকোলজি
  • সার্জিকাল অনকোলজি
  • গাইনোকলিজিকাল অনকোলজি(এই বছর নতুন)

 

আজকে আলোচনা করব, সার্জিকাল আর গাইনোকলিজিকাল অনকোলজি।

কোন সাংবাদিক যখন স্বপ্ন নিয়ে কোন ডাক্তার কে জিজ্ঞেস করে আপনি কি বিষয়ে পড়তে চান-কেন জানি বলে উঠে ক্যান্সার নিয়ে পড়তে চাই। এইটা স্বপ্নের বাজারে ভালো চলে। অথচ ক্যান্সার বিষয়ে আমাদের অনাগ্রহের কারন চেম্বার ভরা রোগীর অভাব, আর তারপরে বেশির ভাগ রোগী মারা যায় এই চিন্তাধারা।আবার মাঝে মাঝে পেপারে আসে-অমুক লোক ক্যান্সারে মহৌষধ আবিস্কার করেছেন। এই জিনিস খেলে ক্যান্সার হবেই না। হায় হায় তখন আমি কি করে খাব। আমি লিখলাম চিন্তা করবেন আপনি।   আবার রেসিডেন্সির বেলায় অনেকে এইগুলো বেশি বেছে নিতে চান-কারন নাকি প্রতিযোগীতা কম।(হুম অনেকে ব্যাতিক্রম আছেন)।

এমএস সার্জিকাল অনকোলজিঃ

পজিটিভ দিকঃ

এই বিষয়ে ডাক্তারের প্রচুর সংকট। বাইরের দেশে ব্যপক চাহিদা। এবং সাধারন সার্জনের চেয়ে সম্ভবত আপনাদের ভিজিট বেশি হবে। ফিল্ড ভালো। কারো সাথে মারামারি করতে হবে না-আপনার রোগী আপনার কাছেই আসবে।

নেগেটিভ দিকঃ অনেকেই না জেনেই এই বিষয়ে ঢুকে পরে ফ্রাস্টেশনে ভুগেন।

আপনাকে প্রথমে ভালো জেনারেল সার্জন হতে হবে, পরে হবেন ভালো সার্জিকাল অনকোলজিস্ট। (আপনাদের ফেজ এ জেনারেল সার্জারী-চিন্তার অত কারন নেই)

আপনি সরাসরি রোগী কম ই পাবেন। ফুসফুসের ক্যান্সার প্রথমে যেমন কার্ডিওথোরাসিক সার্জন অপারেশন করবে, অন্ত্রের ক্যান্সার করবে জেনারেল সার্জন।

মেডিকেল কলেজ গুলোতে এখনো পোস্ট হয় নি।

আমার মতামতঃ

জেনারেল সার্জারিতে হাত ভালো করে সার্জিকাল অনকোলজিতে যান। ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল।

সিটঃ ৪ টি। NICRH

এম এস গাইনোকলিজিকাল অনকোলজীঃ

এবারেই নতুন। কিন্তু প্রচুর চাহিদা। আমি ক্যান্সার ইনস্টিটিউটে কাজ করার সময়ে দেখেছি এফ সি পি এস গাইনোকলিজিকাল অনকোলজির কত চাহিদা। বিশেষ করে সিনিয়র গাইনী ডাক্তার দের মধ্যে।

পজিটিভ দিকঃ

প্রচুর রোগী। cervical cancer, ovarian cancer, এমনকি ব্রেস্ট ক্যান্সারের রোগীও  আপনার কাছে যাবে।

বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে পোস্টিং পেয়ে ব্যপক সুনাম অর্জন করতে পারবেন। সাথে সাথে সরকারীরা অনেক ট্রেনিং পেয়ে থাকেন।

সিজারিয়ান নিয়ে কারো সাথে মনোমালিন্য হবে না।

নেগেটিভ দিকঃ

নতুন মনে করে প্রতিযোগীতা কম হবে ভাবলেও, আমি মনে করছি অনেক প্রতিযোগীতা হবে। বিশেষ করে যারা গাইনীতে অনেক দিন করে এফ সিপি এস দিয়ে আসছেন।

আপনাকে আগে ভালো গাইনী স্পেশালিস্ট হতে হবে, তারপরে এই গাইনোকলিজিকাল অনকোলজি।

প্রশ্ন করতে পারেন ক্যান্সার বিষয় নিয়ে কেন লিখছিঃ আসলে অনেকে প্রতিযোগিতা কমের ফাদে পড়ে এই বিষয়ে ঢুকে যান তো। তাদের আগে থেকে একটু জানান দিলাম। যেকোন প্রশ্ন করতে পারেন।

চলবে…

এরপর আসছে ঃ এই লেখাটির দ্বিতীয় পর্ব

Frcr in clinical onocology নিয়ে জানতে চাইলে ক্লিক করুন নিচের লিঙ্কে ঃ

 

 

 

Ishrat Jahan Mouri: Institution : University dental college Working as feature writer bdnews24.com Memeber at DOridro charity foundation

View Comments (8)

  • gynaecological onchology এর fcps/ms এ কি obstetrics এর ট্রেনিংও করতে হবে? করতে হলে কোর্স এর ডিটেইলসটা জানতে চাচ্ছি।

    • আসলে ব্যাপারটা সেরকম না। আপনি শুধু এম এস করলেও পারেন। ওটা আমার ব্যাক্তিগত মতামত মাত্র। বাংলাদেশে এখনো সুপার স্পেশালিটির দিন আসেনি-যে আপনি শুধু সারভাইকাল ক্যান্সার নিয়ে কাজ করবেন। ফলে সরকারী চাকরির স্বার্থে বা নিজের স্বার্থে গাইনী অবস জানা আবশ্যক। আপনাকে হয়তোবা কোন এক মেডিকেল কলেজে গাইনীতেই পোস্টিং দিবে।
      তাই এম এস পরীক্ষার আগে ১ বছরে গাইনীতে ট্রেনিং থাকলে সোনায় সোহাগা। আর যদি এর মধ্যে হিস্টেরেকটমি জানা থাকে খুবই ভালো। আর খুব সম্ভবত এম এস ফেজ এ-গাইনী অবস থাকবে পুরা দুই বছর।

Related Post