X

কোভিড-১৯ঃ যুদ্ধ বনাম প্রকৃতি

প্ল্যাটফর্ম নিউজ, ২৪ জানুয়ারি, ২০২১, রবিবার

লেখাঃ ডা. আবুল খায়ের মোহাম্মদ শামছুজ্জামান
অধ্যাপক, মাইক্রোবায়োলজি
পরিচালক
ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন এন্ড রেফারেল সেন্টার

অধ্যাপক ডা. আবুল খায়ের মোহাম্মদ শামছুজ্জামান,
পরিচালক,
ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন এন্ড রেফারেল সেন্টার
ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন এন্ড রেফারেল সেন্টার

উনিশ শতকের বিশ্বমহামারী স্প্যানিশ ফ্লু এর পরে মানব জাতি যে বিভিষিকাময় অদৃশ্য শত্রু মোকাবেলা করে আসছে, সন্দেহাতীতভাবে সেটি হলো রোগ হিসেবে কোভিড-১৯ এবং জীবাণু হিসেবে SARS CORONA Virus 2 (সার্স কোভ-২)। সারা বিশ্বের কোনো দেশ, কোনো রাষ্ট্র, কোনো রাজ্য কিংবা কোনো ভূখণ্ড বা জনপদ কিছুই কোভিড-১৯ এর ছোবল থেকে রক্ষা পায়নি। বিজ্ঞানের এই চরম উৎকর্ষের একবিংশ শতাব্দীতে এসেও ৯ কোটি ৯৪ লক্ষ ৬ হাজার ৭৭৫ জন (প্রায় ১০০ মিলিয়ন) মানুষ সংক্রমিত এবং ২১ লক্ষ ৩২ হাজার ৪৩ জন মানুষ মৃত্যুবরণ করেছে (২৪ জানুয়ারি, ২০২১ পর্যন্ত)। চীনের উহান প্রদেশ থেকে এই ভাইরাসের উদ্ভব ঘটে থাকলেও এখনো পর্যন্ত এটির উৎস প্রাণি পর্যায়ে অনুসন্ধানের দাবী রাখছে। যদিও জোরালোভাবে ধারণা করা হয়, এই জীবাণু বাদুড়, ইঁদুর, পেঁচা বা সামুদ্রিক মাছ জাতীয় উৎস থেকে মানুষের মধ্যে বিস্তার লাভ করেছে। মানবদেহে বহিরাগত কোন কোষীয় বা অকোষীয় কোন অণুজীব বসবাস করার জন্য বিভিন্ন প্রকারের রাসায়নিক অণু সমৃদ্ধ এক উপযোজিত প্রতিবেশের প্রয়োজন হয়। বিশেষ প্রকারের আমিষ অণু এই প্রতিবেশের মূল উপাদান। তাহলে প্রশ্ন থেকে যায় যে, ২০১৯ সালেই এই সার্স করোনা ভাইরাস-২ কি মানুষের শরীরে প্রবেশ করে সেখানে বংশবিস্তার করার জন্য যথাযথ অভিযোজন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়েছে?

মধ্যম আয়ের বাংলাদেশ এই কোভিড-১৯ এর দুর্বিপাকে যতটা না ক্ষতিগ্রস্থ বা আক্রান্ত (২৪ জানুয়ারি, ২০২১ পর্যন্ত ৫ লক্ষ ৩১ হাজার ৭৯৯ আক্রান্ত এবং ৮ হাজার ২৩ জন মৃত) তার চেয়েও অনেক অনেক গুণে ক্ষতিগ্রস্থ বা আক্রান্ত হচ্ছে উচ্চ আয়ের উন্নত দেশগুলো। যেমন এ যাবত যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি রোগী (২৪ জানুয়ারি, ২০২১ পর্যন্ত ২ কোটি ৫৫ লক্ষ ৬৬ হাজার ৭৮৯ জন) শনাক্ত হয়েছে এবং মৃত্যুবরণ (২৪ জানুয়ারি, ২০২১ পর্যন্ত ৪ লক্ষ ২৭ হাজার ৬৩৫ জন) করেছে। মানুষের ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, রাষ্ট্রীয়, আন্তঃরাষ্ট্রীয় এবং বৈশ্বিক জীবনধারার সবগুলো সোপান বা নির্দেশক এই কোভিড-১৯ এর কারণে বিধ্বস্ত বা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। আন্তর্জাতিক যোগাযোগ তথা ব্যবসা বাণিজ্য মুখ থুবড়ে পড়েছে। উচ্চ আয় বা নিম্ন আয় ভুক্ত যেকোনো শ্রেণির মানুষই আর্থিক দৈন্যতার সম্মুখীন হয়ে পড়েছে। অর্থনীতি তথা অর্থনৈতিক কর্মকান্ড মূলত এই কোভিড-১৯ প্রতিরোধ বা নিয়ন্ত্রণের জন্যই যেন নিয়োজিত রাখা হয়েছে।

