X

ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়ে গেল এশিয়ান মেডিকেল স্টুডেন্টস এসোসিয়েশন-বাংলাদেশ (AMSA-BD) আয়োজিত দুই দিন ব্যাপী আন্তর্জাতিক চিত্র প্রদর্শনী

গত ২ ও ৩ মার্চ ঢাকার দৃক গ্যালারিতে অঅনুষ্ঠিত হয়ে গেল এশিয়ান মেডিকেল স্টুডেন্টস এসোসিয়েশন- বাংলাদেশ (আমসা-বিডি) আয়োজিত আন্তর্জাতিক চিত্র প্রদর্শনী।
এটি প্রদর্শনীটি ছিল মূলত মেডিকেলের ছাত্র-ছাত্রী ও চিকিৎসকগন আয়োজিত বাংলাদেশের প্রথম আন্তর্জাতিক চিত্র প্রদর্শনী। গত ২ তারিখ বুধবার, বিকাল ৩টায় দৃক গ্যালারীতে এই কারনিভালের শুভ উদ্বোধন হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর ডাঃ এম, এ আজিজ, জয়েন্ট সেক্রেটারি (বিএমএ), মহাসচিব (স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ), প্রফেসর ডাঃ শাহ আবদুল লতিফ (মেম্বার, বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন), প্রফেসর ডাঃ নুজহাত চৌধুরী (সহযোগী অধ্যাপক, চক্ষু বিভাগ, বিএসএমএমইউ), অধ্যাপক ডাঃ পারভিন শাহিদা আক্তার (বিভাগীয় প্রধান, মেডিকেল অনকোলজী, বাংলাদেশ ক্যান্সার ইন্সটিটিউট), ডাঃ আব্দুর নূর তুষার (বিশিষ্ট মিডিয়া ব্যাক্তিত্ব)।
বিকাল ৩টায় উদ্বোধনের পর পরেই শতশত মানুষের ভীড়ে ভরে যায় দৃক গ্যালারী। ২ এবং ৩ তারিখ প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে ৮টা পর্যন্ত প্রদর্শনী চলে ধানমন্ডির দৃক গ্যালারীতে। এ অনুষ্ঠানের আয়োজক আমসা বাংলাদেশ, মেডিকেল ও ডেন্টাল শিক্ষার্থীদের জন্য একটি অরাজনৈতিক ও অসাম্প্রদায়িক প্রতিষ্ঠান। আমসা বাংলাদেশ আমসা ইন্টারন্যাশনালের একটি চ্যাপ্টার।
আমসা এশিয়া ও এশিয়া প্যাসিফিকের মধ্যে মেডিকেল ও ডেন্টাল শিক্ষার্থীদের জন্য একটি বড় যোগাযোগের মাধ্যম। আমসা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, ১৯৮৫ সালে ফিলিপাইনের ম্যানিলা শহরে মাত্র ৯টি অধ্যায় নিয়ে, তাদের যাত্রা শুরু হয় এবং এরা হল: অস্ট্রেলিয়া, হংকং, ইন্দোনেশিয়া, ইন্ডিয়া, জাপান, কোরিয়া, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড ও ফিলিপাইন। এছাড়া পাপুয়া নিউ গিনি, নেপাল ও কম্বোডিয়া ছিল তাদের সহকারি সদস্য। বাংলাদেশ ও পাকিস্তান ২০০৫ সালে আমসার সদস্য হয় এবং ২০০৬ সালে তারা পূর্ণ প্রতিষ্ঠা পায়। এরপরে বাংলাদেশ ২০১৫ সালে পুনরায় তাদের সদস্যপদ ফিরে পায়।

এই চিত্র প্রদর্শনীর মাধ্যমে আমসা ২টি বিষয়কে সকলের সামনে ফুটিয়ে তোলার প্রয়াস করেছে। এই দুইটি বিষয়ের একটি হল, ‘রিপ্রেজেন্ট ইউর কান্ট্রি’ (Represent Your Country) এবং অন্যটি হল ‘নো ইয়োর ফিজিসিয়ান’ (Know Your Physician)। আমসা টিম এই অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি শুরু করে ২০১৫ সালের নভেম্বর থেকে। ই-মেইলের মাধ্যমে চিত্রপ্রদর্শনীতে অংশগ্রহনকারীদের ছবি আহবান করা হয়। বাংলাদেশের সকল মেডিকেল শিক্ষার্থী ছাড়াও অন্যান্য শিক্ষার্থীদের কাছ থেকেও ব্যাপক সাড়া পাওয়া যায়। এই চিত্রপ্রদর্শনীর সব থেকে উল্লেখযোগ্য দিক হল, সকল শ্রেণীর পেশাজীবী মানুষ ও শিক্ষার্থীরা তাদের ছবি প্রদর্শনীর জন্য জমা দিতে পেরেছে। বাংলাদেশসহ এশিয়ার সকল দেশ থেকে প্রায় ৭০০ ছবি আমসা বাংলাদেশের কাছে জমা পড়ে এবং আমসা এর মাঝে ১০৭টি ছবি চিত্রপ্রদর্শনীর জন্য বাছাই করে। প্রদর্শনীর দ্বিতীয় ও শেষ দিন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দুটি গ্রুপ থেকে মোট ৬ জন বিজয়ী ঘোষণা করা হয় এবং তাদের হাতে পুরষ্কার ও ক্রেস্ট তুলে দেন আয়োজকেরা। এবং পরবর্তীতে একটি নিদিষ্ট দিনে নির্বাচিত প্রতিযোগীদেরকে সন্মানিত অতিথি ও নির্বাচকবৃন্দের মাধ্যমে সন্মানিত করা হবে। এই প্রদর্শনীর মাধ্যমে আমসা দেশের সাধারন মানুষদের সাথে ডাক্তারদের যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে, তা লাঘব করার চেষ্টা করেছে।

Banaful:
Related Post