X

ঢাকা মেডিকেলে দেশে প্রথম ও বিশ্বে বিরল অস্ত্রোপচারঃ মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরলো রোহিঙ্গা শিশু

মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরলো রোহিঙ্গা শিশু নূরুল জোহার!

কক্সবাজারে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় খাদ্যনালী ও লিভারে মারাত্মক আঘাত পাওয়া রোহিঙ্গা শিশু নূরুল জোহার ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে মঙ্গলবার ফিরল মায়ের কোলে। শিশুদের ক্ষেত্রে বাংলাদেশে প্রথম এবং বিশ্বে বিরল এক জটিল অস্ত্রোপচার শেষে শিশুটি এখন ঝুঁকিমুক্ত।

কক্সবাজারে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় খাদ্যনালী ও লিভারে মারাত্মক আঘাত পাওয়া রোহিঙ্গা শিশু নূরুল জোহার ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে মঙ্গলবার ফিরল মায়ের কোলে। শিশুদের ক্ষেত্রে বাংলাদেশে প্রথম এবং বিশ্বে বিরল এক জটিল অস্ত্রোপচার শেষে শিশুটি এখন ঝুঁকিমুক্ত।

কক্সবাজারের কুতুপালং ও বালুখালীর ঠ্যাংখালী ক্যাম্পে আশ্রয় নেয়া একটি রোহিঙ্গা পরিবারের পাঁচ বছর বয়সী ফুটফুটে শিশু নূরুল জোহার। ৮ ভাইয়ের মধ্যে সে সপ্তম। চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি একটি অটোরিকশা তার পেটের ওপর দিয়ে চলে গেলে শিশুটির লিভার থেকে পিত্তনালি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ওই অবস্থায় শিশুটির চিকিৎসায় এগিয়ে আসে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কর্মরত শমরীতান পার্স নামের একটি বিদেশি এনজিও। তাদের সহায়তায় চকোরিয়ার মোমোরিয়াল খ্রিস্টান হাসপাতালের আমেরিকান সার্জন ডা. নাথান পাইভোসনের নেতৃত্বে দুই দফা অস্ত্রোপচার করা হয়। তৃতীয় দফা অস্ত্রোপচারের সময় অতি সংবেদনশীল ও সূক্ষ্ম অঙ্গ ক্ষুদ্রান্ত্র-প্লিহা-লিভার একসঙ্গে পেঁচিয়ে থাকায় ওই সার্জনরা আর ঝুঁকি নেননি।

এরপর শিশুটির জীবন বাঁচাতে খোঁজ-খবর নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে সার্জারি বিভাগের চেয়ারম্যান ও সার্জারি অনুষদের ডিন, দেশের স্বনামধন্য হেপাটোবিলিয়ারি এন্ড প্যানক্রিয়েটিক সার্জন অধ্যাপক ডা. জুলফিকার রহমান খানের শরণাপন্ন হন। পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিয়ে জোহারকে ৮ আগস্ট ন্যাশনাল চিলড্রেন হসপিটাল ও ইন্সটিউট বাংলাদেশের প্রজেক্ট ডিরেক্টর ও ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নিউনেটাল সার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক আবদুল হানিফের অধীনে ভর্তি করা হয়।

এখানে অধ্যাপক ডা. জুলফিকার রহমান খানের নেতৃত্বে শিশু সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক আশরাফ উল হক, অধ্যাপক ডা. আবদুল হানিফ টাবলু ও অন্যান্য চিকিৎসকের সমন্বয়ে ১০ সদস্যবিশিষ্ট মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়। হাসপাতালে বিনামূল্যে কেবিন বরাদ্দ ও কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার বন্দোবস্ত করেন ঢামেক পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন। শমরীতান পার্সের নার্স যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক জেসিকা লুইস, দোভাষী সুকর্ণ ঘোষ ও শিশুটির পিতা মো. কুতুব সব সময় জোহারের সঙ্গে হাসপাতালেই ছিলেন।

তথ্যসূত্রঃ কালের কন্ঠ

ওয়েব টিম:
Related Post