X

ডা. শুভাগত চৌধুরীর স্বাস্থ্যবার্তা: কীভাবে রোধ করা যায় কিডনির পাথর

৩০ মে ২০২০, শনিবার

 

অধ্যাপক ডা. শুভাগত চৌধুরী

 

বিশ্বে প্রতি ১০ জনের ১ জনের হতে পারে কিডনিতে পাথর। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন প্রচুর পানি পান আর যে সব খাবার পাথর জমার প্রবণতা বা ঝুঁকি বাড়ায়, সে সব খাবার এড়িয়ে চললে কিডনি বা বৃক্ক সুস্থ রাখা সম্ভব।

 

কিডনিতে পাথর যেন না জমে, তার জন্য নিম্নলিখিত নিয়মগুলো অনুসরণ করা যায় –

 

১) প্রচুর পানি পান করুন। প্রস্রাবে তরল যখন বেশি থাকে, তখন খনিজ লবনজাত পাথর তৈরি করার সম্ভাবনা কম। গাঢ় প্রস্রাব পানি শূন্যতার চিহ্ন।প্রস্রাবের রঙ হবে খড়ের রঙের মত। খুব হাল্কা হলুদ। তাই বিজ্ঞানীরা বলেন পানি প্রতিদিন পান করতে হবে ৬-৮ গ্লাস।

২) লবন খাওয়া কমান। লবন শরীরে পানি রক্ষণ করে আর নিরুদন ঘটায়। এবং প্রস্রাবে ক্যালসিয়াম বাড়ায়। বিশেষজ্ঞরা দৈনিক ২৩০০ মিলিগ্রামের বেশি লবন গ্রহণ ঠিক নয় বলে মত দিয়েছেন। অর্থাৎ ১ টেবিল চামচের বেশি নয়। নোনা খাবার গ্রহণ করবেন না। আচার, স্মোক ফিস, নোনা ইলিশ, চানাচুর, চিপস, নিমকি বাদ দিলে ভাল। খাদ্যে অতিরিক্ত কাঁচা লবণ খাবেন না। প্যাকেট আর প্রস্তুত খাবার বাদ দিন।

 

৩) ক্যালসিয়াম অক্সালেট আছে এমন খাবার গ্রহণ কমান। কিডনির পাথর নানা যৌগে গঠিত। এর মধ্যে আছে স্ত্রুভাইট, ইউরিক এসিড, সিস-টিন। সবচেয়ে সচরাচর কিডনি স্টোন হল ক্যালসিয়াম অক্সালেট স্টোন। একটি গবেষণায় দেখা গেছে ৪৪,০০০ কিডনি পাথরের ৬৭ শতাংশের সংযুতি ক্যালসিয়াম অক্সালেট। তাই ডাক্তাররা যাদের কিডনি পাথরের উচ্চ ঝুঁকি, এদের অক্সালেট গ্রহণ সীমিত করতে বলেন। অক্সালেট সমৃদ্ধ খাবার কমালে সুফল আসে। যেসব  খাবারে অক্সালেট বেশি, সেগুলো হলঃ গ্রেপ ফ্রুট, ক্রেনবেরি রস, আলু, সয়াবিন।

 

৪) প্রানিজ প্রোটিন খাওয়া সীমিত করুন। রেড মিট , পোল্ট্রি, ডিম, সি-ফুড গ্রহণ সীমিত করুন। প্রানিজ প্রোটিন ইউরিক এসিডের মান বাড়ায় আর কিডনিতে পাথরের প্রবণতা বাড়ায়। হাই প্রোটিন ডায়েট কমায় সাইট্রেট মান। প্রস্রাবের সাইটরেট কিডনি স্টোন প্রতিরোধ করে।

Sarif Sahriar:
Related Post