হাঁচি-কাশি, কথা বলার মাধ্যমে উৎপন্ন হওয়া ক্ষুদ্রতম জলীয় কণাগুলিকে বাহন হিসেবে ব্যবহার করে এই অদৃশ্য শত্রু মানুষের মধ্যে নিঃশ্বাস প্রশ্বাসের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে। পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, সরাসরি বাষ্পীয় ক্ষুদ্রতম কণার চেয়েও হাঁচি-কাশি বা কথা বলার ফলে ভাইরাস ফুসফুস থেকে নির্গত হয়ে বাসাবাড়ির আসবাবপত্রের পৃষ্ঠ, দরজার হাতল এমনকি হাতের তালুতে পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। সেসব জায়গায় হাতের স্পর্শ পড়লে ভাইরাসটি সেখানে লেগে যায় এবং অপরিস্কার সেই হাত দিয়ে নাক, চোখ, মুখ ইত্যাদিতে অবচেতন মনে স্পর্শ করলে ভাইরাসটি শ্বাসনালীতে প্রবেশ করে যায়। অনেক রহস্যের ভিতর একটি পরিস্কারকৃত ধারণা এখন সকলের জানা যে মানব কোষের ঝিল্লীপর্দায় ACE2 নামে এক প্রকারের গ্রাহক অণুর সাথে ভাইরাসটি তার এস(স্পাইক) নামক আমিষ অণু দ্বারা বন্ধন তৈরি করে মানবকোষের ভিতরে প্রবেশ করে। বর্ণিত গ্রাহক অণুটি শ্বাসতন্ত্রের কোষগুলোতে সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায়। শ্বাসতন্ত্র তথা ফুসফুসের গভীরে প্রবেশ করে কোষগুলোকে পারমাণবিক বোমার মতো ধ্বংস করতে থাকে। যার জবাবে মানবদেহের ঐতিহ্যবাহী প্রতিরোধী কোষ (ম্যাক্রোফেজ, লিম্ফোসাইট ইত্যাদি) তাদের অভ্যন্তরীণ রাসায়নিক নিঃসরণ প্রক্রিয়ায় প্রবল ঘূর্ণিঝড় তৈরি করে। দ্বিমুখী আক্রমণে ফুসফুসের ভিতর তীব্র মাত্রার প্রদাহ দেখা দেয়। যার ফলে অক্সিজেন ও কার্বন ডাই অক্সাইডের বিনিময় প্রক্রিয়াতে চরম ব্যাঘাত ঘটে এবং রক্তে দ্রবীভূত অক্সিজেনের মাত্রা তাৎপর্যপূর্ণভাবে হ্রাস পায়। অক্সিজেন ছাড়া জীবকোষ তার বিপাকীয় ক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারে না। পাশপাশি তীব্র শ্বাসকষ্ট হেতু পরিবেশের অক্সিজেনও গ্রহণ করতে পারে না। ফুসফুসের তীব্র প্রদাহ মরার উপর খাড়ার ঘা এর মত ফুসফুসীয় ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র রক্তনালীকায় রক্ত জমাট বাঁধা ও তঞ্চন প্রক্রিয়ার উদ্ভব ঘটায়। ফলে মানুষের জীবন সংকটাপন্ন হয়ে থাকে বা মৃত্যুও ঘটে যায়।

