X

পেশাগত পরীক্ষা পিছানোর আন্দোলনের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে প্রেস বিজ্ঞপ্তি

প্ল্যাটফর্ম নিউজ, ১০ নভেম্বর ২০২০, মঙ্গলবার 

দেশে বর্তমানে ৩৬ টি সরকারি এবং ৭০ টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজে শিক্ষা কার্যক্রম চালু আছে। গতানুগতিক শিক্ষা ব্যবস্থার চেয়ে মেডিকেল শিক্ষাব্যবস্থায় ভিন্নতা রয়েছে। এখানে শিক্ষার্থীদের ত্বাত্তিক পাঠদানের সাথে প্রতি ক্ষেত্রে ব্যবহারিক শিক্ষার আবশ্যিকতা আছে। চিকিৎসা শিক্ষার এমবিবিএস বা বিডিএস শিক্ষার্থীদের বছরে মে ও নভেম্বর বা ফেব্রুয়ারী ও আগস্ট এ দু’টি টার্মে প্রফেশনাল পরীক্ষা হয়ে থাকে। একজন ছাত্রকে চিকিৎসক হওয়ার পূর্বে ৪ টি প্রফেশনাল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়।

বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারীর কারণে অন্যান্য শিক্ষা ব্যবস্থার মত চিকিৎসা শিক্ষাব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি কিছুটা সহনীয় হওয়ার প্রেক্ষিতে এবং চিকিৎসা শিক্ষার শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতে সেশনজট থেকে মুক্ত রাখতে পরীক্ষা নেওয়া ছাড়া কোন বিকল্প নাই। চিকিৎসা শিক্ষাব্যবস্থা ভিন্নধর্মী হওয়ায় বিদ্যমান বিধিতে পরীক্ষা ব্যতীত অন্য কোনভাবে একজন শিক্ষার্থীকে পরবর্তী ধাপে উত্তীর্ণ হওয়ার ও সুযোগ নাই। সকল মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত উপাচার্য, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ, বিভিন্ন মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডীন মহোদয়, মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষবৃন্দ ও বিএমডিসি’র প্রতিনিধির সমন্বয়ে একাধিক সভার মাধ্যমে পরীক্ষা গ্রহণ সম্পর্কিত বিভিন্ন দিক নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়। এতে সকলের সম্মতিক্রমে ২০২১ সনের জানুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহ হতে নিয়মিত অনিয়মিত ব্যাচের প্রফেশনাল পরীক্ষা সমূহ স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের গাইড লাইন ও স্বাস্থ্য বিধি অনুসরন করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। পর্যায়ক্রমে ধারাবাহিকভাবে অন্যান্য প্রফেশনাল পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। ইতিমধ্যে অনিয়মিত ব্যাচের চূড়ান্ত প্রফেশনাল পরীক্ষা চলমান আছে। পরীক্ষার নির্দিষ্ট সময়ের এক মাস পূর্বে পরীক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য বিধি মেনে হোস্টেলে অবস্থানের অনুমতি প্রদান করা হয় এবং অন্য কোনো শিক্ষার্থী হলে অবস্থান করতে পারবেনা। স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে সকলকে কোনো প্রকার আন্দোলনে অংশ না নিয়ে স্বাস্থ্য বিধি মেনে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য অনুরোধ জানানো হচ্ছে। স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর চিকিৎসা শিক্ষার গুনগত মান অক্ষুন্ন রেখে শিক্ষার্থীদের সেশনজট দূর করতে বদ্ধপরিকর।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত কিছুদিন যাবত শিক্ষার্থীদের ৪ দফা দাবি নিয়ে যে আন্দোলন চলছে, সেসব দাবিতে উল্লেখ করা ৬০ মাসের বেতন আর বন্ড সই না করানোর দাবির এখনো কোনো সুরাহা হয়নি।

Silvia Mim:
Related Post