X

অনুমতি পেল করোনা ভাইরাসের অ্যান্টিবডি পরীক্ষা, এবারে টেস্ট শুরুর অপেক্ষা

প্ল্যাটফর্ম নিউজ, ২৪ জানুয়ারি ২০২১, বরিবার

আজ রোববার (২৪ জানুয়ারি ২০২১) বেলা একটার দিকে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, “কোনো ব্যক্তির শরীরে করোনা ভাইরাসের অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে কি না, তা জানতে কিটের মাধ্যমে পরীক্ষার অনুমতি দিয়েছে সরকার। দীর্ঘদিন ধরে অ্যান্টিবডি পরীক্ষার জন্য অনেকের দাবি ছিল। আজ থেকে অ্যান্টিবডি পরীক্ষার অনুমতি দেওয়া হয়েছে”।

ছবিঃ প্রতীকী

এছাড়াও জানা গিয়েছে, বাংলাদেশে এন্টিবডি টেস্ট করার জন্য টেস্ট কিটের গ্রহণযোগ্য মাত্রা হিসেবে কমপক্ষে ৯০% সংবেদনশীলতা এবং ৯৫% সুনির্দিষ্টতা রয়েছে এই সকল কিট ব্যবহার করা যাবে।

এন্টিবডি টেস্ট যে সকল ক্ষেত্রে প্রযোজ্যঃ
(১) সেরোপ্রিভেলেন্স বা সেরোসার্ভিল্যান্স।

(২) কনভালেসেন্স প্লাজমা ডোনেশন।

(৩) রোগ তত্ত্বীয় ও ভ্যাকসিন গবেষণা।

এন্টিবডি টেস্ট যে সকল ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়ঃ
(১) কোভিড- ১৯ রোগ শনাক্ত করণ।

(২) পয়েন্ট অফ কেয়ার।

“বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা” অথবা “আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি নিয়ন্ত্রক সংস্থা” কর্তৃক অনুমোদিত এন্টিবডি টেস্ট কিট ব্যবহার করা যাবে। তবে সেক্ষেত্রে এন্টিবডি টেস্ট কিট ব্যবহারের পূর্বে সরকারের অনুমোদন নিতে হবে। এন্টিবডি টেস্ট কিট ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের কার্যপদ্ধতি সুনির্দিষ্টভাবে অনুসরণ নিশ্চিত করতে হবে এবং প্রয়োজনে রেফারেন্স ল্যাবরেটরীর সহায়তা নিতে হবে।

উল্লেখ্য, যে কোন সংক্রমণে IgM এবং IgG নামক এন্টিবডির উপস্থিতি পরিলক্ষিত হয়। করোনা অ্যান্টিবডি হচ্ছে ছোট ইমিউনোগ্লোব্যুলিন প্রোটিন, যা যেকোনো ইনফেকশন প্রতিরোধে শরীরে তৈরি হয়। আর এ এন্টিবডি টেস্ট রক্তে কোভিড- ১৯ ভাইরাসের বিপরীতে এন্টিবডি শনাক্ত করে। সংক্রমিত ব্যক্তির রক্তে এই দুটি এন্টিবডি ১ থেকে ৩ সপ্তাহের মধ্যে শনাক্ত করা যায়। এক্ষেত্রে IgM এর উপস্থিতি সক্রিয় সংক্রমণ নির্দেশ করে এবং IgG এর উপস্থিতি ইমিউনিটি নির্দেশ করে। শুধু IgM থাকলে বা দুটিই (IgM ও IgG) থাকলে মনে করা হয় যে সংশ্লিষ্ট রোগটির সংক্রমণের আশঙ্কা রয়েছে। আর শুধু IgG থাকলে ধরে নেওয়া হয়, ইনফেকশন চলে গেছে এবং এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে উঠেছে। তবে এখন পর্যন্ত IgG এর উপস্থিতির সময়কাল নিশ্চিত নয়।

Silvia Mim:
Related Post