কোভিড-১৯ মানবদেহে যে সমস্ত জৈবনিক পরিবর্তন ঘটায় সেগুলোর সাথে আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা এবং সঞ্চালন নিয়ন্ত্রণের মূলনীতি সহজেই বুঝা যেতে পারে। যেমন, ভাইরাসের বংশবিস্তার ঠেকাতে পারে এমন যদি কোনো ওষুধ প্রয়োগ করা যায় তাহলে রোগমুক্তি ঘটার সম্ভাবনা থাকে। সুনির্দিষ্ট এমন ভাইরাস নিরোধী ওষুধ আবিষ্কৃত না হলেও (রেমডেসিভির, ফেভিপাইরাভির) প্রভৃতি ব্যবহৃত হচ্ছে। তীব্র প্রদাহ বন্ধ করার জন্য স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ ব্যবহৃত হচ্ছে। রক্ত জমাট বাঁধা প্রতিরোধ ও রক্ত চলাচল ঠিক রাখার জন্য এনোক্সাপেরিন, রিভারক্সাবেন ইত্যাদি ব্যবহৃত হয়ে আসছে। তাছাড়া লক্ষণ ও উপসর্গ প্রশমনের জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ যথা মন্টিলুকাস্ট, ডক্সোফাইলিন, এন্টি হিস্টামিন এর পাশাপাশি উচ্চচাপে অক্সিজেন প্রয়োগের প্রয়োজন হয়। সার্বিক ব্যবস্থাপনার জন্য নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্র খুবই প্রাসঙ্গিক। পর্যায়ক্রমিক পর্যবেক্ষণের ফলাফলস্বরুপ, কোভিড নিউমোনিয়ার মাত্রা বোঝার জন্য বিভিন্ন প্রকার জৈব রাসায়নিক অণু বা নির্দেশকগুলিও এখন চিকিৎসকরা নির্ণয় করিয়ে থাকেন। যেমন- CRP, Serum Ferritin, D Dimer level, Lactose Dehydrogenase, Serum Procalcitonin, Serum Transferrin ইত্যাদি। এ সমস্ত নির্দেশকগুলোর মাধ্যমে কোভিড-১৯ অসুখের উন্নতি অথবা অবনতি মূল্যায়ন করা যায়। বলতে গেলে, কোভিড-১৯ এর চিকিৎসাগত নির্দেশাবলী এখন সারা বিশ্বের চিকিৎসকদের কাছেই সমন্বিত ও সুসংহত। কিছু কিছু বিশেষ পর্যবেক্ষণ হলো, কোনো কোনো রোগী সংক্রমণ শনাক্ত হবার পর ২/৩ সপ্তাহের মধ্যে RT-PCR পরীক্ষায় নেগেটিভ হয়ে যায়। আবার কেউ কেউ দীর্ঘমেয়াদে RT-PCR পজিটিভ থাকে। অর্থাৎ তাদের দেহে নিষ্কৃয় বা সক্রিয় অবস্থায় ভাইরাস কণা বিরাজিত থাকে। অনেকের মধ্যে কোভিড রোগ হলে পরে নতুন করে রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি অর্থাৎ ডায়বেটিস দেখা দেয় যার কোভিড রোগ হওয়ার আগে কখনো রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি বা অস্বাভাবিক থাকতো না। অনেকেই কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার পর দীর্ঘদিন পর্যন্ত শারীরিক দুর্বলতা অনুভব করতে থাকেন। কারো কারো স্মৃতিবিভ্রাট জনিত উপসর্গ দেখা দেয়। কারো কারো স্বাভাবিক মাত্রার ঘুম হয় না। কেউ কেউ মারাত্মক উপসর্গ যেমন, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ বা স্ট্রোক এমনকি অনেকেই হৃৎপিণ্ডের রক্ত চলাচল ব্যহত হওয়ায় মারাত্মক হার্ট এটাকে পতিত হয়। সব মিলিয়ে, কোভিড-১৯ এখনো পর্যন্ত চিকিৎসা বিজ্ঞানে একটি চরম ভোগান্তি তথা মরণব্যাধি হিসেবেই পরিচিতি লাভ করেছে।

অধিকন্তু আরেকটি বিষয় ধরা পড়ছে বলতে গেলে বিশ্বের সব দেশে যা হলো ভাইরাসটির গাঠনিক জিনে পরিবর্তন হওয়া। এর ফলে ভাইরাসটির ছড়িয়ে পড়ার ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং ফুসফুসসহ অন্যান্য অঙ্গের জটিলতাও বেড়ে যাচ্ছে বলে ইদানীং বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীগণ নিশ্চিত করেছেন। উদাহারণস্বরুপ সার্সকোভ-২ ভাইরাসের ইউ কে (UK) ভ্যারিয়েন্ট এর কথা উল্লেখ করা যেতে পারে। ভাইরাসের এই স্বতঃস্ফূর্ত জিনগত পরিবর্তনের হার বিভিন্ন দেশে তাৎপর্যপূর্ণ মাত্রায় বৃদ্ধি পেয়েছে। যুক্তরাজ্য, ইতালি, ফ্রান্স, জাপান, দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া, ডেনমার্ক, ভারত, কাতারসহ আরও অনেক দেশে পরিবর্তিত রূপে সার্সকোভ-২ শনাক্ত হচ্ছে। এই পরিবর্তনের সাথে নিকট ভবিষ্যতে টিকা প্রয়োগ করে সফলতা পাওয়ার ক্ষেত্রে ঋণাত্মক প্রভাব পড়তে পারে বলে বিজ্ঞানীগণ সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।

