X

পালিত হচ্ছে “বিশ্ব এন্টিবায়োটিক সচেতনতা” সপ্তাহ

প্ল্যাটফর্ম নিউজ, ১৯ নভেম্বর, ২০২০, বৃহস্পতিবার 

 

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও পালিত হচ্ছে বিশ্ব অ্যান্টিবায়োটিক সচেতনতা সপ্তাহ ২০২০। প্রতি বছরের মতো এ বছরও ১৮ থেকে ২৪ নভেম্বর অ্যান্টিবায়োটিক সচেতনতা সপ্তাহ পালন করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এবারের এন্টিবায়োটিক সপ্তাহের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হলো “United to preserve antimicrobials”.

 

মূলত, ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে বিজ্ঞানের আবিষ্কার ও মানব জাতির প্রধান অস্ত্রই হলো এন্টিবায়োটিক। তবে অতিরিক্ত, অপর্যাপ্ত ও নিয়ম ব্যতিরেকে এন্টিবায়োটিক ব্যবহারের ফলে এন্টিবায়োটিক প্রতিরোধী ব্যাক্টেরিয়ার উদ্ভব হয়। এন্টিবায়োটিক প্রতিরোধী এইসব ব্যাক্টেরিয়া ব্যক্তির জন্য প্রাণঘাতী তো বটেই বরং সমাজেও ব্যাপক প্রাদুর্ভাব সৃষ্টি করতে পারে।

 

মূলত, মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীর শরীরে বসবাসকারী অনেক ব্যাক্টেরিয়া অহেতুক এন্টিবায়োটিক প্রয়োগের ফলে মারা পড়ে। কিন্তু এর মধ্যে বেঁচে যাওয়া দু-একটি ব্যাক্টেরিয়াই এন্টিবায়োটিকটিকে অকার্যকর করার জন্য তাদের জিনগত কাঠামোতে বিশেষ পরিবর্তনের আশ্রয় নেয়। ফলে পরবর্তীতে সেই একই এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হলেও বিশেষভাবে পরিবর্তিত ব্যাক্টেরিয়া দিব্যি বেঁচে থাকতে সক্ষম হয়, আর তখনই তৈরি হয় এন্টিবায়োটিক রেজিজট্যান্স। এভাবেই সারা বিশ্ব জুড়ে এন্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহারের ফলে কম বা বেশি কার্যকর সব প্রকার এন্টিবায়োটিক ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণজনিত চিকিৎসায় ক্রমশ অকার্যকর হয়ে পড়ছে। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। তাই এ সংক্রান্ত সচেতনতা তৈরির বিকল্প নেই।

 

চিকিৎসক এর পরামর্শ ছাড়া ফার্মেসীর ওষুধ বিক্রেতার প্ররোচনায় সাধারণ সর্দি, জ্বরে অ্যান্টিবায়োটিক সেবন মারাত্মক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ডেকে আনতে পারে। তাই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এন্টিবায়োটিক সেবন অথবা পরামর্শকৃত এন্টিবায়োটিকের পুরো কোর্স শেষ করতে অনীহা প্রভৃতি কারণে আমরা এন্টিবায়োটিকের সুফল থেকে বঞ্চিত হয়ে বরং এক বিপর্যয়ের দিকে এগিয়ে চলছি।

 

এক সমীক্ষা হতে জানা যায়, ২০১৮ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে মারা যাওয়া নয়’শ জনের মধ্যে চার’শ জনের মৃত্যুর কারণই ছিল এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স। তাই এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স সহনীয় মাত্রায় আনয়নের জন্য চিকিৎসকসহ সব পর্যায়ের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীগণের সচেতনতা বৃদ্ধি করতে বাংলাদেশে প্রতি বছর এন্টিবায়োটিক সপ্তাহ অতি গুরুত্বের সাথে পালন করা হয়।

Jannatun Nur Aymon:
Related Post