X

কোভিড-১৯ সম্পর্কে বিএমএ মহাসচিবের প্রস্তাবনা

৫ এপ্রিল ২০২০: গত ২৪ মার্চ ২০২০ তারিখে করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) সম্পর্কে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভায় বিএমএ মহাসচিব ডা. মোঃ ইহতেশামুল হক চৌধুরী কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও প্রস্তাবনা উত্থাপন করেন। এগুলো হল:

১. বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা চায়নার উহান শহরে করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) প্রথম সনাক্ত হওয়ার পর, প্রথম ৬৭ দিনে মোট আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ১ লক্ষ। পরবর্তী ১১ দিনে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় আরো ১ লক্ষ।
তৎপরবর্তী ৪ দিনে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় আরো ১ লক্ষ।

ইতালিতে প্রায় ৩০০ চিকিৎসক কোয়ারেন্টিনে রয়েছে।
চায়নাতে ৪১% রোগ হাসপাতাল থেকে সংক্রমিত হয়েছে।

বাংলাদেশে স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিতদের মধ্যে COVID-19 এর প্রভাবঃ

চিকিৎসকঃ
কোয়ারেন্টিন ৮ জন
সনাক্ত ১ জন

নার্সঃ
কোয়ারেন্টিন ১২ জন
সনাক্ত ২ জন

স্বাস্থ্যকর্মীঃ
কোয়ারেন্টিন ৩ জন
সনাক্ত ১ জন
(*বর্তমানে এ সংখ্যা আরো বৃদ্ধি পেয়েছে)

২. সরকারী বেসরকারী সকল হাসপাতালের দায়িত্ব পালনরত চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপদ সামগ্রী (PPE) দ্রুত সরবরাহের ব্যবস্থা করুন।

৩. দ্রুত বাংলাদেশের প্রতিটি বিভাগে COVID-19 সনাক্তের প্রয়োজনীয় পরীক্ষার ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে। More test, Immediate Detection, More Isolation।

৪. জরুরী ভিত্তিতে ১০০০ নতুন চিকিৎসক নিয়োগ দিন। (প্রস্তাবনাঃ বিসিএস নন-ক্যাডারে উত্তীর্ণ ৮৭০০ জন এর মধ্যে থেকে যারা আগে আগ্রহ প্রকাশ করবে তাদেরকে প্রথমে নিয়োগ দিন এবং তাদেরকে ১ বছরের মধ্যে চাকুরী নিয়মিত করার প্রতিশ্রুতি দিতে হবে নতুবা তারা আগ্রহী হবে না)।

জরুরী ভিত্তিতে ৩০০০ নতুন নার্স নিয়োগ দিন (তাদেরকে ১ বছরের মধ্যে নিয়মিত করতে হবে)।

দ্রুত ২০০ নতুন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট নিয়োগ করুন (তাদেরকেও ১ বছরের মধ্যে নিয়মিত করতে হবে)

৫. হাসপাতালের বহিঃ বিভাগ সীমিত করুন। চিকিৎসকদের পালাক্রমে (শিফটিং) ডিউটির ব্যবস্থা করুন। সবাইকে একসাথে Expose করবেন না।

৬. যে সকল হাসপাতাল Vulnerable যেমন কিডনি ইন্সটিটিউট, হৃদরোগ ইন্সটিটিউট সেখানে কোন Isolation Center খোলা যাবে না।

৭. গণমাধ্যমে প্রচারের পাশাপাশি ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ের জনপ্রতিনিধি, যেমন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও সদস্য, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্য, মসজিদের ইমাম, অন্যান্য ধর্মীয় উপসনালয়ের পুরোহিত, স্কুল-কলেজের শিক্ষক দ্বারা প্রচার বেশি কার্যকর হবে।

৮. সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম দ্রুত নিয়ন্ত্রণ করুন। গুজব ছড়ানোদের শাস্তি দিয়ে তা গণমাধ্যমে প্রচার করুন।

৯. দায়িত্বশীল ব্যক্তি দিয়ে সার্বিক অবস্থা মিডিয়াতে ব্রিফিং করুন।

১০. দেশের সকল কারাগার ও রোহিঙ্গা ক্যাম্পেও দ্রুত ব্যবস্থা নিন।

নিজস্ব প্রতিবেদক/সুবহে জামিল সুবহা

Platform:
Related Post