কোভিড-১৯ প্রতিরোধে যেসব টিকা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক অনুমোদিত হয়েছে সেগুলো হলো Pfizer, Moderna, Oxford AstraZeneca, Sputnik V (formerly Gam-Covid-Vac)-Russia, Sinovac Biotech-limited তবে এগুলো ছাড়াও আরও কিছু টিকা যেগুলো ব্যবহারযোগ্য কিনা তা ৩য় পর্যায়ে পরীক্ষাধীন আছে। বিজ্ঞানীরা জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর মাধ্যমে এক ধরণের এডিনোভাইরাস ব্যবহার করে এই টিকা বা প্রতিষেধক তৈরি করেছেন।

এর মধ্যে ChAdOx1 ভ্যাকসিন একধরণের এডিনোভাইরাস ভেক্টর যা মূলত শিম্পাঞ্জি গোত্রে ঠান্ডা সর্দি ঘটায়। অন্যান্য প্রতিষেধক বা টিকার তুলনায় এর প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেশি বলে পরীক্ষায় ফলাফল পাওয়া গেছে। এটির জিনগত পরিবর্তন আনার কারণে পরবর্তীতে মানুষের শরীরে এর সংক্রমণের সম্ভাবনা শুন্য। সারফেস স্পাইক প্রোটিন (এস প্রোটিন) তৈরির মাধ্যমে মানুষের শরীরে প্রবেশকৃত করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে এক ধরণের প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে। প্রথমবার প্রয়োগের ২৮ দিন পর দ্বিতীয়বার অর্থাৎ দুই ডোজে প্রয়োগকৃত এই টিকার কার্যক্ষমতা প্রায় ৯০% এবং প্রায় ৬ মাস পর্যন্ত এটি সংরক্ষণ করা যায়। ডিসেম্বর ৮, ২০২০ তারিখে সর্বপ্রথম অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি এবং ব্রিটিশ-সুইডিস কোম্পানি AstraZeneca তাদের ভ্যাকসিন সংক্রান্ত গবেষণা পত্র প্রকাশ করে। পর্যায়ক্রমিক পরীক্ষা এবং গবেষণা করার পর গত ২৩ নভেম্বর, ২০২০ তারিখে তাদের প্রতিষেধকের কার্যক্ষমতা সম্পর্কিত একটি ফলাফল যা যুক্তরাজ্য এবং ব্রাজিলের ১৩১ জন কোভিড আক্রান্ত রোগীর উপর প্রাপ্ত তা প্রকাশ করে। ১৩ ডিসেম্বর, ২০২০ তারিখে Serum Institute of India এর মাধ্যমে বাংলাদেশে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি এবং এস্ট্রাজেনকা কর্তৃক তৈরি প্রায় ৩ কোটি টিকা আমদানীর চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ভাষ্যমতে, “একই ব্যক্তিকে দুই ডোজ হিসেবে প্রায় দেড় কোটি মানুষকে পর্যায়ক্রমিকভাবে করোনা প্রতিষেধক টিকা প্রদান করা হবে।” টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “যে কোনো ভ্যাকসিনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকতে পারে যেভাবে ঔষধের প্রতিক্রিয়া থাকে। তারপরও আমরা ভ্যাকসিন নিচ্ছি দীর্ঘকাল যাবত। কাজেই এখানেও রিঅ্যাকশন হতে পারে। ইতোমধ্যেই আমাদের সিদ্ধান্ত নেয়া আছে যে যেসব হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে টিকা দেবার ব্যবস্থা করা হয়েছে, কেউ যদি অসুস্থ বোধ করে তাদের চিকিৎসা দেয়ার ব্যবস্থা করবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।” গত ২১ জানুয়ারি তারিখে ভারতের উপহার দেয়া কোভিশিল্ড নামের কুড়ি লাখ ডোজ টিকা ঢাকায় এসে পৌঁছেছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী জাহিদ মালেক এম পি ঢাকায় একটি অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের টিকা আসার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বর্তমান অগ্রগতির যুগেও করোনা ভাইরাস নামক এক অদৃশ্য শক্তির কাছে মানুষ হয়ে পড়েছিল অসহায়। তবে অসীম ঝুঁকির মাঝেও সাহসিকতার সাথে এর মোকাবেলা করে একে পরাস্ত করার মত এক হাতিয়ার তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। কোভিড-১৯ ধরাশায়ী হবে এই টিকা বা ভ্যাকসিন এর হাতে এমনই প্রত্যাশা। তাছাড়াও, প্রকৃতিগতভাবে জিনে পরিবর্তন আসতে আসতে এই ভাইরাস দুর্বল হয়ে পড়বে বলেই ইতিহাস থেকে অভিজ্ঞতা নিয়ে মন্তব্য করা যায়।

নিজস্ব প্রতিবেদক
ডা. টি এইচ এম এনায়েত উল্লাহ খান

হৃদিতা রোশনী:
Related Post