X

ফরিদপুরে হামলার স্বীকার ইন্টার্ন চিকিৎসকের বক্তব্যঃ হলুদ সাংবাদিকতা এবং ঘটনার নেপথ্যে

১৭ এপ্রিল, ২০১৯ ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে ন্যাক্কারজনক হামলার স্বীকার হয়েছেন, ইন্টার্ন চিকিৎসক ডা. সানী আমিন। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে, হাসপাতালের নার্স জুতা দিয়ে আঘাত করে এবং অন্যান্য নার্সরা মিলে পরিচালকের রুমের পাশেই সংঘবদ্ধ হয়ে হামলা করেন। কালের কন্ঠ সহ বিভিন্ন পত্রিকায় উদ্দেশ্য মূলক ভাবে মিথ্যে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছিল। হলুদ সাংবাদিকতার বিপক্ষে, ঘটনার নেপথ্যের প্রকৃত ঘটনা তুলে ধরেছেন সোস্যাল মিডিয়ায়।
তার বক্তব্য প্রকাশ করা হলঃ

গতকাল সকালের ঘটনা। রুগীর রক্ত দিতে গিয়ে দেখি কর্তব্যরত অবস্থায় কোন নার্স নেই।
পরে আমি রক্ত দিতে যাওয়ার সময়
কিছু বেলুন আমার শরীরে লাগে
পরে বেলুন সরাতে গিয়ে ১টা বেলুন ফুটে যায়।
কিছুক্ষণ পরে কয়েক জন নার্স এই কারনে আমার সাথে দূরব্যবহার করে এবং দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়।

আজকে সকালে যখন ডিউটিতে যাই তখন হঠাত করে ৩০ থেকে ৪০ জন নার্স আমাকে অকত্ত ভাসায় গালাগালি শুরু করে।
আমি এর প্রতিবাদ করলে পরিচালক স্যার এর রুম এর সামনে নার্স শান্তা, বিথি, কাকলি আমায়
জুতা দিয়ে আঘাত করে। তখন আমি আত্ম রক্ষা করার চেষ্টা করি। যার সব কিছু cctv তে ধারন করা আছে।এসব শুনে যখন আমার মেডিকেল এর ছোট ভাইরা আসে।তখন কালের কন্ঠের সেই হলুদ সাংবাদিক আমার ছোট ভাইদের বলে এই নার্স দের সাথে সংঘাতে গেলে ভাল হবে না।তখন ছাত্ররা তাকে চলে যেতে বলে। তখন সেই সাংবাদিক তাদের দেখে নেয়ার হুমকি দেয় এবং চলে যায়। আজকে এক মিনিটের জন্যে ও হাসপাতালের কোন কাজ বন্ধ ছিল না
এবং পরিচালক স্যার কে কেউ অবরোধ করে রাখে নাই।যা কিছু হইয়েছে সব কিছু cctv তে ধারন করা আছে।তার পর ও কালের কন্ঠের ওই সাংবাদিক কি ভাবে এই কথা লিখলেন?
ডাক্তার সমাজ পিঠে হাত দিয়ে দেখুন মেরুদণ্ড কি এখনো আছে??

ডা. সানী আমিন
ইন্টার্ন চিকিৎসক
ফমেক

ওয়েব টিম:
Related Post